বিষয়টি এভাবেও দেখা যায়!
"আইটি সেক্টরে যারা কাজ করেন বা মোটামুটি দখল আছে তারা ‘বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম’ সম্পর্কে জানার কথা। বিশ্বের বিখ্যাত-প্রখ্যাত সফটওয়ার নির্মাতা, ওয়েব পেইজ এর মালিক এবং সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মালিকরা তাদের সফটওয়ার, ওয়েব পেইজ কিংবা সাইটের মধ্যে থাকা বাগ (প্রোগ্রামিং এর ভুল কিংবা নিরাপত্তা ঝুঁকিপুর্ন কোডিং) ধরিয়ে দিতে পারলে বড় অংকের টাকা পুরষ্কার দেন। নিজেদের ভুল ধরিয়ে দিলে এই কোম্পানীগুলো কেন টাকা দেয়? কারণ- এর ফলে তাদের প্রোডাক্ট আরও ভালো হয়, প্রোডাক্ট এর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
বাংলাদেশে আজ ঘটেছে এক আজব ঘটনা! বায়েজিদ তালহা নামে এক লোক পদ্মা সেতুর কংক্রিট এর কাঠামোর সাথে আটকে রাখা ইস্পাতের রেলিং এর বল্টু থেকে নাটগুলো খুলে ফেলেছে। এটা খোলার ভিডিও সে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়েছে এবং বলেছে- “এই হলো পদ্মা সেতু আমাদের। হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু।”
যে দেশে ম্যানহোল এর ঢাকনি থেকে শুরু করে রেল লাইনের স্লিপার পর্যন্ত চুরি হয়ে যায়, সেই দেশে এই লোকটি কেন পদ্মা সেতুর এই দুর্বলতা দেখাতে গেল! তার তো উচিত ছিল- আরো কিছু নাট-বল্টু খুলে সেগুলো ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রী করে দেয়া। তাহলে এই বাংলাদেশের চোরেরা খুশি হতো। কিছুদিন পরে আরো অনেকে নাট-বল্টু খুলে ব্রিজের রেলিং হাপিস করে দিলে নতুন রেলিং লাগানোর জন্য আরও কয়েক’শ কোটি টাকার বাজেট করা যেত, তাই না!
বায়েজিদ যা করেছে এটা যদি ইউরোপ আমেরিকা বা কোন সভ্য দেশে ঘটতো, তাহলে সেতু কর্তৃপক্ষের কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার সাসপেন্ড হবার পাশপাশি ঠিকাদার কর্তৃপক্ষকে বিরাট অংকের জরিমানা গুনতে হতো, পাশাপাশি ‘বাগ হান্টার’ হিসেবে বায়েজিদ পেত বড় অংকের পুরষ্কার।
কিন্তু এটা বাংলাদেশ, তাই চোর ধরিয়ে দেয়া বায়েজিদ গ্রেফতার হয়ে জেলে, আর চোরেরা হাসে-খেলে।"
লেখাঃ আকতারুজ্জামান...
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন