মিনার রশিদ
কাশ্মীরের শেখ ও মুফতিরা দ্বিজাতি তত্ত্বকে সাম্প্রদায়িক ভাবনা বা তত্ত্ব বলে ঘৃণা করতেন , নাক সিটকাতেন । এতদিন পর তাদের হুঁশ ফিরে এসেছে । এখন ইনারা মর্মে মর্মে উপলব্ধ করছেন যে ১৯৪৭ এর প্রেক্ষাপটে দ্বিজাতি তত্ত্বটি কতটুকু সঠিক ও অপরিহার্য ছিল । ৭০ বছর আগে জিন্নাহ বিষয়টি বোঝাতে অক্ষম হলেও এখন মোদিজি তাদেরকে ঠিকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন ।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে কয়েকটি অপ্রিয় সত্য কথা কিংবা ‘উস্কানিমূলক’ ট্যুইট করতেই উনাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে । আমাদের রাজনৈতিক ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় যে এই গ্রেফতারে ‘ রাজাকার / মুক্তিযোদ্ধা’ বাছবিচার করা হয় নাই ।
বিষয়টি খুবই কোতুহলোদ্দীপক ও কৌতুকপ্রদ । ইনারা সেকিউলার / উদার মনমানসিকতা সম্পন্ন
নেতা / নেত্রী হিসাবেই সমধিক পরিচিত ছিলেন । মেহবুবা মুফতি আবার শাসক দল বিজেপির আন্চলিক পার্টনারও ছিলেন ।
আজ কাশ্মীর নামক ভূখন্ডটি যে
কালো গহ্বরে পড়ে গেছে
সেই একই কালো গহ্বরের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে অন্য আরেকটি ভূখন্ড ।
সবকিছু হারিয়ে কাশ্মীরের মেহবুবাদের আজ সত্যিকারের বোধোদয় ঘটেছে !
আরো কিছু হারানোর আগেই এদেশের মেহবুবাদের বোধোদয়টি হবে কি না - জানি না ।
২.
ওমর আব্দুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতির পূর্বপুরুষরা যে ভুলটি করেছিলেন আমাদের পূর্ব পুরুষরা সেই ভুলটি করেন নি । ১৯৪৭ সালে কাশ্মীরের শেখ আব্দুল্লাহরা যখন দ্বিজাতি তত্ত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইন্ডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন সেই একই সময় এদেশের শেখ মুজিবগণ নব্বই ভাগ সমর্থন সহ পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ।
এটা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টি না হলে ১৯৭১ সালে কখনোই বাংলাদেশের সৃষ্টি সম্ভব হতো না ।
অনেকেই মনে করেন , ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বাংলাদেশের সৃষ্টি দ্বিজাতি তত্ত্ব কে ভুল বলে প্রমাণিত করেছে । এই কথাটিও ঠিক নহে ।
একজাতি তত্ত্ব ভুল ছিল , দ্বিজাতি তত্ত্বও ত্রুটিপূর্ণ ছিল । সঠিক ছিল বহু জাতি তত্ত্ব । ৪৭ ও ৭১ মিলে সেটিই প্রমাণ করেছে ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন