মাসুদ সাঈদী
প্রায় ৩ ঘন্টা পথ পাড়ি দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে ৮২ বছর বয়সের মানুষটিকে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এনে কথিত আয়কর ফাঁকির মামলায় মাত্র ২৫ মিনিটের আদালতের কার্যক্রম শেষে আমার আব্বা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাফিজাহুল্লাহকে আবারো ৩ ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে কাশিমপুরের পথে রওয়ানা হয়ে গেল।
কি আনন্দ পাচ্ছে ওরা আব্বাকে এতো কষ্ট দিয়ে !
আহারে! কি যে কষ্ট পাচ্ছেন আমার আব্বা তা আমি হাড়েহাড়ে অনুভব করছি। আব্বার বয়স এখন ৮২ চলছে। আর মাত্র ২৬ দিন পর তার বয়স হবে ৮৩। আব্বা হার্টের পেশেন্ট। তার হার্টে ৫টি রিং বসানো আছে। তিনি গত ৪০ বছর যাবত ডায়াবেটিক পেশেন্ট। আব্বা দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এছাড়া আব্বা আর্থাইটিস রোগেও আক্রান্ত। যে কারনে আব্বার আছে হাঁটু ও কোমড়ে তীব্র ব্যাথা। আব্বা বয়স ও আর্থাইটিসের কারনে কারো সহযোগিতা ছাড়া এখন আর একাকী হাঁটাচলা করতে পারেন না। এমনকি কারাগারের অভ্যন্তরে চলাফেরার জন্যও আব্বাকে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে হয়।
এরকম মারাত্নক সব রোগে আক্রান্ত ও অসুস্থ আব্বাকে হাস্যকর এসব মামলায় প্রথমবারের মতো হাজির করলো ৭ ডিসেম্বর। এরপরে তাকে আবার নিয়ে এলো ২৮ ডিসেম্বরে। আবার নিয়ে এলো আজকে ৬ জানুয়ারীতে। আবার নিয়ে আসার তারিখ আছে ১১ জানুয়ারী। এরপরের নিয়ে আসার তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারী।
এই মহামারী করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যেও আল্লামা সাঈদীকে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এভাবে বারবার টানা হেঁচড়া করার কারনটা কি?? কেন এতো কষ্ট দিচ্ছেন তাকে??
এরকম একজন বয়োবৃদ্ধ মানুষের সাথে আপনারা এমন আচরন না করলেই কি হতো না!! এটা না করলে কি আপনাদের সরকারের পতন হয়ে যেত? না দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়তো??
আল্লামা সাঈদীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়ে তো তাকে আপনারা কারাগারে রেখেই দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাকে আটকে রাখার জন্য যাবজ্জীবন কারাদন্ডকেও আপনারা আমৃত্যু কারাদন্ড বানিয়েছেন! তাহলে এ ধরনের হাস্যকর মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে আর কত বছরের কারাদন্ড দিতে চান??
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন