মিনার রশিদ
আমাদের ময়মনসিংহ অঞ্চলে কিছু ইউনিক শব্দ রয়েছে । সুশীল ভাষায় এগুলির ব্যবহার খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না । এই শব্দগুলি সঠিক জায়গায় ব্যবহার করলে কষ্টের সময়েও মনটা অনাবিল শান্তিতে ভরে যায় । আজ এরূপ তিনটি শব্দ আপনাদের খেদমতে পেশ করছি ।
কান্ডামি :
এই শব্দের হুবহু সুশীল অনুবাদ কঠিন । ছোটবেলার খেলার সঙ্গীদের সাথে প্রতারণা , নিজের সুবিধাজনক সময়ে খেলা ডিসমিস করে দেওয়া - এরকম করলে বলা হতো কান্ডামি করা । যে এরূপ করত বন্ধুরা তাকে কান্ডা হিসাবে আখ্যায়িত করত ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষের সাথে আওয়ামীলীগ যা করে তাকে এক কথায় বলা যায় ‘কান্ডামি’ । দেশের গণতন্ত্র এবং জাতির কপাল খেয়েছে আওয়ামী লীগের এই কান্ডামি । হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কান্ডার নামটি আর বলার প্রয়োজন পড়বে না । এটি কান্ডা না হয়ে হবে কান্ডি !
শিনাজুরি :
নিজে ভুল জায়গায় থেকে কিংবা নিজে ভুল / অপরাধ করে তা প্রতিপক্ষের কাঁধে চাপানোকে বলে শিনাজুরি । করে তো চুরি তারপরে করে আবার শিনাজুরি ! এদেশের রাজনীতিতে এই শিনাজুরিতে আওয়ামী লীগের জুরি নেই ! নিজেরা লবিয়িং করে ধরা খেয়েছে । এখন সেই দোষ চাপায় স্বল্পভাষী বিএনপির কাঁধে । দেশের মানুষকে খুন – গুমের হাত থেকে বাঁচাতে বিএনপি যদি এই লবিয়িং করেও থাকে - তাতে দেশের মানুষ বিএনপির উপর বরং খুশি হবে ! কারণ এই দানবদের থামানোর অন্য কোনো উপায় নেই । এই রাষ্ট্রযন্ত্রটি হয়ে পড়েছে এক পাগলীর হাতের দায়ের মত ! কারে যে কখন কোপাবে তার কোনো ইয়ত্ত্বা নাই !
টেডনামি :
চালাক বা ধূর্ত মানুষকে বলে টেডন এবং তাদের কর্মকে বলে টেডনামি ! এরকম এক টেডনের কাহিনী আপনারা সকলেই জানেন । সেই টেডন নিজের বউকে শহরে নিয়ে যায় । শহরে গিয়ে অত্যন্ত বাহাদুরীর সাথে বিল্ডিং গুণতে থাকে- এক, দুই , তিন । এটা শহরের অন্য এক টেডন দেখে ফেলে । ডেকে বলে , এই যে মশায় , কয়টা গুণলেন ? যতটা বিল্ডিং গুণেছেন ঠিক ততটা টাকা তাড়াতাড়ি বের করেন ।
কিছুক্ষণ পরে বউ বলে , এই বুঝি আপনার টেডনামি ! তখন টেডন তার বউকে বলে , দেখলি না আমার চালাকি । গুণলাম বারো টা , আর টাকা দিলাম দশটার !
এই টেডন তার বউয়ের কাছে যেমন নিজের স্মার্টনেস দেখায় সেই একই কিছিমে আওয়ামী লীগ দেশবাসীর কাছে নিজের গ্লোবাল টেডনামি দেখায় ।। আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ভালোভাবে ধরা খেয়েছে এই টেডন সরকার । আমেরিকার কংগ্রেসম্যান বলে এক কথা । দেশের মানুষকে এসে বোঝায় অন্য কথা ! এই টেডনের কথা শুনে সেই কংগ্রেসম্যান আবার তার কথা খোলাসা করে ! কমেন্টসে সেই লিংক দেওয়া হলো ।
জাতিসংঘে অন্তত পক্ষে কয়েক শ কমিটি / উপকমিটি রয়েছে । বিশ্বে দেশ আছে সর্বমোট দুই শ । এই সব কমিটিতে সাইক্লিক অর্ডারে একেক দেশ সভাপতি হয় । এরকম একটি পিস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছে বাংলাদেশ । এরকম চেয়ারম্যান পরের বছর হবে হয়তো উগান্ডা । এগুলি দিয়ে মানবাধিকার লংঘনের গুরুতর অভিযোগ থেকে এই টেডন সরকারের মনে হয় রেহাই মিলবে না । এই টেডনকে বিশ্বের সবাই চিনে ফেলেছে !
বিশ্বের টপ পনেরটি মানবাধিকার সংস্থা বিষয়গুলির পেছনে লেগেছে । কাজেই টেডনের এই সব লেফ রাইট কোনো কাজে লাগবে না ।
বিশ্ব মানবতা জেগে ওঠেছে ।
এবার আপনারা জাগুন !
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন