শাহীন সিদ্দিকী
এক.
ছেলে আর মেয়ে।
না, এখানেই শেষ নয়। আরো আছে। হ্যাঁ, আরো অনেক অ...নে...ক আছে......
সৃষ্টির পর থেকে মানব সভ্যতা আত্ম-পরিচয়ের এরকম ডেফিনেশানের সম্মুখীন আগে হয়নি। মানুষ তার ইনার ফিলিংস থেকে নির্ধারণ করবে সে আসলে কি। যে জেন্ডার নিয়ে সে জন্মেছে সেটা তার ফিলিংস’র সাথে না মিললে সে নিজেই চুজ করবে তার আইডেন্টিটি। জেন্ডার ইজ অ্যা মোর কমপ্লেক্স থিং!
· পুরুষ
· মহিলা
· বাইনারি (উভয়ই। মানে, একই সাথে বয় এন্ড গার্ল)
· নান-বাইনারি (কোনটাই না। মানে, মেইলও না, ফিমেইলও না। সামথিং এলস, ইট কুড বি আনলিমিটেড)
· ট্র্যান্সজেন্ডার (বার্থ জেন্ডারকে যে চেঞ্জ করে ফেলেছে)
· জেন্ডারফ্লুয়িড (স্পেসিফিক কোন জেন্ডারের ব্রাকেটে সে নিজেকে আইডেন্টিফাই করে না)
· জেন্ডার স্পেকট্রাম (যার মধ্যে রয়েছে বহু জেন্ডারের সমাহার)
· কিউ (কোয়েরি বা কোয়েশ্চন। মানে, সে জানেই না, কোন জেন্ডারের মানুষ সে)
টমেটো, এভোকাডো, ব্রকোলি, কলিফ্লাওয়ার, স্পিনাচ ইত্যাদি দিয়ে কালারফুল ভেজিটেবলের যেমন একটা বাস্কেট বানানো হয়, তেমনি উপরিউক্ত আনলিমিটেড জেন্ডার দিয়েই এই মানবজাতি। জন্মসূত্রে এক বয় চাইল্ড যদি তার ইনার ফিলিংস থেকে উপরের কোন একটি আইডেন্টিটি বেছে নিতে চায়, সে তা পারবে। এটা দোষের না, কমপ্লিটলি নরমাল!
প্যারেন্টসের অনুমোদন?
সেটাও অবশোনাল! জেন্ডার ক্লিনিকে গিয়ে পিউবার্টি ব্লক করে সে তা করতে পারবে, ইত্যাদি।
ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন এসব অনুমোদন করেছে ইনক্লুশোন, টলারেন্স, ইম্প্যাথি এসব সুন্দর সুন্দর শব্দমালার আড়ালে। টিচিং টলারেন্স নামে টিচারদেরকে গাইডও (ডাইভার্স চিল্ড্রেন্স বুকস ট্র্যান্স এন্ড নান-বাইনারি চিলড্রেনঃ ওয়েল্কামিং স্কুলস) সরবরাহ করেছে। জেন্ডার ইভোল্ভ ইজ সাইন্টিফিক, প্রগ্রেসিভ ইত্যাদি।
দুই.
এদের মুখোশ উন্মোচন করছেন ব্রেন্ডা লেবস্যাক। Brenda Lebsack গুগলে টাইপ করে জাফর ইকবাল করলেই সব পেয়ে যাবেন। ২৫ বছরের বেশী সময় ধরে তিনি সেখানে টিচিং এ ছিলেন। বোর্ডেও ছিলেন চার বছর। অদ্ভুত এই সিস্টেমকে তিনি চ্যালেঞ্জ করছেন। ‘ইউ এস ফরেনসিক সাইন্টিস্ট’র দ্বারস্থ হয়েছেন। কথিত সাইন্টিফিকের ব্যাখা চেয়েছেন। ফরেনসিক সাইন্টিস্ট জানিয়েছে, তাদের হাতে এর সপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ নাই।
খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসী মিস লেবস্যাক খ্রিস্টান, ইসলাম, ইহুদী, হিন্দুসহ সব ধর্মের স্কলারদের কাছেই যাচ্ছেন। জনমত গঠন করছেন।
এরা কারা? এদের কারা শক্তি যোগায়?
কেউই জানেনা। কেউ ঠিকমত উত্তর দেয় না। যারা সংখ্যার দিক থেকে শূন্য দশমিক জিরো জিরো জিরো জিরো এক পার্সেন্টও না, তাদের এই বিধ্বংসী শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কেউ সরব হয় না। কারণ এর বিরুদ্ধে একটা কথা বললেই আপনি ব্যান হয়ে যাবেন, এক লাইন লিখলেই আপনি একাডেমিক পদ হারাবেন, সেমিনারে আমন্ত্রণ বন্ধ হয়ে যাবে, আপনাকে সম্পূর্ণ একা করে ফেলা হবে। কেন? মুক্ত দুনিয়ায় তার কোন উত্তরও আপনি জানবেন না। বড় কোন শয়তান আড়াল থেকে এদের নিয়ন্ত্রণ করে।
এর ফলে কি হচ্ছে?
সাইকোলজিক্যালি প্যারালাইজড একটা জেনারেশন তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কনফিউজড! নতুন এক ধর্ম “এগ্নোস্টিক” এর উদ্ভব হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭ শতাংশ (৪০০-৫০০ মিলিয়ন)মানুষ এখন এগ্নোস্টিক বা এথেইস্ট। আমেরিকার এক ইউটাতেই আত্মহত্যার হার এখন ২০% এরও বেশী।
আপনার সন্তান কি করছে তা আপনি জানেন না। কারণ আপনার বাসার কোন এক ক্লজেটের একজন ‘মুক্ত’ বাসিন্দা সে। নতুন জগতের এ যেন ভিন্ন এক প্রজাতি! আপনি নিজে কখনো দেখেন না ও কি করছে, কিই বা সে শিখছে। কারণ আপনি, আমি যে খুবই ব্যস্ত!
এই সন্তানগুলোকে হারাতে দেয়া যাবেনা। অস্বাভাবিক, কাল্পনিক এই অভিনব শিক্ষা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আপনাকে আমাকে জাগতে হবে।
তোমরা ‘সাদামাটা’রা যারা এসব করছো, মনে রেখো, বেলুনের মতো কিছুদিন ফুলে উঠলেও, দ্রুত চুপসে যাবে। পৃথিবীতে তোমাদের সফলতা শুধুই ঘৃণা কুড়ানো।
#শিক্ষাপদ্ধতি #জাফরইকবাল #সপ্তম_শ্রেণী #বিবর্তনবাদ #জেন্ডার_ক্রাইসিস #আত্মপরিচয়
#আলহামদুলিল্লাহ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন