|
ড. সা'দত হুসাইন
|
|
টানা দুই বছর নিয়মিত কলাম লেখার অভিজ্ঞতা
28 Dec, 2013
টানা দুই বছর ধরে কালের কণ্ঠে পাক্ষিক (Fortnightly) কলাম লিখছি। সাধারণত প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহের শনিবারের পত্রিকায় আমার কলাম প্রকাশিত হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ সাল, শনিবার আমার লেখা কলামটি প্রথম প্রকাশিত হয়, যার শীর্ষনাম ছিল 'কথামালার নাচন, আশ্বাসের পতন'। এরপর থেকে প্রতি পক্ষে (Fortnight) কলাম লিখছি, একটি পক্ষও বাদ যায়নি। গত ১৪ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে কলাম প্রকাশিত হয়েছে দুই বছর সমাপ্তির সীমায়। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণমূলক কলামটির শীর্ষ নাম ছিল 'নিহত হলেও ওঁদের মৃত্যু ঘটেনি'। হিসাব করে দেখলাম এ দুই বছরে মোট ৫২টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে, প্রতি পক্ষে একটি করে। অন্য কোনো কলামিস্ট বিরতি ছাড়া দুই বছর একটানা কলাম লিখেছেন কি না মাননীয় সম্পাদকবৃন্দ সে তথ্য জানাতে পারবেন। আমার মনে হয়েছে, এটি একটি বিরল ও তাৎপর্যপূর্ণ অভিজ্ঞতা, যা পাঠকদের কাছে বর্ণনা করা অর্থবহ হতে পারে।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে দায়িত্বকালের মেয়াদ শেষে আমি পাবলিক সার্ভিস কমিশন থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করি। জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষকদের শীর্ষ সংগঠন, বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির ((BSTD) সভাপতি হিসেবে আমি সমিতির ফার্মগেটস্থ অফিসে প্রতিদিন ঘণ্টা দুয়েক উপস্থিত থাকি। এ সময় কালের কণ্ঠের তৎকালীন উপসম্পাদক এহসান বাবু অফিসে এসে কলাম লেখার জন্য আমাকে অনুরোধ জানালেন। সপ্তাহে একটি লেখা দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও আমি দুই সপ্তাহে অর্থাৎ প্রতি পক্ষে একটি লেখা দেওয়ার জন্য রাজি হলাম। আমার কলামের নাম হবে 'মনের কোণে হীরে-মুক্তো'। প্রতি পক্ষের শনিবার এই কলাম প্রকাশিত হবে। কোনো কারণে শনিবারে লেখা প্রকাশ সম্ভব না হলে তার এক-দুই দিন আগে বা পরে তা প্রকাশ করা হবে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে প্রথম লেখা প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমার 'কলামিস্ট' জীবন শুরু হলো। আজও তা অব্যাহত আছে।
কলাম লেখার আগে পত্র-পত্রিকায় অনেক লেখালেখি করেছি। আমার লেখা কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। তবে এসব লেখালেখির মধ্যে কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। বলা যায়, মনের খুশিতেই এসব লেখা সম্পন্ন করেছি। একটি নিবন্ধ হয়তো চার-পাঁচ দিনে শেষ করব বলে লেখা শুরু করেছি, কিন্তু এটি শেষ করতে পাঁচ-ছয় মাস লেগে গেছে। এমনও হয়েছে, লেখাটি শেষ হয়নি, এখনো এটি অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। নিয়মিত কলাম লিখতে গিয়ে প্রথম যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লাম তা হলো, প্রতি ১৪ দিন পর স্বনির্বাচিত কোনো বিষয়ের ওপর লেখা প্রস্তুত করে সম্পাদকের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া। যে বিষয়ের ওপর লিখব তা নির্বাচন করার পূর্ণ স্বাধীনতা আমার রয়েছে। স্বাধীনতা যে এত বড় দায় হতে পারে, এবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। কলাম লেখার জন্য বিষয় নির্বাচন একটি অত্যন্ত দুরূহ কাজ। নিয়মিত বিরতিতে প্রকাশিত কলামের একটি গ্রহণযোগ্য বহর বা আকার রয়েছে। সে বহরের চেয়ে লেখাটি খুব ছোট হলে তাতে পাঠকের মন ভরে না, আমার কাছেও এটি অস্বস্তিকর মনে হয়। অতি যুক্তিবাদীরা হয়তো বলতে পারেন, লেখার আকারের সঙ্গে এর গুণগত মানের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু মানুষের মন যুক্তি মানে না, মনের গহিনে অবুঝ পছন্দ-অপছন্দ ও সংস্কার লুকিয়ে থাকে। সে কারণেই পরীক্ষার খাতায় ইনিয়েবিনিয়ে প্রশ্নোত্তরের কলেবর একটু বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে উত্তরটি পরীক্ষকের মনে ধরে।
পরীক্ষার খাতায় উত্তর লেখার কথায় মনে পড়ল পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আমরা সিএসপি হয়েছিলাম, সে পরীক্ষায় ইংরেজি প্রবন্ধ লেখার কথা। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষাটি নির্দিষ্ট ছিল শুধু একটি প্রবন্ধ ইংরেজিতে লেখার জন্য। প্রবন্ধের জন্য বিষয়বস্তুর একটি দীর্ঘ তালিকা দেওয়া থাকত; তার মধ্যে একটি মাত্র বিষয়বস্তু বেছে নিয়ে পরীক্ষার্থীকে রচনা লিখতে হতো। তালিকা দেখে প্রথমে অনেক পরীক্ষার্থীর মনে হতো, এর মধ্যে বহু বিষয়বস্তু বেশ পরিচিত; এর প্রত্যেকটির ওপর সুন্দরভাবে বড় একটি প্রবন্ধ লেখা যাবে। কিন্তু লেখা শুরু করলে এক প্যারা বা দুই প্যারা লেখার পরই দেখা যেত, লেখা আর এগোচ্ছে না; বিষয়টি সম্পর্কে যা জানা ছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। ফলে এসব পরীক্ষার্থী নির্বাচিত প্রথম প্রবন্ধটি ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি প্রবন্ধ লিখতে চেষ্টা করত। সে ক্ষেত্রেও খুব যে একটা সফলতা পেত তা নয়। সাধারণত এসব পরীক্ষার্থী ওই পরীক্ষায় পাস মার্ক পেত না। তখনকার নিয়ম অনুযায়ী একটি বিষয়ে ফেল করার কারণে পুরো পরীক্ষাতে তারা ফেল করে যেত। প্রবন্ধ লেখার এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে অনেকেই সিএসএস পরীক্ষায় ছিটকে পড়েছে। এ দুঃখ অনেকে সারা জীবন বয়ে বেড়িয়েছে।
কলাম লিখতে গিয়ে আমি বেশ কয়েকবার এ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। মনের আনন্দে বা আবেগঘন মুহূর্তে পরবর্তী কলামের জন্য একটি বিষয় ঠিক করেছি। তারপর চিন্তা শুরু হলো, কী করে একে পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া যায়। কাগজ-কলমের মাপে হিসাব করে দেখলাম দুই-তিন প্যারার বেশি লেখা সম্ভব হবে না। মেধার প্রয়োগ সহযোগে মন চর্চা করে দেখলাম বড়জোর আরো এক বা দুই প্যারা যোগ করতে পারব। তাতে কোনো কাজ হবে না। ওই বহরের লেখায় পাঠক, সম্পাদক কিংবা আমি লেখক, কারো মনই ভরবে না। অতএব, হয় এ বিষয়ের কাঠামোগত পরিবর্তন করতে হবে, অথবা বিষয়টি সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে নতুন কোনো বিষয় বেছে নিতে হবে। এদিকে সময় চলে যাচ্ছে, লেখা পাঠানোর দিন এই বুঝি এসে পড়ল! এ সময়টা চরম অস্বস্তির মধ্যে কাটত। মেজাজ কিছুটা খিটখিটে থাকত। সব সময়ই যেন কিছু একটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। মূলত 'আইডিয়া'; একটি নতুন বিষয় কিংবা পুরনো বিষয়ের ওপর আরো দুই-একটি অনুচ্ছেদ বাড়ানোর কৌশল। অবশেষে একটি সুরাহা হয়ে যেত। লেখা প্রস্তুত করে সম্পাদকের কাছে ই-মেইলে পাঠিয়ে দেওয়ার পর কী যে স্বস্তি ও আনন্দ অনুভব করতাম, তা বলে বোঝানো যাবে না।
কলাম প্রকাশিত হওয়ার পর আর একবার আনন্দানুভূতি। যদিও সেই ছাত্রজীবন থেকে পত্র-পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে, তবু নিজের লেখা পত্রিকার পাতায় দেখতে ভালোই লাগে। নতুনভাবে উৎসাহিত বোধ করি। লেখার ব্যাপারে আমার সংযোগ ছিল শুধু নির্বাহী সম্পাদক মোস্তফা কামালের সঙ্গে। দুই বছরের মধ্যে শুধু একবার মোস্তফা কামাল অসুস্থ থাকার কারণে তাঁর এক সহকর্মী আলী হাবিবের সঙ্গে সামান্য ক্ষণ আলোচনা হয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো, দুই বছর ধরে মোস্তফা কামালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ হলেও তাঁর সঙ্গে আজ পর্যন্ত আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। রাস্তায় দেখা হলে আমি তাঁকে চিনতে পারব না। দেখা না হওয়ার একটা বড় কারণ কালের কণ্ঠ লেখক, সমালোচক ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে ঘটা করে কোনো সম্মিলন করে না। আর জনাব কামাল বোধ হয় নিভৃতচারী লেখক। সভা, সেমিনার বা টেলিভিশনের আলোচনায় তাঁকে দেখা যায় না। আশা করি, সহসাই তাঁর সঙ্গে আমার দেখা-সাক্ষাৎ হবে। বাংলাদেশে এ ক্যাটাগরির অনেক লোক নীরবে-নিভৃতে কাজ করে তাঁদের সংস্থাকে সচল রাখেন। প্রচার ও প্রকাশবিমুখ হলেও তাঁরা প্রশংসার পাত্র। জনাব কামাল অবশ্য নিজেও একজন সুপ্রতিষ্ঠিত লেখক। মাঝেমধ্যেই কালের কণ্ঠে তাঁর কলাম ও অন্যান্য লেখা প্রকাশিত হয়।
আমার লেখার পাঠকসংখ্যা কত হতে পারে, সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। যদি বলা হয়, পত্রিকার পাঠকসংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক, তবে আমার কলামের পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই এর চেয়ে অনেক কম। আমার মনে হয়, এ সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য। আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কালের কণ্ঠের নিয়মিত গ্রাহক নন। যেদিন আমার কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেখা প্রকাশিত হয়, সেদিন টেলিফোন করলে তাঁদের কেউ কেউ পত্রিকাটি কিনে আমার কলাম পড়েন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কয়েকজন অতি কাছের বন্ধুকে লেখার ফটোকপি সরবরাহ করে থাকি। বাইরের পাঠকের মধ্যে গত দুই বছরে বড়জোর তিনজন পাঠক লেখা পড়েছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। লেখার ওপর মন্তব্য করেছেন মাত্র দুজন কিংবা একজন পাঠক। আমার পরিচিতরা অধিকাংশই দেখছি প্রথম আলো কিংবা বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাঠক। কালের কণ্ঠকে তাঁরা একটি শিল্পগোষ্ঠীর পত্রিকা মনে করেন। এ পত্রিকায় যে অনেক স্বনামধন্য নাগরিক ও লেখক নিয়মিত লেখেন, এ খবর তাঁরা জানেন না। পক্ষান্তরে আমার টিভি 'টক শো'র দর্শকসংখ্যা বিপুল। বহু দর্শক টেলিফোন করে অভিনন্দন জানান। হাটেবাজারে, দোকান-পাটে দেখা হলে সালাম দিয়ে দু-একটি প্রশংসাবাক্য উচ্চারণ করেন। আমি যে কালের কণ্ঠে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নিয়মিত কলাম লিখি, সে কথা তাঁদের কেউ জানেন বলে মনে হয় না। বাংলাদেশে এত বিপুলসংখ্যক দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় যে একজন পাঠকের পক্ষে এত পত্রিকা পড়া সম্ভব হয় না। নিম্নবিত্ত পাঠকরা কর্মস্থলে অথবা রাস্তার পাশে দেয়ালে লাগানো খবর পড়ে নেন। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে হয়তো বা নিয়মিত একটি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে একাধিক পত্রিকা রাখা হলেও পরিবারের সদস্যরা তাঁদের পছন্দমতো একটি বা দুটি পত্রিকা পড়েন। তাও ভেতরে-বাইরের সব খবর বা বিশ্লেষণমূলক লেখা খুব একটা পড়েন না। আগে যখন দুই-তিনটে মাত্র পত্রিকা ছিল, তখন পাঠকরা অনেক উৎসাহ নিয়ে পত্রিকার প্রায় সব খবর এবং সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয় ভালোভাবে পড়তেন, যে কারণে মুসাফির বা ভীমরুলের কলাম প্রায় সব পাঠকের জানা রয়েছে। মুসাফির বা ভীমরুল ছদ্মনাম হলেও লেখক যে মানিক মিয়া ও আহমেদুর রহমান, এটি ছাত্রজীবনেই আমরা জেনে গিয়েছিলাম। বর্তমান সময়ে ডজন ডজন পত্রিকার ভিড়ে দুই-একটি পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখে লেখক কিংবা কলামিস্ট হিসেবে প্রখ্যাত বা সুপরিচিত হওয়া সম্ভব নয়। কেউ তেমনটি হতে চাইলে তাঁকে ভিন্নতর কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
সুখ্যাতি না পেলেও কলাম লেখা থেকে বড় একটি তৃপ্তি পেয়েছি। আমার অনেক ধ্যান-ধারণা কলাম লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে পেরেছি। কিছু লেখা ছিল, যেগুলোকে মূলত সাহিত্যকর্ম বলা যায়। অবশিষ্ট লেখার বেশ কয়েকটি লেখা আমার সমাজ-চিন্তার প্রতিফলন। এসব লেখাকে পরবর্তীকালে সম্প্রসারিত রূপে ও বিশদভাবে ব্যাখ্যায়িত করার ইচ্ছা রয়েছে। দুই-একটি লেখা হয়তো বা রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্মাণে বা সমাজ গঠনে সহায়ক হতে পারে। এসব লেখা নিয়ে সীমিত পরিসরে আমি বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। তাঁরা এগুলোকে বহুল প্রচারের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। কৌশলগত বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেসব পরামর্শের ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে।
কলাম লেখার বাধ্যবাধকতায় মৌলিক সাহিত্যচর্চা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এখন প্রতি পক্ষে (Fortnight) লেখা পাঠানোর স্ব-আরোপিত বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তাই কিছুটা সময় নিয়ে সাহিত্যকর্মে মনোনিবেশ করতে পারব। তারই ফাঁকে চলবে কলাম লেখা। 'কালের কণ্ঠে' কলাম লেখার ব্যাপারে যে অবাধ ও নির্ভেজাল স্বাধীনতা পেয়েছি, তাকে মুক্তচিন্তা প্রকাশের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা মনে করি। নির্বাহী সম্পাদকের সঙ্গে দেখা না হলেও টেলিফোনে তাঁর মধুর ব্যবহার ও অসাধারণ দায়িত্বসচেতনতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ সবই আশা করি ভবিষ্যতে অপরিবর্তিত থাকবে। আমিও কালের কণ্ঠে নিয়মিতভাবে লিখে যাব, এমন আশা হয়তো বা দুরাশা হবে না।
লেখক : সাবেক সচিব, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান
(কালের কন্ঠ, ২৮/১২/২০১৩)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন