রাজনীতিতে কিছু কিছু সংগঠন বিলুপ্ত করা উচিত, এসব সংগঠন মূল দলের কাপড় খুলে ফেলছে। সেই সব নেতাকর্মী সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারীকে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণ হলে দল থেকে বহিস্কার করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত, যারা রাজনীতির প্রতি মানুষের সম্মানের কবর দিয়েছে। রাজনীতিবিদ, আমলা, শিল্পী, লেখক, গণমাধ্যম ব্যবসায়ী সবার চরিত্র হননই করেনি, গোটা সমাজকেই দূষিত করেছে। মানুষকে করেছে বিতর্কিত। নিজেদের লুটপাটে আখের গুছিয়েছে জন্মের মতো। আমাদের গৌরবের আদর্শের রাজনীতিকে মুছে দিচ্ছে। যারা আদর্শবান নিবেদিত তাদের মানুষের মূল্য না দিয়ে ‘মুই কি হনুরে’ অবস্থা রমরমা করেছে।
তাদেরকেও আইনের শাস্তির আওতায় আনা উচিত যারা ব্যাংক শেয়ারবাজার লুট করেছে, সীমাহীন দুর্নীতি করেছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে এবং ঘুষ দুর্নীতিকে মহামারীই নয় জাতীয় অপরাধে পরিণত করেছে। নির্লজ্জ বেহায়া লুটেরা ঘুষখোর একদম হঠাৎ অন্ধকারপথে নর্দমা থেকে সম্পূর্ণ অবৈধ পথে অর্থ সম্পদ গড়ে এখন কর্তৃত্ব ফলায়, এদের দাপট থাকলে ভালো মানুষের কবর হয়ে যায়।
নীতিহীন লোভী চরিত্রহীন এসব দেশ বিদেশে অবৈধ সম্পদ যারা গড়েছে তাদের ভোগ বিলাস সম্পদের দীর্ঘ তালিকাও সহ্য করা যায়, কিন্তু রাজনীতি থেকে সমাজ সবখানে এদের নির্লজ্জ দাপটে সাথে তাদের করুণাশ্রিত কিছু চাকরবাকর থাকলেও গ্রহণযোগ্য নয়। সব কিছুর সীমা আছে। মানুষ কেনো প্রকৃতিও সস্তা লোভী চরম নষ্টদের বাহাদুরি সইতে পারে না। এদের গণবর্জন ও প্রতিরোধ সময়ের দাবী। এদের দম্ভ ঔদ্ধত্য বেহায়াপনা দেখলে মনে হয় সাতখুন তাদের মাফ। কিন্তু জানে না যুগে যুগে অপরাধীদের প্রাপ্য শাস্তি ভোগ করতেই হয়।
একটা সমাজকে দিনে দিনে কতো নীচে নামিয়ে এনেছে। কতটা দূষিত করেছে। বিকৃত করেছে। মানমর্যাদা ভুলে সস্তার মতো সেখানে উচ্চশিক্ষিত কতো নরনারী ভাসছে। যা হবে গ্লানির অনুশোচনা লজ্জার, তা হচ্ছে গৌরবের। কতো ধরনের দালাল, মতলববাজ সুবিধাভোগী ঘৃণ্য চরিত্র আজ তাবৎ দেশটাকেই কলংকিত করছে। কাউকে নষ্ট করছে অবৈধ অর্থের পথে, কাউকে বা বোবা বানিয়ে ঘরে তুলছে। কিন্তু জানে না কখন জনগণ রুখে দাঁড়ায়। জনগণের শক্তির চেয়ে বড় শক্তি পৃথিবীতে নেই।
পীর হাবিবুর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন