গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রের নির্বাহী ও সংসদীয় শাখার সর্বোচ্চ পদসমূহ নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। 'ওয়েস্টমিনস্টার' ধরনের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মূলত আইন প্রণেতা হিসেবে সংসদে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে তাঁকে সংসদ সদস্য বা এমপি (Member of the Parliament) বলা হয়। নীতিগত দিক থেকে এমন ধরে নেওয়া স্বাভাবিক যে সংসদ সদস্যরা দেশের জন্য আইন প্রণয়নে ব্যাপৃত থাকবেন। তাঁরা কোনো নির্বাহী কাজে নিয়োজিত থাকবেন না; কারণ নির্বাহী কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার লোক তাঁদের নির্বাচিত করেনি। 'ওয়েস্টমিনস্টার' ধরনের গণতন্ত্রের একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে, যাঁদের আইন প্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়, তাঁরাই প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত হন। ফলে তাঁরা বিপুল সুযোগ-সুবিধার অধিকারী হন, তাঁদের আর্থিক ও অন্যান্য ন্যায়সংগত বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধার পরিমাণ দেশীয় মানের (Standard) মাপকাঠিতে ঈর্ষণীয়। মর্যাদা ও ক্ষমতা প্রকৃতপক্ষেই অসামান্য। জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বা তাঁদের সমমর্যাদাসম্পন্ন উপদেষ্টা, হুইপের এ ধরনের সুবিধা ভোগ সহ-নির্বাচিত এমপিদের জন্য অন্তর্জ্বালার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এমপিরা নিজেদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সহকর্মী ও সমতুল্য মনে করেন, বিশেষ করে তাঁরা যখন দলবদ্ধ থাকেন, তখন এ অনুভূতি বোধহয় তাঁদের মধ্যে তীব্রভাবে কাজ করে। অভিজ্ঞতায় দেখতে পেয়েছি, কয়েকজন এমপি যখন বিমান ভ্রমণের জন্য একসঙ্গে বিমানবন্দরের ভিআইপি এলাকায় গেছেন, তখন তাঁরা অন্যান্য ভিআইপি কর্তৃক ব্যবহৃত লাউঞ্জ ব্যবহার না করে মন্ত্রীদের জন্য সংরক্ষিত লাউঞ্জ কিছুটা জোরজবরদস্তি করে খুলিয়ে নিয়ে ব্যবহার করেছেন। এ ধরনের মনোভাবসম্পন্ন এমপিরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না যে তাঁদের সমগোত্রীয় এমপি, যাঁদের মন্ত্রিত্বের আসনে উত্তরণ ঘটেছে, তাঁরাই শুধু লোভনীয় নির্বাহী ক্ষমতা ও অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। এমনটি মাঝেমধ্যে ঘটেছে যে তাঁরা তিন-চারজন একসঙ্গে গিয়ে মন্ত্রীকে তাঁদের বঞ্চনার কথা বলেছেন, মন্ত্রীর বাড়তি সুযোগ-সুবিধা ও নির্বাহী ক্ষমতার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন এবং অবশেষে তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানসমূহের ওপর তাঁদের নির্বাহী ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ করেছেন। ভদ্রভাবে হলেও কিছুটা চাপ প্রয়োগ করেছেন। মন্ত্রীরা তাঁদের সহ-এমপিদের সন্তুষ্ট করতে আগ্রহী ছিলেন। মন্ত্রীদের মানসিক অবস্থান হচ্ছে, এমপিদের তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় কিছু নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে যদি খুশি রাখা যায়, তবে তো কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। দেশের প্রশাসনিক কাঠামো বা প্রশাসনিক সংস্কৃতির ওপর এর প্রভাব কী হবে, সে সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা, পর্যালোচনা করার প্রয়োজন তাঁরা অনুভব করেন না। দলবদ্ধভাবে যখন এমপিরা কোনো মন্ত্রীর কাছে আসেন, তখন কিভাবে তাঁদের খুশি রেখে আপাতত বিদায় দেওয়া যায়, সেদিকেই মন্ত্রীর দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে। এ পদ্ধতিতে মন্ত্রীদের অনুসরণে এমপিরা সীমিত পরিধিতে অর্থাৎ তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ক্ষমতা পেয়ে যান। বাড়তি সুবিধা হলো, এ ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের দায়বদ্ধতা থাকে না বললেই চলে। মূল দায় উপজেলা চেয়ারম্যান কিংবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বহন করেন।
দেখা যাচ্ছে, নির্বাচিত এমপিদের একাংশ মন্ত্রী (প্রধানমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত) কিংবা সমজাতীয় পদে অধিষ্ঠিত হয়ে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করেন। অন্যান্য এমপিও সীমিত পরিসরে অর্থাৎ তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করার অবারিত সুযোগ পেয়ে যান। এভাবে আইন প্রণেতার পরিবর্তে তাঁরা প্রকৃতপক্ষে নির্বাহী ক্ষমতার মালিক বনে যান। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কিংবা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসমূহ তাই প্রকৃতপক্ষে নির্বাহী নিয়োগের লক্ষ্যে নিবেদিত। যেসব পদে অধিষ্ঠিত নির্বাহীদের সিদ্ধান্তসমূহে দেশের বা এলাকার লোকজনের পছন্দ, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হওয়া আবশ্যকীয়, সাধারণত সে পদে সংশ্লিষ্ট জনগণের ভোটে নির্বাহী নিয়োগ হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে যেসব পদে মূলত টেকনিক্যাল বা প্রফেশনাল জ্ঞান ও পারদর্শিতার প্রয়োজন হয়, জনসাধারণের পছন্দ, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না, সেসব পদে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা বা জুৎসই বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হয়। আজকের আলোচনা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাহী নিয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
যেকোনো লোক নির্বাহী পদের দায়িত্ব পালন করার জন্য উপযুক্ত নয়। এ পদসমূহে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসন সম্পর্কে, ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও পারদর্শিতা থাকা আবশ্যকীয়। ব্যবস্থাপনার মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একই সঙ্গে সততা, নিষ্ঠা, সপ্রতিভা, সুন্দর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সর্বোপরি জনস্বার্থের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধার প্রতি সতর্ক লক্ষ রেখে প্রার্থী নির্বাচন বাঞ্ছনীয়। অন্যথায় নির্বাচিত ব্যক্তির অক্ষমতা, অন্যায়-অবিচার, স্বৈরাচারী মনোভাব, কর্মসম্পাদনে অনীহা নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য দুর্বিষহ অভিশাপ নিয়ে আসবে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা বা নির্ধারিত বাছাইপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাদের নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের প্রার্থিতার ক্ষেত্রে নূ্যনতম শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ আরো কতিপয় যোগ্যতা আরোপ করা হয়। ফলে কর্মসম্পাদনে মারাত্মকভাবে অক্ষম বা অন্যান্য চাহিদার বিপরীতে সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য ব্যক্তির কর্মে নিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এতদসত্ত্বেও দুর্নীতির কারণে কোনো কোনো সময় অতি নিকৃষ্টমানের প্রার্থী নিয়োগ পেয়ে যায়। ফলে সংগঠন ও সেবার গ্রাহক সংশ্লিষ্ট নাগরিকবৃন্দ সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়। নির্বাচিত নির্বাহীর ক্ষমতায় অধিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাধারণত নূ্যনতম কোনো যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় না। বড়জোর বয়স, ঋণ ও ইউটিলিটি পরিশোধের রেকর্ড, অপরাধবিষয়ক রেকর্ড ইত্যাদির ভিত্তিতে কতিপয় ক্ষেত্রে প্রার্থিতা বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে; তাও আবার সব দেশের বিধিবিধান এক নয়। নিতান্তই সাধারণ গোছের এসব শর্ত মেনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোটামুটি একটা সহজ ব্যাপার; অতীব নিকৃষ্ট যোগ্যতার ব্যক্তিও প্রার্থী হতে পারে।
ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীকে নির্বাহী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে একদিকে যেমন নির্বাচনী কাঠামো ও নির্বাচন পদ্ধতি নিখুঁত ও উচ্চমানের হওয়া বাঞ্ছনীয় তেমনি ভোটাধিকার প্রয়োগ তথা ভোটদানের ক্ষেত্রে ভোটারদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীর উপযুক্ততাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। অপারদর্শী, সক্ষমতাহীন, দুর্নীতিবাজ, স্বার্থান্ধ, দলকানা ও গণবিরোধী বা জনস্বার্থ সম্পর্কে উদাসীন ব্যক্তিকে অসাবধানতার বশবর্তী হয়ে ভোট দিয়ে নির্বাহী ক্ষমতায় বসালে পরবর্তী সময়ে দুঃখ-যন্ত্রণায় কপাল চাপড়ে কোনো লাভ হয় না। বাস্তবে দেখা যায়, নির্বাচনের সময় প্রার্থী সম্পর্কে উপরোক্ত বিষয়গুলো তেমন একটা বিবেচনায় আনা হয় না। প্রার্থীর মার্কা, স্লোগান, সত্য-মিথ্যা প্রচার-অপপ্রচার ও নানা কৌশলে ভিন্ন প্রকৃতির 'টেম্পো' সৃষ্টি করা হয়। সে 'টেম্পো' ও সাংগঠনিক কাঠামোর ওপর ভর করে প্রার্থীরা নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়। বড় রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের জন্য 'মার্কাই' নির্বাচনে জয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি দুর্নীতিমুক্ত রাখার জন্য যে নিশ্ছিদ্র সুরক্ষণ কাঠামো বিনির্মাণের প্রয়োজন, অনেক দেশই তা গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ থেকে শুরু করে নির্বাচনের ফল ঘোষণা পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে বহু ধরনের দুর্নীতি ও বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রায় সব স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে কলুষযুক্ত ও বিপর্যস্ত করে রেখেছে। '৫০ হোন্ডা, ১০০ গুণ্ডা; নির্বাচন ঠাণ্ডা' বলে বাংলাদেশে একটি আপ্তবাক্য প্রায়ই শোনা যায়। অর্থাৎ নির্বাচনকালে কালো টাকা ও পেশিশক্তি নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের সবচেয়ে বড় নিয়ামক হয়ে দেখা দেয়। এ অঞ্চলের প্রায় সব দেশেই তাই নির্বাচিত ব্যক্তিদের এক উল্লেখযোগ্য অংশই লুটেরা, অসৎ ব্যবসায়ী, কালো টাকার মালিক ও অপরাধজগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত- এমন খবর পত্রপত্রিকায় প্রায়ই দেখা যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা নাই বললাম। আমরা নিরক্ষর লোককেও নির্বাহী পদে নির্বাচিত হয়ে কর্মসম্পাদনে অক্ষম ও অবশেষে শুধু ঠাট্টা-বিদ্রূপের পাত্র হতে দেখেছি। বহু নির্বাচিত নির্বাহী ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছে, দণ্ডিত হয়েছে। নির্বাহী পদে কর্মসম্পাদনে চরম ব্যর্থ হয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে, এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে। উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা বা রীতি-শুদ্ধ বাছাইপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি কর্মসম্পাদনে সম্পূর্ণ অক্ষম প্রমাণিত হয়েছে এ ধরনের দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে দু-একটি পাওয়া গেলে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কারণ এসব দেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন এখনো পর্যন্ত দুর্নীতি বা কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হয়েছে বলে শোনা যায়নি। বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশন সম্পর্কে কোনো কোনো সময় ব্যাপকভাবে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা গিয়েছিল।
দেখা যাচ্ছে, সার্ক দেশসমূহে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও সুনির্ধারিত বাছাইপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাহী নিয়োগের কাঠামো ও প্রক্রিয়া মোটামুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে ত্রুটি ও দুর্নীতিমুক্ত রয়েছে। এই পদ্ধতিতে নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহীদের বিরুদ্ধে অক্ষমতা, অপারদর্শিতা, দাগী অপরাধী হওয়া, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, লুটপাট, প্রতারণা, জালিয়াতির অভিযোগ বড় একটা ওঠেনি। অথচ নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উপরোক্ত অভিযোগে অন্তত সাধারণ্যে চিহ্নিত। নির্বাহী নিয়োগের পদ্ধতি হিসেবে নির্বাচন তাই জনগণের আস্থা হারাচ্ছে। নির্বাচনী কাঠামো ও নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পর্যায়ে কার্যকর সংস্কার না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে উত্তম প্রশাসক বা নির্বাহী নিয়োগ সম্ভব নয়। অযোগ্য, অশিক্ষিত, অপরাধপ্রবণ, দুর্নীতিবাজ নির্বাহী বা প্রশাসক দিয়ে সুশাসন কায়েম করা একটি অসম্ভব ব্যাপার।
সাংবিধানিক অনুশাসনের আওতায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে নির্বাচিত ব্যক্তির (নির্বাহীর) নেতৃত্বে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুঃখের বিষয়, কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া তো দূরের কথা, আমরা এ ব্যাপারে ধৈর্যসহকারে, সময় নিয়ে কোনো ধরনের ফলপ্রসূ নিবিড় আলোচনা শুরু করতে পারিনি। ফলে স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচিত নির্বাহীদের গর্হিত কর্মকাণ্ড ও করুণ 'পারফরম্যান্স' আমাদের সংক্ষুব্ধ করলেও আমরা তা সহ্য করে চলেছি। সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো অর্থবহ প্রচেষ্টা গ্রহণ করছি না। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
লেখক : সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব ও
পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান
(কালের কন্ঠ, ৩০/১১/২০১৩)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন