Image description
ড. মো. আদনান আরিফ সালিমড. মো. আদনান আরিফ সালিম
 

জেনারেল ওয়াকারের সুদীর্ঘ বক্তব্যটা বেশ আগ্রহ নিয়ে শুনলাম। তিনি শুরুতেই যেভাবে ডিসক্লাইমার দিয়ে নিয়েছেন সেখান থেকে সামনের দিকে যেতে থাকলে অনেকগুলো আগ্রহ জাগানিয়া পয়েন্ট রয়েছে। আমার হিসেবে শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার থেকেও অনেকগুণে গুরুত্ববহন করে বর্তমান বক্তব্যটি। এখানে সুস্পষ্ট, শিরোনাম নির্ধারিত, মেদ বঞ্চিত অনেকগুলো বার্তা রয়েছে আমাদের সবার জন্য। 

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অঘোষিত অংশীজন বনে গিয়েছেন এমন অনেকের জন্য এটাকে আমার কিঞ্চিৎ সতর্কবার্তাও মনে হয়েছে। এখানে বিশেষ উৎফুল্ল কোনো গোষ্ঠী কিংবা ছাত্রদের পক্ষ থেকে গঠন হতে যাওয়া ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দলের জন্যও আলাদা জামাই আদরের মতো আগ্রহ জাগানিয়া কোনো বার্তা নেই। তারা যে কোনো ধরনের  প্রিভিলেজ পাবে না এটা আপাতত সুনিশ্চিত। 

বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন কর্মকাণ্ড, সরাসরি মেঠো বক্তব্য কিংবা নাগরিক সমাজের অংশীজনদের বক্তব্যে সবার অপরাধকে আড়াল করে দেশের বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক দলকে সহজ লক্ষ্যবস্তু বানানোর যে আয়োজন চলছে সেটাতে আপাতত ইতি টানার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত আমি লক্ষ্য করেছি আজকে ২৫ ফেব্রুয়ারিতে প্রদত্ত বক্তব্যে।

সামান্য কিছু না হতেই জনতা জনার্দন জড়ো হয়ে যাচ্ছেতাইভাবে যাকে তাকে কড়কে দেওয়ার যে জনতুষ্টিবাদী প্রকল্প তাকে প্রচ্ছন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন সেনাপ্রধান। তৌহিদি জনতার নাম ধরে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা যারা করছেন তাদের লাগাম টানতে প্রচ্ছন্ন একটি নির্দেশ আমি খুঁজে পেয়েছি সেনাপ্রধানের আজকের বক্তব্যে। তিনি তাঁর শুরুর বক্তব্য দিতে গিয়ে আজকের মতো কোনো ইঙ্গিত দিলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনেক শান্ত থাকতে পারত। 

আমরা দেখেছি জনগণকে ক্ষেপিয়ে নিয়ে অনেকেই পরিস্থিতির ফয়দা নিতে চেষ্টা করেছে। সেনাপ্রধান এক অর্থে আজকে তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। পাশাপাশি সরাসরি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন তার ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো আগ্রহ আপাতত নেই। আর তার থেকেও বড় কথা তিনি যদি সত্যিই ক্ষমতায় যেতে চাইতেন তাহলে এসব ইন্টেরিম নাটকের প্রয়োজন ছিল না। টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি সহজেই ক্ষমতা দখল করে বসতে পারতেন। জনতা তখন বিরক্ত না হয়ে তাকে স্বাগতই জানাতো।  

আমার ধারণা তিনি কোনো রাজনৈতিক দলকেই নিষিদ্ধ করার পক্ষে নাই। হয়তো বা তিনি ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বিশেষত, সচেতনভাবে কিংবা অবচেতন মনে তিনি যেভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন সেটাতে কাউকে নিষিদ্ধকরণের প্রতি নেতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। পাশাপাশি পরিকল্পিত নাশকতার মধ্য দিয়ে পুলিশ বাহিনীর মোরাল ও চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। এই পেছনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের খুনি বাহিনী হিসেবে সক্রিয় পুলিশদের দায় কতটুকু তা নিযে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেন নাই, কিংবা বলার চেষ্টা করেন নাই।   

সরাসরি গুম ও খুনে জড়িত বিভিন্ন বাহিনী পুরোপুরি বিলুপ্ত করার যে আলোচনা শুরু হয়েছিল সেটাকে আপাতত তিনি থামিয়ে দিয়েছেন বলে মনে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে এনে দেশকে স্থিতিশীল রাখার দিকেই বেশি মন দিতে চেয়েছেন বলে প্রতীয়মান। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে  একাধারে বিচারালয়, নিয়োগকর্তা, সিদ্ধান্তগ্রহণকারীর গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। 

তবে সবার অনুমানকে সত্য করে আসছে ডিসেম্বরেই হতে যাচ্ছে আসন্ন নির্বাচন।তিনি আনুমানিক প্রায় বার দুয়েক ১৮ মাসের টাইম লাইন মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চেষ্টা করেছেন ডিসেম্বরের দিকেই নির্বাচন হতে পারে।  

আজকের ভাষণের পর অনেকে বলতে চাইছেন যে সেনাপ্রধান ক্ষমতা দখলের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমি মনে করি প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান ভুল। কারণ বর্তমান সেনাপ্রধানের অধীনস্থ সেনাবাহিনী যদি ক্ষমতা দখল করতে চাইতো তাদের এইসব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঁধে পা রেখে হাঁটতে হতো না।  তারা এমন একটা সময় ইতোমধ্যেই অতিক্রম করে এসেছেন যখন বাংলাদেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে  সেনাবাহিনীকে তাদের দেশ চালানোর অধিকার দিয়ে দিতো। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বিশ্ববাজারের অবস্থা আর রাজনৈতিক বাস্তবতা আমলে নিয়ে একজন কুশলী সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল ওয়াকার সেই ঝুঁকি নেন নাই। আর সে হিসেবে তাকে অনেক বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করার পক্ষপাতী। 

বর্তমান পরিস্থিতি কতদিনে শান্ত হবে সেটা বলা কঠিন। তবে জেনারেল ওয়াকারের প্রতি শিক্ষার্থী-জনতা এবং আমাদের সবার কৃতজ্ঞতা আরও অসংখ্য মানুষকে বন্দুকের নলের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। গণ অভ্যুত্থান তথা বিপ্লবী এমন একটা পরিস্থিতির দিকে গিয়েছিল যেখানে শেখ হাসিনার পতনের কোনো দ্বিতীয় বিকল্প ছিল না। আর সেই পতন প্রলম্বিত হলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তো। তারপর পতন ঘটলে ভয়াবহ রকম প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত। 

ক্ষমতার পতন নিশ্চিত জেনেও শেখ হাসিনা হার মানতে চাননি। তিনি গুলির মুখে সম্ভব এক ঘণ্টা ক্ষমতা প্রলম্বিত করার সুযোগ থাকলে সেটিও করতেন। আর সেখানে সরাসরি বাধা দিয়ে অজস্র নিরীহ, নিরপরাধ আর সাহসী মানুষের জীবন রক্ষায় এগিয়ে এসেছিলেন জেনারেল ওয়াকার। যে ভয়ংকর রক্তক্ষয়ের মধ্য দিয়ে হাসিনার পতন হতে পারতো তা অনেকটাই কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ওয়াকারের ভূমিকা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

জেনারেল ওয়াকার বিডিআর ম্যাসাকার, আয়নাঘর, ক্রসফায়ার এগুলোকে অস্বীকার করেন নাই। তবে তিনি এসব সংস্থাকে দুর্বল করার পক্ষপাতী নন। তিনি এগুলোকে টিকিয়ে রেখেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে চেয়েছেন।  অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে তা তিনি উল্লেখ করেছেন পরিস্কারভাবে। এতে করে ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে অন্ধ হতে বসা একটি গোষ্ঠী, অতি ডান,অতি বিপ্লবী এবং তার পাশাপাশি কমবেশি সবার প্রতি সতর্কবার্তা রয়েছে। বিশেষ করে তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে যে বর্তমান সরকার আদতে সহজ সমাধান হিসেবে নির্বাচন দেওয়ার পথ খুঁজছে। আগামী তারা সেই কাজটিকে সহজ করার জন্য যা প্রয়োজন সেদিকেই দৃষ্টি দেবে। 

উপরোক্ত বিষয় চিন্তা করতে গেলে ফ্যাসিবাদ পতনের পর জনতা সেনা প্রধানের যে বক্তব্য শোনার জন্য দুপুর থেকেই উদগ্রীব ছিল তার থেকেও এই বক্তব্য বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ তখন তিনি কি বলতে পারেন সেটা সবাই বুঝে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। তবে এই বক্তব্য তিনি কী বিষয় নিয়ে দিতে যাচ্ছেন তা সবার কাছে অস্পষ্ট ছিল। পক্ষান্তরে তার কাছে কেউ এতোটা দৃঢ়তা আশা করে নাই। অন্যদিকে অতিরিক্ত দৃঢ়তা নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার মতো খায়েশ আপাতত তার বক্তব্য থেকে পাওয়া যায় নি। তাই ভবিষ্যতে কী হবে তা নিয়ে এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। 

অনেকে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন সেনা প্রধানের এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে সেনা শাসন আপাতত আসছে না। তিনি নাকি এ বিষয়টি তার কথায় পরিষ্কার করেছেন। কিন্তু অনেকগুলো অ্যাঙ্গেল থেকে দেখতে গেলে সন্দেহ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বেশ কিছুদিন আগে একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হঠাৎ করে তাদের পাশাপাশি আরেকটি দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে সেনাবাহিনীর নাম বলে যে বিতর্ক উষ্কে দিয়েছিলেন আপাতত তার থেকে মুক্তি মিলেছে। 

সেনা প্রধান সরাসরি উল্লেখ করেছেন তিনি দেশে কোনো অগণতান্ত্রিক শাসন দেখতে চান না। পাশাপাশি দেশে পরিবেশ পরিস্থিতি ঠান্ডা করতে পারলে সিভিল প্রশাসনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তিনি তার দলবল নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সেনা ব্যারাকে ফিরতে উদগ্রীব। আর সেদিক থেকে চিন্তা করলে আপাতত তার ক্ষমতা দখলের লোভ আছে এটা বলা যাচ্ছে না। 

জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে একটি বিষয় নিয়ে তা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সেনা বাহিনীর প্রত্যক্ষ  সহযোগিতা পেয়ে তারা দুর্বিনীতি আওয়ামী জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছিল। সেই সময়ের যারা অপরাধী তাদের শাস্তির ব্যাপারে সেনা প্রধানের বক্তব্যে সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নাই। তবে যারা অপরাধী তাদের শাস্তির বিষয়ে একেবারে না করে দেন নাই। অন্যদিকে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সেনা প্রধানের বক্তব্য অনেকের বিরক্তির কারণ হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সবাই যার যার অবস্থান থেকে বক্তব্য রাখছেন। 

সেনা প্রধানের বক্তব্যের সব সীমাবদ্ধতা আড়াল করেছে হানাহানির পথ বদ্ধের আহ্বান। তার হিসেবে প্রতিটি নতুন-পুরাতন রাজনৈতিক দল একে অপরের বিনাশের পথে পা না বাড়িয়ে নিজেদের ক্রমিক বিকাশে মন দেবে। আর সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ সহজ করতে পারে। অনেকে মনে করে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের সময়ের কিছু সিদ্ধান্ত যেভাবে বিপদের উদ্রেক করেছিল তেমন পরিস্থিতির ভয় পেয়েছেন জেনারেল ওয়াকার। তাই তিনি অতি দ্রুত সেনাবাহিনীতে চেইন-অফ-কম্যান্ড ফেরাতে গিয়ে জিয়াউর রহমানের গৃহীত সেইসব কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এখন নেওয়ার সাহস দেখাননি তিনি। 

আমরা জানি যে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ডা ফেরাতে গিয়ে অনেকগুলো কঠিন সিদ্ধান্ত হিসেবে কয়েকটি কোট মার্শাল হয়েছিল জিয়াউর রহমানের সময়ে। সেগুলোকে সামনে রেখে শাহাদুজ্জামানের জনপ্রিয় গালগল্পের পাশাপাশি অনেকেই বিবিধ মিথ্যাচার আর বিষোদ্‌গার জারি রেখেছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষত লে. কর্নেল আবু তাহেরের কোর্ট মার্শাল নিয়ে বাজারে নানাবিধ মুখরোচক গল্প প্রচলিত। কিন্তু সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা বিনষ্ট করে কেউ লিফলেট বিতরণ করলে তার শাস্তি কী সেটা এখনও সবার জানা। কিন্তু সেটাই যখন লে কর্নেল আবু তাহেরের প্রসঙ্গ আসে সবাই কেমন ভেংচি কাটে।

মূলত এই সময় থেকে সেনাবাহিনীতে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে একটা গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে গিয়েছিল যারা আজন্মের শত্রুতা করে গিয়েছে। এজন্যই হয়তো জেনারেল ওয়াকার রাতারাতি সব ফ্যাসিবাদী অফিসারকে শাস্তি দেওয়ার সাহস নাও দেখাতে পারেন। তবে তার এই ব্যর্থতা এড়িয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার যে সদিচ্ছা তিনি দেখিয়েছেন তার জন্য সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্তিম পর্বে তার দৃঢ়তা নিঃসন্দেহে অনেক প্রাণহানি এড়াতে পেরেছে। হয়তো জেনারেল ওয়াকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের সফলতা হিসেবেই এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চেইন-অফ-কমান্ড পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েনি পুলিশের মতো। দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের শাস্তির পাশাপাশি এই চেইন অব কমান্ড ধরে রেখে একটা সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন করে সেনাদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে পারলেই জেনারেল ওয়াকারের সফলতা পূর্ণতা পাবে। ততদিন অবধি দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ধরে রেখে অপেক্ষা করার বাইরে আমাদের তেমন কিছু করার নাই। 

যারা বলছেন ‘হায় দেশের ক্ষমতায় এখন বুটের আওয়াজ পাওয়া যায়’। তাদের বিশ্লেষণ সঠিক নয়। আপাতত তাদের আশঙ্কাকে সত্যি করতে পারে এমন পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে না। অন্যদিকে সেনাপ্রধান সুস্পষ্ট করে নির্বাচনের দিকে তাগিদ দেওয়াতে এই সম্ভাবনাকে আপাতত উড়িয়ে দিলেও সমস্যা নাই। তবে অতি উৎসাহী এবং উগ্রবাদী কেউ যদি দেশের পরিবেশে আরও বিশৃঙ্খল করে তোলে তখনকার পরিস্থিতি নিয়ে আগ বাড়িয়ে এখন কিছু না বলাটাই বুদ্ধিমানের হবে। -