মিনার রশিদ
পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়ার জন্যে স্বৈরশাসকগণ স্লো পয়জনিংকেই নিরাপদ উপায় জ্ঞান করে । রাশিয়ার এক এক্টিভিষ্টকে জেলে স্লো পয়জেনিং করা হয়েছিল । তার অবস্থা যখন খুব খারাপ হয়ে পড়ে তখন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে তার মৃত্যু স্বাভাবিক দেখানো সম্ভব হয় । পরবর্তিতে তার পরিবার তাকে গোপনে জার্মানীতে নিয়ে গিয়ে চেকাপের পর ধরা পড়ে যে তাকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছিল !
বেগম খালেদা জিয়াকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও দেশের বাইরে চিকিৎসার অনুমতি না দেয়ার পেছনে এটাই মূল কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন ! শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিলে সরকারের উপর থেকে একটা ব্লেইম সরে যেতো । তারপরেও এই অনুমতিটা দিচ্ছে না কেন ?
এটা একটা ট্রিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন !
মৃত্যু পথযাত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যারা এরূপ আচরণ করতে পারে -তারা তাদের মূল চক্ষুশূল তারেক রহমানের প্রতি কী আচরণ করবে তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না ! এরপরেও কিছু কিছু বিজ্ঞজন ও বিশ্লেষক তারেক রহমানকে দেশে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন । বিষয়টিকে ঘিরে একটি বয়ান তৈরি হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে অত্যন্ত মুন্সীয়ানার সাথে থ্রু করা হচ্ছে !
যারা তারেক রহমানকে এই মুহুর্তে দেশে ফেরার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা বর্তমান রাষ্ট্রটি এবং তার কর্ণদারদের চিনতে এখনও মারাত্মক ভুল করে যাচ্ছেন !
তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়ায় যেখানে বিচারককে দেশ ছাড়তে হয়েছে সেই ঢেড়ায় তারেক রহমান কতটুকু নিরাপদ হবেন ?
সন্দেহ নাই , মায়ের বর্তমান পরিস্থিতি একজন সন্তান হিসাবে সহ্য করা কঠিন । তারপরেও এই দেশটির আঠার কোটি মানুষের মুখের পানে তাকিয়ে এই কষ্টটি তাঁকে সহ্য করতে হবে ।
এই রাষ্ট্রটি আর কোনো রাষ্ট্র হিসাবে নেই - এটি রীতিমত দস্যুরাণীর ঢেরা হয়ে পড়েছে !
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন