১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় একটি সত্য কথা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন। ‘বাংলাদেশ এখন আর ফকিরের দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছে।’
২০০৩ সালে প্রকাশিত আমার বই প্রান্তীয় পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও অনুন্নয়ন: প্রসঙ্গ বাংলাদেশ-এর একটি অধ্যায়ের নাম ছিল ‘বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের অপরিহার্যতা: বোগাস আশঙ্কা বনাম আসল মতলব’। ওই অধ্যায়ের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আমি বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছিলাম যে ওই পর্যায়ে যাঁরা বৈদেশিক ঋণ গ্রহণকে বাংলাদেশের জন্য ‘অপরিহার্য’ বলে রায় দিতেন, তাঁদের ‘মতলব’ ছিল ঋণের অর্থ আত্মসাৎকারী মহলগুলোর পুঁজি লুণ্ঠনকে জায়েজ করা। প্রকৃতপক্ষে, তখনো যদি বৈদেশিক ভিক্ষাবৃত্তি পরিত্যাগ করতে চাইতেন শাসকেরা, তাহলে অর্থনীতির বিপদে পড়ার আশঙ্কাটা থাকত না। দুঃখজনক হলো, গত ১১ বছরেও বৈদেশিক ঋণের জন্য ধরনা দেওয়ার বদ খাসলত থেকে নীতিপ্রণেতা রাজনীতিবিদ ও আমলাদের মুক্ত করা যায়নি। কারণ, বৈদেশিক ঋণের অর্থ থেকে মার্জিন আহরণ এবং প্রকল্প-ঋণ নয়ছয় করার প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শক্তভাবে গেড়ে বসে আছে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও প্রশাসনিক কাঠামোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর বিশ্বে ঔপনিবেশিক দখলদারি থেকে উপনিবেশগুলোর রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পর্ব শুরু হয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব পুঁজিবাদীব্যবস্থার প্রয়োজনেই। কারণ, পুঁজিবাদ যখন বিকশিত হয়ে ১৮৭০-১৯০০ পর্যায়ে সাম্রাজ্যবাদ বা ‘রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া পুঁজিবাদে’ রূপান্তরিত হয়েছিল, তখনই বিশ্বব্যাপী উপনিবেশ দখল-পুনর্দখল-হাতবদলের জন্য পূর্বতন ঔপনিবেশিক পুঁজিবাদী দেশগুলোর সঙ্গে নব্য বিকশিত পুঁজিবাদী দেশগুলোর যুদ্ধবিগ্রহ চরম আকার ধারণ করে। পুরোনো ঔপনিবেশিক শক্তি স্পেন, পর্তুগাল, ওসমানীয় (অটোম্যান) সাম্রাজ্যের অধীনে উপনিবেশগুলোর দখলদারির হাতবদল হয়ে ওই পর্যায়ে ওগুলোয় ভাগ বসানোর প্রয়াস জোরদার করছিল গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও রাশিয়া। পূর্ব এশিয়ার নবোত্থিত পুঁজিবাদী শক্তি জাপানও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল উপনিবেশ দখলের ওই সাম্রাজ্যবাদী খেলায়।
ওই সাম্রাজ্যবাদী উপনিবেশ দখলের যুদ্ধবিগ্রহই ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে জন্ম দিয়েছিল ১৯১৪-১৯ সালের প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ১৯৩৯-৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভাবিত ধ্বংসলীলা প্রমাণ করে দিয়েছিল যে উপনিবেশ নিয়ে কাড়াকাড়ি ও যুদ্ধ-মহাযুদ্ধের সাম্রাজ্যবাদী মডেলটা আর চালু রাখা যাবে না; ‘আধিপত্য ও পরনির্ভরতার’ নব্য সাম্রাজ্যবাদী মডেল চালু করতে হবে। এই নব্য সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থা চালু করার উদ্দেশ্যেই ১৯৪৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে ‘বিশ্বনেতাদের ১৩ দিনের একটি শীর্ষ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়।
ওই ঐতিহাসিক ব্রেটন উডস সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর লিগ অব নেশনসের ধ্বংসস্তূপের ওপর বর্ধিত কলেবর ও শক্তি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএন এবং ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক (ওই সময়ের নাম আইবিআরডি)। ব্রেটন উডস সম্মেলনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইটিও নামে বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক আরেকটি সংস্থার জন্মলাভের কথা থাকলেও ওই সিদ্ধান্ত ভন্ডুল হয়ে গিয়েছিল আইটিও প্রতিষ্ঠার জন্য প্রণীত ‘হাভানা চার্টার’ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় হাউসেই অনুমোদিত না হওয়ার কারণে। বিকল্প হিসেবে ১৯৪৭ সালে গ্যাট নামে একটা ‘সাধারণ চুক্তি’ হিসেব তা চালু হয়েছিল, যার আটটি রাউন্ড অতিক্রান্ত হওয়ার পর ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি গ্যাট রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জন্মগ্রহণ করে। বিশ্ব পুঁজিবাদীব্যবস্থা ১৯৯৫ সালে এসে তার তিনটি প্রধান স্তম্ভের ওপর দাঁড়াতে সমর্থ হয়েছে।
এই নব্য সাম্রাজ্যবাদী মডেলটির মূল দৃষ্টিভঙ্গি হলো, পুঁজিবাদী দেশগুলো তাদের আধিপত্যের শিকলকে অটুট রাখার উদ্দেশ্যে নানাভাবে উপনিবেশ-উত্তর নব্য স্বাধীন দেশগুলোর অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতিকে পরনির্ভরতার জালে আবদ্ধ রাখার নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই কাজটি করতে তারা প্রথমত বৈদেশিক বিনিয়োগের নামে বহুজাতিক করপোরেশনের পুঁজির অবাধ চলাচলের কাঠামো গড়ে তোলা, বৈদেশিক সাহায্য প্রদানের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নীতি প্রণয়নের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন, শিল্পায়নের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় পুঁজিনিবিড় প্রযুক্তি রপ্তানির ব্যবস্থা করা, ঔপনিবেশিক অতীতে গড়ে ওঠা পুঁজিবাদী খাতের ওপর উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয়ত, খাদ্যঘাটতি সৃষ্টির মাধ্যমে জনবহুল দেশগুলোয় খাদ্যসাহায্যের ওপর মারাত্মক নির্ভরতার চক্র গড়ে তোলা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর কৃষি খাতকে অবহেলা করে স্থবিরতার চক্রে আটকে রেখেছে। তৃতীয়ত, সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর জোট থেকে দূরে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবাধীন সামরিক জোটে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভেড়ানোর জন্য জবরদস্তি করেছে।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মক্কেল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল। ফলে, ১৯৫০ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়িত পরামর্শক প্রকল্প পাকিস্তানে নাজিল হয়েছিল পাকিস্তানের পরিকল্পনা কমিশনে বিশ্বব্যাংকের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার মিশন নিয়ে। আর ওই সব বাঘা বাঘা পরামর্শকের প্রেসক্রিপশন মোতাবেক রচিত হয়েছিল পাকিস্তানের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। প্রাদেশিক উন্নয়নবৈষম্য, পূর্ব পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান খাদ্যঘাটতি, পূর্ব পাকিস্তানের কৃষি খাতকে মারাত্মক অবহেলা, পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে পুঁজি পাচার, পূর্ব পাকিস্তানের অর্জিত রপ্তানি আয় পাঞ্জাব ও সিন্ধু প্রদেশের বিশ্বখ্যাত সেচব্যবস্থার অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় করা এবং তিন-তিনটি রাজধানী (করাচি, রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদ) নির্মাণ—এগুলোরই ভিত্তি হিসেবে পঞ্চাশের দশকে পরনির্ভরতার মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভূমিকাকে স্মরণ করবেন ইতিহাসের নির্মোহ বিশ্লেষকেরা।
এটা কাকতালীয় নয় যে ১৯৫৮ সাল থেকেই পূর্ব পাকিস্তান ক্রমবর্ধমান খাদ্যশস্য-ঘাটতির শিকার হয়ে বিশ্বের কাছে ফকির-মিসকিনের দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল, ১৯৭০ সালে ওই খাদ্যশস্য-ঘাটতি ৪০ লাখ টনে পৌঁছে গিয়েছিল। ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিল দেড় কোটি টন খাদ্যশস্য। কিন্তু, পূর্ব পাকিস্তানে উৎপাদিত হতো মাত্র এক কোটি ১০ লাখ টন, বাকি ৪০ লাখ টনের জন্য খাদ্য ভিক্ষা চাইতে হতো বিশ্বের কাছে। সে জন্যই ১৯৭২ সালে হেনরি কিসিঞ্জার নব্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ‘আন্তর্জাতিক তলাবিহীন ঝুলি’ অভিহিত করেছিলেন তাঁর পরাজয়ের জ্বালা জুড়াতে।
১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারি তাজউদ্দীন আহমদ চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ/অনুদান গ্রহণ না করতে। কিন্তু, মার্কিন লবির সক্রিয় তৎপরতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের মারাত্মক বৈদেশিক মুদ্রাঘাটতির বাস্তবতার বিবেচনায় বঙ্গবন্ধু বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে বাছবিচারের ওই অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। এতৎসত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর পুরো শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফ নানা ওজর-আপত্তি তুলে বাংলাদেশকে ঋণ/অনুদান প্রদানে সময়ক্ষেপণ ও গড়িমসির কৌশল অবলম্বন করেছিল। (তদানীন্তন পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ড. নুরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান এ বিষয়ে প্রামাণ্য গ্রন্থ লিখেছেন।) আর খাদ্যসাহায্য নিয়ে মার্কিন ব্ল্যাকমেলের কারণে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে যে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছিল, সেটিও অজানা নয়। পুরো সত্তর ও আশির দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতির বৈদেশিক ঋণ/অনুদাননির্ভরতা মারাত্মক পর্যায়ে ছিল। কারণ, ওই সময়ে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলো মারাত্মক বিপর্যস্ত ছিল এবং খাদ্যঘাটতিও ছিল তুঙ্গে। সবচেয়ে খারাপ সময়টা ছিল ১৯৭৯-৮৪ বছরগুলোয়।
অধ্যাপক রেহমান সোবহানের দ্য ক্রাইসিস অব এক্সটারনাল ডিপেনডেন্স বইয়ের ৯ নম্বর পৃষ্ঠার সারণিমতে ১৯৮১-৮২ অর্থবছর বৈদেশিক সাহায্য জিডিপির অনুপাত হিসেবে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। ওই পর্যায়ে দেশের মোট রপ্তানি আয় আমদানি বিলের মাত্র ৩১ শতাংশ মেটাতে পারত। বাকি ৬৯ শতাংশ মেটাতে হতো বৈদেশিক ঋণ/অনুদান দিয়ে। এরশাদ আমলের বেশ কয়েক বছর সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মেটাতে হয়েছিল বৈদেশিক সাহায্যের অর্থে। অর্থাৎ ওই বছরগুলোয় সরকারের উন্নয়ন বাজেট পুরোটাই বৈদেশিক ঋণ/অনুদাননির্ভর ছিল।
কিন্তু গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অসহায় অবস্থা ইনশা আল্লাহ প্রায় কেটে গেছে। নিচের বিষয়গুলো দেখুন:
১. বাংলাদেশ এখন মোটা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ দেশের খাদ্যশস্য উৎপাদন তিন কোটি ৬০ লাখ টনে পৌঁছেছে। যদিও এখনো প্রায় ২০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়। বর্তমান খাদ্যসাহায্য মোট বৈদেশিক অনুদানের একটা ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
২. জিডিপির অনুপাত হিসেবে বৈদেশিক ঋণ/অনুদান এখন ২ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে, যার ৯৮ শতাংশই প্রকল্পঋণ, এখন বাংলাদেশকে আর পণ্যঋণ নিতে হয় না। প্রকল্পঋণ যেসব প্রকল্পের জন্য নেওয়া হচ্ছে, তার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি নেওয়া হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় ও অপচয়মূলক নানাবিধ প্রকল্পের নামে, যেখানে জনগণের প্রয়োজন মেটানোর চেয়ে পুঁজি লুণ্ঠন ও মার্জিন আহরণই মুখ্য উদ্দেশ্য। দেশি-বিদেশি পরামর্শক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও আমলারাই এসব প্রকল্পের মূল ফায়দাভোগী। প্রকল্পঋণ মানেই উন্নয়ন, এটা বোগাস-বাগাড়ম্বর বৈ তো নয়।
৩. বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আর আমদানি ব্যয় ছিল ৩৫ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু, ওই আট বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি আমরা সহজেই মেটাতে পারছি প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের সহায়তায়। ঘাটতি মেটানোর পরও আমাদের লেনদেনের ভারসাম্যে কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত থাকছে, যার ফলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত ফেব্রুয়ারি শেষে ১৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এই রিজার্ভ পাকিস্তানের চেয়ে ১২ বিলিয়ন ডলার বেশি।
৪. বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসযজ্ঞ, হরতাল ও অবরোধ সত্ত্বেও এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
৫. দেশের প্রায় এক কোটি অভিবাসী বৈধ-অবৈধ পথে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠালেও তার সাত থেকে আট বিলিয়ন ডলার হুন্ডি-পদ্ধতিতে বিদেশে রয়ে যাচ্ছে কিংবা পাচার হয়ে যাচ্ছে। অথচ, এ দেশে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ/অনুদান এসেছে মাত্র দেড় বিলিয়ন ডলার।
ওপরের তথ্যগুলো সাক্ষ্য দিচ্ছে: বাংলাদেশ ফকির নয় এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম।
মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
(প্রথম আলো, ৩১/০৩/২০১৪)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন