পিনাকী ভট্টাচার্য ফেসবুক থেকে
কার্টুনিস্ট কিশোরের জবানবন্দিতে আজ আমরা র্যাবের নির্যাতনের বর্ণনা শুনে বিহবল হয়েছি। তবে ২০১৩ সালে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক একটা বই লিখেন বইটির নাম "কারাগার থেকে বলছি"। এই বইটিতে পুলিশি হেফাজতে নিপীড়নের নৃশংস বিবরণ অন্য সমস্ত ঘটনাকে ছাড়িয়ে গেছে। আমি সেই বর্ণনার কিছু অংশ তুলে ধরছি।
“পুরুষাঙ্গের সাথে তিন কেজির পাথর ঝুলিয়ে দিয়েছে- এমন একজন রাজশাহী নিবাসী একজন ব্যবসায়ী বন্দী আমি দেখেছি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। একই বন্দীকে ডিবি কার্যালয়ে দুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে সজোরে খোঁচা মেরেছে। ঘটনার এক মাস পর দেখেছি তার এক চোখের অর্ধেকটা জুড়েই লাল রক্তের থোকা জমাট বাধা আছে। এমন বন্দীও দেখেছি, যার পুরুষাঙ্গের সাথে বিদ্যুতের ক্লিপ লাগিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয়া হয়েছে। উলঙ্গ করে দশজন মানুষের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আলেম ও দ্বীনদার মানুষকে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে একের পর এক গরম ডিম বা ঠান্ডা বরফ ঢুকিয়ে দিয়েছে।
এমন বন্দীও দেখেছি, হাত-পায়ের সমস্ত নখগুলোকে প্লাস দিয়ে টেনে টেনে তুলে নিয়েছে। হাতের আঙ্গুলের ভিতর পিন ঢুকিয়ে দিয়েছে অতঃপর সেই পিনের মাথায় অনবরত আঘাত করেছে বা গ্যাস লাইটে আগুন ধরিয়ে পিনের মাথায় উত্তাপ দিয়েছে এতে আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকানো সম্পূর্ণ পিন গরম হয়ে আঙ্গুলের মাথা পুড়ে কালো হয়ে গেছে। দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখেছে বা দু পা উপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে ঘন্টার পর ঘন্টা। বন্দীর সামনে তার স্ত্রীকে, বোনকে বা মাকে এনে উলঙ্গ করে ফেলেছে। এমন বন্দীও আছে যার স্ত্রীকে এনে উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে। ষোল বার ধর্ষণ করা হয়েছে একজনের স্ত্রীকে এমন ঘটনাও ঘটেছে।"
প্রকাশিত বইয়ের এই বিবরণটি ভয়াবহ এবং অবিশ্বাস্য। বইটি প্রকাশিত হওয়ায় এই ঘটনার দায় অস্বীকার করার উপায় নেই। আমি সত্যকে উদঘাটনের জন্য সরকারকে এই ঘটনার পূর্ণ, নিরপেক্ষ, বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করার আহ্বান জানাব। অন্যথায় এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য সরকারের প্রত্যেককেই দায়িত্ব নিতে হবে। যদি এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা বিশ্বাসযোগ্যভাবে খালাস না পায় তবে তাদের একদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। আমি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে বইয়ে প্রকাশিত পুলিশে হেফাজতে নির্যাতনের ঘটনাগুলোকে আন্তর্জাতিক ফোরামে তোলার আহবান জানাই।
(BILINGUAL)
In the statement of the cartoonist Kishore, today we are bewildered by the description of torture. However, in 2013, Hefazat leader Maulana Mamunul Haque wrote a book called "I am talking from prison". The brutal description of torture in police custody described in this book surpasses all other incidents. I have highlighted some parts of that description.
"I saw a prisoner from Rajshahi in Dhaka Central Jail who happened to be a businessman; three kilograms of stones were hung from the penis of the prisoner in police custody. The detainee was hit in the DB office with fingers in both eyes. Even a month after the incident, I saw red blood clots all over half of his eyes. I also saw a prisoner whose penis was electrocuted. Religious scholars were interrogated naked in front of many. Hot eggs or ice were inserted through the rectum.
I have also seen prisoners whose nails and toenails have been pulled out with Pliers. They insert the needle into the prisoner's finger and repeatedly hit the head of the needle or heat the needle's head with fire, causing the finger to burn and turn black. The prisoner was handcuffed and hung from the ceiling. The prisoner's legs were tied to the roof and hung for several hours. The wife, sister or mother was taken prisoner, and they were stripped naked in front of the prisoner as a tactic to create stress on the prisoner. They raped the prisoner's wife in front of the prisoner. There are also cases where a prisoner's wife has been raped sixteen times. "
This description of the published book is horrible and unbelievable. There is no way to deny responsibility for this incident since the book was published. I call on the government to conduct a full, impartial, credible investigation into this incident to uncover the truth. Otherwise, everyone in the government will have to take responsibility for this horrible incident. If those responsible for this incident are not credibly acquitted, they will face trial for crimes against humanity one day. I call on human rights organizations worldwide to raise the issue of police torture indicated in the book in international forums.
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন