ফাহিম আব্দুস সালাম
অনেকদিন আগে লেখা
“আমার কিছু বন্ধু-বান্ধব আমাকে বেশ কয়েকবার আমাকে একটা অনুরোধ করেছেন আমি যেন শেখ মুজিব সাহেবকে নিয়ে কোনো সমালোচনা না করি - তিনি চলে গেছেন, তাকে সমালোচনা করলে জাতি হিসেবে নাকি আমাদের অমর্যাদা।
আমি সবাইকে একটাই উত্তর দেই। শেখ মুজিবর রহমানের ব্যাপারে এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভুল ধারণা হোলো তিনি একজন মৃত রাজনীতিবিদ।
তিনি একেবারেই মৃত নন - সম্পূর্ণ ফাংশনাল - এমনকি তিনি এখনো নতুন নতুন কাজ করেন - যেমন তিনি চিরকুট ছুড়ে মেরে ভাষা-আন্দোলন সুর করেছিলেন। এই কাজটা তিনি করেছেন মারা যাওয়ার পরে। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিচ্ছেন - আমরা ছোটবেলায় এমন কি কট্টর লীগিদের কাছেও এই আবদার শুনিনি যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু এখন এই আবদারটা প্রায়ই শুনি। ইন ফ্যাক্ট তাকে সামনে রেখে গোটা জাতিকে হোস্টেজ করে রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ যে তাকে কখনোই কবরে থাকতে দিবে না - এটা নিয়ে আমার বন্ধুদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আপনি যখন তাকে একজন জীবিত রাজনীতিবিদ হিসেবে ঠিক হাসান মাহমুদকে যেভাবে ট্রীট করেন সেভাবেই ট্রীট করা শুরু করবেন তখনই তারা অভিমানে লুটিয়ে পড়েন। এই চালাকিটা আমি বুঝি।
শেখ সাহেবকে যদি আওয়ামী লীগ কবরে রাখতো - অবশ্যই তাকে একটা সম্মানজনক স্থানে রেখে দেওয়াটা সমীচীন ছিলো। যেহেতু তাকে জীবিত রাখা হয়েছে, সেহেতু আমি মনে করি না যে তাকে আলাদা কোনো মোকামে রাখার কোনো নৈতিক চাপ আপনার থাকা উচিত।
ইন ফ্যাক্ট আমরা যদি জীবিত থাকি - উই উইল মেইক শিওর যে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা চিরদিন বেঁচে থাকবেন। উই উইল মেইক শিওর যে মুজিব ও হাসিনা ঠিক যে রকম মানুষ ছিলো, তারা প্রতিদিন যে ধরনের কাজ করতো , মানুষ ঠিক সেই হাসিনা ও মুজিবকেই যেন মনে রাখে।
শেখ পরিবারের প্রতিটা ইট-কাঠকে এই জাতিকে চিনতে হবে। একটা জীবিত রাজনীতিবিদের প্রতি যে এটিকেট বরাদ্দ রাখি, কেবল সেই এটিকেটই শেখ সাহেবকে দেওয়া উচিত - একচুল বেশী না।”
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন