ড. তুহিন মালিক
নাটকের জন্ম দেয়া হলো।
আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে এমন কী দৈন্যতা এলো যে। একজন পর্ননায়িকাকে দিয়ে এর শুণ্যস্থান পূরন করতে হবে? আমরা যারা নিত্যদিন বিজাতীয় সংস্কৃতির কথা বলে চিঁড়ে ভিজিয়ে দিই। আজ তাদের মুখে যেন দই জমে না থাকে।
কোনো জাতিকে যুদ্ধ ছাড়াই ধ্বংস করার অভিনব এক পন্থা হচ্ছে- সেই জাতির মধ্যে অশ্লীলতা ও ব্যভিচারের প্রচলন করে দেয়া। হিন্দি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এই প্রচলন তো এ দেশে বেশ আগেই চালু হয়ে গেছে। এবার ভারতীয় পর্ননায়িকার ভি-চিহ্ন দেখিয়ে বাংলাদেশে পদার্পণ যেন আমাদের দেশী ভাষা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি আর মূল্যবোধের দোহাই দেয়া বিবেকগুলোকে বোবা বানিয়ে না দেয়।
অবাকও লাগে! আবার দুঃখও লাগে! এতগুলো ইসলামি ব্যক্তিত্বের ওপর বাংলাদেশে প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি আমরা। কিন্তু একজন পর্ননায়িকাকে বাংলাদেশে প্রবেশে বাঁধা দেবার যেন কেউ নেই!
মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন হচ্ছে। এই পর্ননায়িকা কি আমাদের দেশে জোড় করে প্রবেশ করেছে? নাকি আমরা নিজেরাই তাকে নিয়ে এসেছি? যারা দেশের মানুষকে ব্যভিচারিতা দেখাতে উদগ্রীব। তাদেরকে জনসম্মুখে চিহ্নিত করার সৎসাহস কি কারো আছে?
দেশে ন্যায় নীতি, নৈতিকতা, ধর্মের কথা এখন কে বলবে? যারা বলবে। তাদের অধিকাংশই হয় কারাগারে। নাহয় মামলার হুলিয়ার জালে স্তব্ধ। সমাজের নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষগুলোও আজ শংকিত। পাছে লোকে না আমাকে মৌলবাদী-রাজাকার বলে গালি দেয় এই ভয়ে সমাজের মুরব্বিরা পর্যন্ত এখন মুখ খুলতে নারাজ।
ফাইভ জি গতিতে তরুণ সমাজের হাতের নাগালে চলে এসেছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট জগৎ। শত-সহস্র পর্নসাইট দিয়ে ভরে গেছে এসব কিছু। সমানে চলছে নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে। সাধ্য নেই কারো। এসব নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন করার। দেশের নীতিনির্ধারক ও কর্তাব্যক্তিরা এ ব্যাপারে যেন মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন দিব্যি। সুশীলসমাজ বা রাজনীতিবিদদেরও যেন কিছুই করার নেই।
দেড় হাজার বছর পূর্বের আরবের অবস্থাও অনেকটা এমনই ছিল। নযর ইবনে হারেস কয়েকজন দাসী ক্রয় করে রেখেছিল। যখন সে শুনতো যে কোন মানুষ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। ইসলামের প্রতি ধাবিত হচ্ছে। তখন সে একজন দাসীকে লেলিয়ে দিতো। সেই দাসী সেই লোককে পানাহার করাতো। তাকে গান শোনাত। তার মনোরঞ্জন করাতো। একপর্যায়ে সেই লোকের আর ইসলামের প্রতি কোন আকর্ষণ বাকি থাকতো না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন