মিনার রশিদ
যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ তার নেই অথচ এমন কোনো হেন কাজ নেই যা এই ক্ষমতায় যাওয়া এবং সেখানে টিকে থাকার জন্যে করেন নাই !
যে ক্ষমতার জন্যে উনার সামান্যতম লোভ নেই বলে অসংখ্যবার উচ্চারণ করেছেন সেই ক্ষমতা পাওয়ার জন্য ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ইতিহাসের দুটি জঘন্যতম নির্বাচন করেছেন । বিশ্বের গণমাধ্যমগুলি সেই নির্বাচন গুলিকে উত্তর কোরিয়া , মিসর , সিরিয়ার নির্বাচনের সাথে তুলনা করে ঠাট্টা মশকরা করেছে !
২০১৪ সালে এরশাদকে জোর করে গৃহপালিত বিরোধীদল / নেতা বানাতে গিয়ে সিএমএইচে বন্দি করা সহ যে সব নাটক / সার্কাস করেছেন তা ক্ষমতার প্রতি একজন মানুষের লোভ কত তীব্র হতে পারে তা প্রকাশ পেয়েছে !
এই ক্ষমতার জন্যে দেশের সার্বভৌমত্বকে তিনি অন্য একটি দেশের হাতে তুলে দিয়েছেন ।
এই ক্ষমতাকে নিস্কন্টক বানানোর জন্যে প্রথম রাতে বিড়াল মারার মত পিলখানায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানগুলিকে একত্রিত করে ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন !
এই ক্ষমতাকে নিস্কন্টক বানানোর জন্যে তার মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের একে একে খতম/ নিস্তেজ করেছেন যা দেখে ইবলিশ শয়তানও স্যালুট করেছে !
এই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্যে তিনি নিজে এতিম বলে মায়াকান্না করেছেন এবং ক্ষমতায় বসে হাজার হাজার এতিম সৃষ্টি করেছেন ।
এই ক্ষমতার লোভেই একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতির সকল মর্যাদা ভূলুন্ঠিত করে অন্য একটি দেশের সঙ্গে স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্ক পাতিয়েছেন ।
এই ক্ষমতার কারণেই ইন্ডিয়াকে যা দিয়েছেন তা ইন্ডিয়া কখনো ভুলবে না বলে নিজ মুখেই জানিয়েছেন !
এই ক্ষমতাকে পোক্ত করতে দেশের সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করেছেন । পুরো দেশটিকে মাফিয়াদের হাতে তুলে দিয়েছেন !
এই ক্ষমতার জন্যে তিনি ‘খাই -ত্রাণ -দিই-রুল’ বা খায়রুলের মত বিবেক বর্জিত ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি বানিয়ে এবং কালা মানিকের মত দলীয় ক্যাডারদের বিচারপতি বানিয়ে বিচারব্যবস্থার কফিনে শেষ প্যারেকটি মেরেছেন । সেখান থেকে এক মূর্দা লাশ ( এসকে সিনহা ) একটু জ্যান্ত হতে চাইলে আক্ষরিক অর্থেই লাথ্থি মেরে দেশ থেকে বের করে দিয়েছেন !
এর পরেও মানতে হবে যে তিনি যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় যেতে চান না!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন