চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা দিদারুল আলম চৌধুরী এবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছেন, ‘২টি মঞ্চ বানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি। একটি ফাঁসির মঞ্চ! অন্যটি জুতার মালার মঞ্চ! আমি শামসুল হক চৌধুরী সম্পর্কে যেসব অভিযোগ এনেছি তা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে আমাকে ফাঁসির মঞ্চে, আর যদি সত্য হয়, তাহলে শামসুল হক চৌধুরীকে জুতার মালা পরিয়ে আমাদের সংগঠনের সাধারণ পদ থেকে বহিষ্কার করুন। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অর্জিত সব অর্থ-সম্পদবাজেয়াপ্ত করার পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
রোববার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দিদারুল আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের যাদের মা-বাবা বেঁচে আছেন নামাজ শেষে প্রতিটি মোনাজাতে তাদের সঙ্গে নেত্রী এবং তাদের পরিবারের সবার দীর্ঘায়ু কামনা, যাদের মা-বাবা বেঁচে নেই তাদের নামাজ শেষে তাদের সঙ্গে প্রতিটি মোনাজাতের পরে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবারের সব শহীদ ও প্রয়াতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, তাই নিজ নিজ ধর্মের মর্মবাণী থেকে শিক্ষা নিয়ে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে করে নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির জন্য প্রার্থীর কোনো ক্ষতি না হয়। আমার বর্তমানে চলমান একটি ঘটনা নিয়ে যারা সত্যের পক্ষে মিডিয়াসহ সব মাধ্যমে যারা সমর্থন দিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
দিদারুল আলম চৌধুরী বলেন, সঙ্গে সঙ্গে স্মরণ করে দিতে চাই, আমি জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল থাকায় এবং ডিগবাজির মাধ্যমে অন্য দলে না যাওয়ায় আমার পরিচয় শাহজাদা বলে জোর গলায় বলতে পারছি। আজ বিভিন্ন ডিগবাজির মাধ্যমে যেসব হাইব্রিড দলে এসেছে, তারা হবে মুরিদ! কোনোদিনও শাহজাদা হতে পারবে না! তাই দল ও নেত্রীর নেতৃত্বের ওপর অবিচল থেকে আমরণ শাহজাদা পরিচয়টি বহন করে চলতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া আমি যদি সৎ এবং সত্যবাদিতায় না থাকতাম তাহলে এ রকম হাইব্রিড ছদ্মবেশী নেতাকে মোকাবেলা করতে পারতাম না। তাই শপথ নিতে হবে, এমন কোনো কাজ করব না যাতে কেউ আঙুল উঠিয়ে দেখিয়ে দিতে না পারে, ‘আমি অমুক অন্যায় কাজটির সঙ্গে জড়িত।’
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন