আনোয়ার মুকুল
কি ফালতু কথা বলেন । কিসের উন্নয়ন ? এখন কি উন্নয়নের সময় নাকি ? মানুষই যদি না বাঁচে তাহলে উন্নয়ন ধুয়ে কি পানি খাবেন । আপনাদের উন্নয়ন মানে হচ্ছে লুটপাট । এই সময়ে মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে সবচেয়ে বড় উন্নয়ন ।
করোনার কথা না হয় বাদ দেন। যে কোন একটা অসুখে পরলে আপনি কি কোন হাসপাতালেই ভর্তি হতে পারবেন ? পারবেন না । দুই চারটা হাসপাতালে ঘুরে অবশেষে মৃত্যুই হবে একমাত্র উদ্ধার ।
হাসপাতাল গুলোর সামনে শুধু অসহায় মানুষের হাহাকার।
ভর্তি হয়েই বা কি করবেন । হাসপাতাল গুলোতে কিচ্ছু নাই । যন্ত্রপাতি ওষুধ পত্র বিছানা বালিশ কিছুই নাই । শুধু নাই আর নাই । মেশিন পত্র কেনা থেকে ভবন নির্মাণ পর্যন্ত এক বিশাল সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে পুরো স্বাস্থ্য বিভাগ । এমনকি হাসপাতালের জন্যে সুইপার নিয়োগ দিতে গেলেও সিন্ডিকেটের কথামতোই করতে হয় ।
আর এর অন্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে বদলী অথবা হয়রানি । একবার চিন্তা করে দেখেছেন এরা কতখানি জানোয়ার হলে এই মহা বিপদের সময় নকল মাস্ক আর নিম্নমানের পি পি ই সরবরাহ করতে পারে । অথচ এগুলো করেছে ক্ষমতাসীন দলেরই কেন্দ্রীয় নেতা । লোক দেখানোর জন্য হলেও তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নাই ।
এদিকে বি এম এ বলেছে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪৪ জন ডাক্তার মারা গেছেন । উপসর্গ নিয়া মারা গেছেন আরও আট জন ।
এ ছাড়াও মোট ১ হাজার ৩১ জন চিকিৎসক এই ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন । এর মধ্যে যে কয়জন পি পি ইর বদলে রেইন কোট পরে আর মাস্কের বদলে নকল মাস্ক পরে জীবন দিয়েছেন তা কেবল আল্লাহ মাবূদ ছাড়া কেউ জানেনা ।
একজন মন্ত্রী আছেন । স্বাস্থ্য মন্ত্রী । তার কথা বার্তা শুনলে যে কোন সুস্থ্য লোকের চান্দি গরম হয়ে যাবে । একটা আস্ত গবেট।
এরকম অবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত '২০ মিনিট লাগিয়ে হাত না ধুয়ে' ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তত কিছু একটা করা দরকার । এইভাবে ভয় পেয়ে বসে থাকলে মৃত্যুর মিছিল বাড়তেই থাকবে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন