মোহাম্মাদ আল-আমীন
·
পাকিস্থানে ইমরান খানকে ফেলতে চেয়েছে, ফেলেছে। কিন্তু এই ফেলে দেয়ার মাধ্যমে কি তার ক্ষমতা কমাতে পেরেছে? না, বরং উল্টো হয়েছে। অবস্থা এখন এমনই যে আগের ইমরান খানের চেয়ে বর্তমান ইমরান দশ গুন শক্তিশালী। পাক সেনাবাহিনী আর সরকার ইলেকশান ফেস করতে চাচ্ছেনা ভয়ে। যদি ইমরান আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে তাই। গড়িমসি করছে। ফন্দি ফিকির তো আছেই। জনগন যদি আস্থায় থাকে—দিন শেষে ফন্দি ফিকিরে কাজ হয়না।
এরদোগানকেও ক্ষমতায় দেখতে চায়নি মোড়লরা। পেরেছে? পলিটিশিয়ানদের শক্তির জায়গা জনগণ। বিশেষ করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। বাংলাদেশের সমাজ কাঠামো গণতন্ত্র বান্ধব। এখানে বিপ্লব হয়নি হবেনা। মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি কিন্তু তাকে কথা বলতে দিতে হবে। এটা নর্থ কোরিয়া নয় চীন রাশিয়া নয়। পাঁচ বছর পর পর তাকে ভোট প্রয়োগের অধিকার দিতে হবে। এই অধিকার সে যুদ্ধ করে আদায় করেছে। শুধু একাত্তুরে নয় দু’শো বছর বৃটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে এই অধিকারের জন্য।
জনগনের রায় পড়তে পারেনি বিধায় পাকিস্থান টেকেনি, জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ। একাত্তুরে যে জনগণ শেখ মুজিবকে নেতা বানিয়েছিল সেই মুজিব জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল, ফলে তার মৃত্যুতে উল্লাস করেছিল ঐ একই জনগণ।
শুধু কি ম্যাকানিজম করে ওয়ান ইলাভেন হয়েছিল? আমার মনে হয় না। জনগণও চেয়েছিল একটা কিছু হোক। মন্দের ভালো। দু’ দু’ বছর অনির্বাচিত মঈন-ফখরুদ্দীনকে মেনে নিয়েছিল একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের আশায়।
সেই অবাধ নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে জনগণকে গরু গাধা ভাবা শুরু করলো হাসিনা। জনগনের বুদ্ধি কম, ভুল করে বিএনপি-জামায়াতকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে জন্য ভোটাধিকার কেড়ে নিলো। কায়েম হলো লাইলাতুল ইলেকশান।
২০৪১ সাল পর্যন্ত রোডম্যাপ ক্লিয়ার করতে গাছে উঠে নিজের মই নিজেই কামড়ে খেলো। নামার কোন পথ রাখলো না। ফলে, জনগণ যখন করাত দিয়ে গাছ কাটা শুরু করলো তখন মগ ডালে বসে চিৎকার শুরু করছে— আমি বঙ্গবন্ধুর কন্য, কাউরে ভয় পাইনা।
তোর ভয় পাইতে হবে ক্যান? গাছে উঠছোস, নেমে আয়! চিৎকার করিস ক্যান?
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন