মিনার রশিদ
ছোট বেলায় দেখতাম বড়দের রোজায় ধরতে । মানে রোজাদাররা অল্পতেই রেগে গিয়ে মহা হুলস্থুল বাঁধিয়ে ফেলত । এটি ঘটত বেশিরভাগ সময় রমজান মাসে আছরের নামাজের পর, ইফতার এর আগে আগে ।
বিরোধী দলের কিছু নেতা-কর্মী শুভাকাঙ্খি দের অনলাইনে অফলাইনে দেখে মনে হয় , ইনারাও সেই একই ‘রোজায় ধরা’ ফ্যানোমেনার শিকার হয়ে পড়েছেন । একজনের সামান্য কথায় অন্যজন হেভি প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করছেন । অনেক সময় কে খোঁচাটি মারল , কেন মারল তাও তলিয়ে দেখেন না !
ইফতারির সময় খুব কাছে চলে এসেছে !
এ মুহূর্তে কাইজ্জা শুরু করলে সবার ইফতারিই ভন্ডুল হয়ে পড়তে পারে । একজন আরেক জনকে খোঁচানো আল্লাহর ওয়াস্তে বন্ধ করুন ।
এই সময় মাথা ও মেজাজ দুটোই ঠান্ডা রাখা দরকার ! বিরোধী শিবিরের বৃহত্তম দল হিসাবে বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে কথাবার্তায় আরেকটু সংযম প্রদর্শন করা দরকার ।
.................................................
রেজা-নূরের দলটিকে নিয়েও সকলের প্রতিক্রিয়া যথাযথ বলে মনে হচ্ছে না ! কারও প্রতি
অগ্রিম সন্দেহ থেকে বিরত থাকাই উত্তম । নূরের যে বয়স তার সামনে অনেক সুযোগ আছে । তিনি যেমন সহজেই শেখ হাসিনার হারিয়ে যাওয়া ভাই এরশাদ হয়ে আবির্ভূত হতে পারেন । তেমনি জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আরও বড় কিছু হতে পারেন ।আগে দেখুন, কোন্ দিকে যায় । ভুল করলে এই নূরুর হিরো থেকে জিরো হতে সময় লাগবে না !
আওয়ামী লীগ আসলে ক্লিনিকেলি ডেড। ক্ষমতা নামক ভেন্টিলেটর দিয়ে এই দলটিকে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে ! প্রজ্ঞাবান যে কোনো মানুষ বিষয়টি উপলব্দি করছে !
এই ভেন্টিলেটর খোলার সাথে সাথেই এই দলটির মৃত্যু অবধারিত । কাজেই ভবিষ্যতের গণতন্ত্রে জামায়াত এবং নুরু-রেজাদের মত কোনও দল বিএনপির সাথে সত্যিকার অর্থে ই প্রতিযোগিতায় নামবে ।
বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল প্রবক্তা বিএনপির স্বাগত জানানো উচিত ।
কিন্তু সেই জায়গায় পৌছতে হলে এখন এক সাথে এই ফ্যাসিবাদের সাথে সকলকে লড়তে হবে । সবাইকেই খুব বুঝে শুনে পা ফেলতে হবে ।
ক্ষোভের অনলে ঘি নয় - প্রজ্ঞার অগ্নি নির্বাপক নিক্ষেপ করতে হবে !
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন