মিনার রশিদ
এদেশের সেনাবাহিনীকে ধ্বংস , বিনাশ বা দুর্বল করার জন্যে তিনটা ধাপ রয়েছে । প্রথম ধাপটি ছিল জন্মের আগে । প্রবাসী সরকারের সঙ্গে সাত দফা চুক্তির একটি শর্তই ছিল - এদেশে কোনো সেনাবাহিনী রাখা যাবে না - একটা প্যারামিলিটারি থাকবে । এভাবে সেনাবাহিনীর জন্মতেই বাঁধা দেওয়া হয়েছে ।
এরপরেও এই শিশুটির জন্ম হলে আঁতুড় ঘরে না না ভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে - বিশেষভাবে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত । এটি দ্বিতীয় পর্যায় ।
তৃতীয় পর্যায়টি হলো - ৭৫ থেকে ২০০৫/২০০৬ পর্যন্ত ।
এদেশের চিহ্নিত বুদ্ধিজীবীরা প্রশ্ন তুলে শ্বেত হস্তীর মত এই সেনাবাহিনী পোষে কী লাভ হবে ? তারা সুইজারল্যান্ডের উদাহরন টানতেন এবং বলতেন সুইজারল্যান্ড যদি সেনাবাহিনী ছাড়া চলতে পারে তবে আমরা পারবো না কেন ? ২০০৫/২০০৬ সালের দিকে এই গ্রুপটিই সেনাবাহিনীর মারাত্মক প্রেমিক হয়ে পড়ে । বিষ খাইয়ে যারা এতদিন সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে পারেন নাই - ইনারাই এবার মিঠাই খাইয়ে মারার সুবন্দোবস্ত করে ফেললেন ।
এক- এগারো থেকে শুরু করে পিলখানা হত্যাকাণ্ড - এটি ছিল সেই মিঠাই খাওয়ার কাহিনী !
পিলখানা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে জাতির রক্তে এইডসের জীবাণু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এইডস হলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে পড়ে। তখন রোগী সর্দি জ্বরেও মারা যেতে পারে ।
শহীদদের পরিবারবর্গকে সান্ত্বনার চকোলেট হিসাবে যে ফ্লাটগুলি দেওয়া হয়েছে , সেগুলি তৈরি করা হয়েছে আবার ৭ই নভেম্বরের স্মৃতি বিজড়িত জিয়া পরিবারের বসত বাড়িটি ধ্বংস করে।
একটা জাতি যদি তার শত্রুমিত্র ঠিকভাবে চিনতে না পারে তবে সেই জাতির স্বাধীন অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়ে যায়। গত ৫০ বছর যাবত জাতিকে এই গোলক ধাধায় ফেলা হয়েছে। শত্রু শুধু আমাদের দুর্বল জায়গাটুকু চিনে ফেলছে শুধু সেটুকুই নয় - সেই দুর্বল জায়গার পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিয়ে ফেলেছে।
এখান থেকে বাঁচার একটাই উপায় । সেই উপায়টি হলো - এই এইডস রোগটির অস্তিত্ব সম্পর্কে ওয়াকেবহাল হওয়া ।
যে করেই হোক , আমাদের এক হতে হবে । সবাই যদি এক সাথে মরার জন্যে প্রস্তুত হই তবে কাউকে মরতে হবে না । কিন্তু বাঁচার জন্যে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি তবে কেউ বাঁচতে পারবো না ।
পঁচিশে ফেব্রুয়ারি আমাদেরকে এই শিক্ষাটাই দেয় ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন