পিনাকী ভট্টাচার্য
বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে। মূলত, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সূচি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন এস জয়শংকর।
আমি সত্যিই বুঝিনা ভারতের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্কে আমাদের লাভ কী? কোন লাভ নাই লস আছে। দুনিয়ার সব দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইন্ডিয়ার কুটনীতি একেবারে "ছোটলোকের" মতো।
ভাববেন, আমি রাগ করে ছোটলোক বলছি। মোটেই না, একটা এক্সাম্পল দিলেই বুঝবেন। ১৯৭৪ সালে ইন্ডিয়া শেখ মুজিবকে প্রতিশ্রুতি দিছিলো, বেরুবারি দিয়ে দাও আমরা ছিটমহলগুলো দিয়ে দিচ্ছি। শেখ মুজিব বলছিলেন একই সিটিং এ হস্তান্তর হোক। ইন্ডিয়া বলে যে হ্যা হ্যা আমরা করবো কয়েকদিনের মধ্যেই আপনারটা করে ফেলেন আমরা করতেছি। শেখ মুজিব বেরুবারি দিলেন কিন্তু ছিটমহল কী পাইলাম? পাই নাই।
সেইটা সে দিলো পয়তাল্লিশ বছর পরে। আবার দেয়ার সময় ট্রানজিট আদায় করে নিলো। ট্রানজিটের সময়ে প্রতিশ্রুতি দিছিলো কী?
প্রতিশ্রুতি দিছিলো তিস্তার পানি দিবে। দিছে পানি? দেয় নাই। শুধু তাই না চিনের অর্থায়নে তিস্তার যে বহুমুখী প্রকল্প নিছিলো হাসিনা সেইটাও বাগড়া দিয়ে বন্ধ করছে। আরে ভাই প্রকল্প তো আমার দেশের ভিতরে সেইটা তুমি বাগড়া দাও কেন?
তো এইটা হইতেছে ছোটলোকি। আমার যেটা প্রাপ্য সেইটা সে আটকায়ে রাখবে বছরের পর বছর। সেইটা যদি পয়তাল্লিশ বছর পরে দেয়ও তাইলে এমনভাবে দিবে যে এইটা সে একটা ফেভার করতেছে আর তার বিনিময়ে আরেকটা কিছু বাগায়ে নিবে। এই বালের কুটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে অসুবিধা কী?
জয়শংকরবাবু আপনারা জাস্টিফাই করেন যে কেন আমাদের ইন্ডিয়ার সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক রাখতে হবে? ছোটলোকদের সাথে সম্পর্ক রেখে লাভ কী? আপনারা তো কুটনীতিই বুঝেন না দাদারা।
প্লিজ গিভ আস ওয়ান গুড রিজন, কেন ভারতের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশকে রাখতে হবে। বাংলাদেশে কখনো জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তো তারা ইন্ডিয়ার সাথে সীমান্ত সীল করে দেবে। বিলিভ মি বাংলাদেশের তাতে কোন ক্ষতি হবেনা, লাভ হবে বরং। এখন না হয় উৎসব করতেছেন, সেইসময়ের কথাও ভাবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন