পীর হাবিবুর রহমান
যারা ধরা পড়েছেন অপরাধের জন্য তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। অনেকেই আছেন যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে তাই দেশ জানেনা তাদের অন্যায় অপরাধ। হেলেনার ঘটনা প্রমাণ করেছে সামাজিক ক্লাবের সদস্য হলেই সামাজিক মর্যাদা কেনা যায়না। সামাজিক মর্যাদা মম্মান অর্জন করতে হয় নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেধা ব্যক্তিত্ব মর্যাদাবোধ নিয়ে মূল্যবোধ নীতিবোধ লালন করে দেশ ও সমাজে ভূমিকা রেখে।
আমরা মানুষ। ফেরেশতা নই। ভুলত্রুটি জীবনে থাকতেই পারে। তাই বলে সমাজে নিজেকে অতি সাধু বা সতী হিসেবে প্রকাশের জন্য নির্লজ্জ মিথ্যাচার প্রতারণার আশ্রয় নেবার দরকার কি! চুপ থাকাই সবচেয়ে উত্তম।
আজ একজন ইনবক্সে পাঠিয়েছে এক নারী তার টাইমলাইনে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নিজেকে এত পবিত্র করে যা তিনি নিজেই বিশ্বাস করেননা। তরুণ বয়সে জঘন্য ফেনসিডিল পান করতেন। তারপর মদের আসরে মধ্যমনি নিজ বাড়িতেই। মাতাল হলে স্বামী তার বাথরুমে বন্দি করে মাথায় পানির কল ছেড়ে দিতেন। এখনো ঘরে বাইরে একান্তে মদপান করেন, সিগারেট টানেন। ইদানিং সামাজিক ক্লাবের আসরে বসেও। অথচ মদের বিরুদ্ধে নিজেকে না পাল্টে অন্যকে বয়ান দিলেন বিস্তর। পশুর চামড়া দেয়ালে রাখেননি মানবিক কারণে। আহারে! অথচ বাড়ির দেয়াল থেকে বেডরুমে নৃশংসতার ভুজালি, কামের ফিগার ঠাই পেলেও কোন পেইন্টিং বা শিল্প কর্ম নেই! বাড়িতে বুকসেল্ফ দূরে থাক দুচারখানা বইও নেই। বই পাঠে আগ্রহও নেই। এই ভন্ডামি প্রতারণার কোন মানে আছে?
সারাদিন এর ওর নামে গীবত আর কূটনামি। সকালে যাকে গাল দেয় বিকেলে স্বার্থে তাকে বাপ ডাকে। কত নেতার চরণধূলি নিয়েও আওয়ামী লীগের কিছু হতে না পারা হতাশাগ্রস্ত এ নারী কি শান্তি পায় নির্জলা মিথ্যাচার লিখে? মদ সিগারেট শরীরের জন্য খারাপ। ভন্ডামি প্রতারণা সমাজের জন্য। আমরা যা তাই নিজেকে খোলা বইয়ের মতোন রাখিনা কেনো? জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় কেনো? কি প্রশান্তি মিথ্যাচারে? নিজেকে তো মানুষ নিজে বেশি চিনে। অপরাধ না করলেই হয়। কারও ক্ষতি না করলেই হয়।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন