মাসুদ সাঈদী
আমার আব্বা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাফিজাহুল্লাহ'র বিরুদ্ধে সরকার উত্থাপিত তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ অভিযোগের মূল বিষয় ছিল, আমার আব্বার নামের বিষয়টি। সরকার বলছে, আল্লামা সাঈদীর নাম শুরুতে ছিল ‘দেলোয়ার শিকদার’। স্বাধীনতার পর তিনি নাম বদল করে ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’ হয়েছেন। এবং তারা সাঈদী নামধারী দেলোয়ার শিকদারের বিচার করছেন।
আর আমরা হাজার বার ট্রাইব্যুনালে দালিলিক প্রমানাদি সহকারে বলেছি, তিনি কখনোই 'দেলোয়ার শিকদার’ ছিলেন না, জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।'
এর প্রমান সহকারে আমি মাসুদ সাঈদী নিজে ট্রাইবুনালে ডিফেন্স স্বাক্ষী নম্বর ১৩ হিসেবে আমার আব্বার ১৯৫৭ সালের দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষার সার্টিফিকেট (যা ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় নমিনেশন পেপারের সাথে জমা দেয়ার প্রয়োজনে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ২৯/১১/২০০৮ সালে ঐ সার্টিফিকেটের দ্বি-নকল কপি তোলা হয়েছিল), ১৯৬৪ সালে (বাংলা ১৩৬৯ সাল) যশোরে আল্লামা সাঈদীর একটি মাহফিলের লিফলেট এবং ১৯৬৯ সালে বি.এন কাঠি হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণী থেকে আমার ছোট চাচা (বর্তমানে মৃত) মুস্তাফা কামাল সাঈদীর স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (যেখানে আমার দাদার নাম ইউসুফ সাঈদী হিসেবে উল্লেখ আছে) ট্রাইবুনালে উপস্থাপন করেছিলাম। যেখানে প্রত্যেকটি ডকুমেন্ট প্রমান করছে আমার পিতার নাম জন্মলগ্ন থেকেই “দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী” এবং আমার দাদার নাম “ইউসুফ সাঈদী।”
আদালতে দাখিলকৃত আমাদের প্রত্যকটি ডকুমেন্টই ছিল মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেরও বহু আগে। এর কোনোটি ১৪ বছর আগের, কোনোটি ৭ বছর আগের আবার কোনোটি যুদ্ধ শুরুর ২ বছর আগের।
যে ব্যক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের ১৪ বছর আগেও 'দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী', সেই ব্যক্তি কী করে ৭১ সালে 'দেলোয়ার শিকদার' হয়ে গেলেন !?
সরকারের আজ্ঞাবহ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার সদস্যরা আমাদের সেই দালিলিক প্রমানাদি সামান্যতম আমলে না নিয়েই কোরআনের আওয়াজকে স্তব্ধ করা ও কোরআনের খাদেমকে জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন করার নীল নকশা বাস্তবায়নের জন্যই আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে 'দেলোয়ার শিকদার' বানিয়ে তার উপর হাজারো অপরাধের বোঝা গায়ের জোড়ে চাপিয়ে দিয়েছে।
আদালতের বিচারপতিগণও আমাদের দালিলিক প্রমানাদি আমলে নেননি। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি সকল বিচারকের শ্রেষ্ঠ বিচারক মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদালতে আমাদের সকল বক্তব্য আমলে নেয়া হবে। সেদিন আমরা হব বাদী আর এরা সবাই হবে আসামী।
কোনো সন্দেহ নাই, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার পবিত্র আদালতে জালিমেরা অবশ্যই সেদিন কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে, ইনশাআল্লাহ।
#সংযুক্তি
০১. ১৯৫৭ সালের দাখিল পরীক্ষার সার্টিফিকেট
০২. ১৯৬৪ সালের তাফসীর মাহফিলের লিফলেট
০৩. ১৯৬৯ সালে আমার চাচার স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট
০৪. ট্রাইবুনালে সরকারের স্বাক্ষীদেরকে করা জেরার উপর ভিত্তি
করে দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার একটি রিপোর্ট
০৫. ট্রাইবুনালে সরকারের স্বাক্ষীদেরকে করা জেরার উপর ভিত্তি
করে দৈনিক আমারদেশ পত্রিকার একটি রিপোর্ট
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন