আপনি, আমি বড়জোর পরিকল্পনা করতে পারি এবং সেই অনুপাতে চেষ্টা করতে পারি! পারবো কি পারবো না সেটি সময়ের বিষয়! এটা মাথায় রেখেই তাই প্রচেষ্টার পথে থেমে যাওয়া যাবে না!
জীবন এমন এক গোলকধাঁধা, আপনি আর আমি জানিই না কখন তা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে। এত বড় অনিশ্চয়তা নিয়েও আমরা মানুষ বলেই হয়তো এত পরিকল্পনার বহর সাজাই! অনেক কিছুই প্রত্যাশামাফিক মিলবে না, মিলে গেলেই তো অসম্পূর্ণতা থাকবে না! আর পার্থিব জীবনে প্রতীকীভাষ্য ছাড়া সম্পূর্ণ কেউ নন।
যা আপনি চাইলেন তা পেলেনই না, আবার যার জন্য কিছুই করেননি সেটি হয়তো আপনার কাছে অজান্তেই চলে আসলো। জীবন ঠিক এমনই। কেউ আপনাকে বঞ্চিত করবে, আপনি অজান্তেই কাউকে বঞ্চিত করবেন! অথচ আপনি দেখবেন শুধু অন্যের কৃত বঞ্চনা। আপনার মাধ্যমে অন্য কেউ বঞ্চিত হলো কিনা সেটির হিসেব রাখাও যে জরুরি, তা আপনার মাথায় হয়তো কাজ করবেই না! কাজ করতে পারে যদি আপনি হন মহৎপ্রাণ। আবার আপনার দ্বারা কেউ বঞ্চিত নাও হতে পারে, এরকম যদি হয়ে যায় তাহলে আপনি নিতান্তই ভাল মানুষ।
জীবন থেকে আমার ব্যক্তিগত প্রত্যাশা খুব ক্ষীণ, চলার পথে এ জীবনে যা পেয়েছি তা হয়তো অনেকেই পায়নি, তাই সন্তুষ্টি কম নেই আলহামদুলিল্লাহ। আবার অনেকে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েও সন্তুষ্টি লাভ করেননি। সন্তুষ্টির বিষয়টি এতটাই আপেক্ষিক যে কখনো একজন মহান শ্রমিকের সন্তুষ্টির কাছে বিলিওনিয়ারের সন্তুষ্টি ফিকে পড়ে যায়।
জীবন এভাবেই নানা রঙে আমাদের রাঙিয়ে যায়। তাই জীবন থেকে প্রত্যাশাকে সংকুচিত করতে শিখুন, খুশি থাকুন। ‘অমুকের এই আছে আমার কেন নেই’ এই লাইন থেকে বের হতে পারলে, জীবন অনেক সুন্দর হয়ে ধরা দেবে। ইংরেজি নতুন বর্ষে মহান রাব্বুল আলামিন এর কৃপায় পরিবার, পরিজন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চাই, এর বাইরে চলুক জীবন জীবনের মত। প্রত্যেকের আগামী সুন্দর হোক।
লেখক : এডিসি, ক্যান্টনমেন্ট ও খিলক্ষেত, ডিএমপি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন