ইলিয়াস মাহমুদ
অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা এক সময় জামায়াত করতেন, জামায়াত থেকে বহিষ্কারের পরে সক্ষতা গড়ে তোলেন বিএনপির সাথে !
প্রায় একজুগ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের সাথেও গড়ে তোলেন দহরম মহরম সম্পর্ক ।
মাদ্রাসার ছাত্রলীগকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে কার্য সাধন করতেন । উদ্দ্যেশ্যে একটাই ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা । আর ক্ষমতাসীন দলগুলোও নিজেদের স্বার্থে নিয়োগ বাণিজ্য, ডিগ্রী পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের বছর বছর বিশাল অংকের টেন্ডার বাণিজ্য এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন মাদ্রাসার জমিতে গড়ে তোলা অসংখ দোকানের ভাগ বাটোয়ার সংগী হতে ব্যবহার করতো ধর্ষক সিরাজকে । আর প্রশাসনিক ভাবে এসবে ভাগ বসাতেন স্থানীয় পুলিশ সহ উর্ধতন অনেক আমলা এবং রাজনীতিক ।
সিরাজের বায়োগ্রাফীর টোটালটাই জালীয়াতিতে ভরপুর । সার্টিফিকেট জালীয়াতি করে হয়েছেন অধ্যক্ষ !
এই যে একটা বহুদলীয় ধর্ষক এরে কোন দলের হিসেবে ট্যাগ দেয়ার সুজুগ আছে ? এরা আসলে কোন দলের না । নিজের প্রয়োজনে দল করা এমন মানুষদের অভাব নেই আমাদের সমাজে ।
তবে এখানে অপরাধী তারা যারা এই কুলাঙ্গারের অপরাধ জেনেও তাকে সাপোর্ট দিয়ে ফুলে ফেপে বড় করেছেন ।
এই সিরাজদের সাথে আর এফডিসির প্রযোজক পরিচয় দিয়ে নায়িকা বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফার্মগেটে নিজের রুমে চিলেকোঠা বানিয়ে ধর্ষণ করাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই ।
ধর্ষণ এখন মহামারীতে রুপ নিয়েছে । পিতার কাছে কন্যা নিরাপদ না । মায়ের পরকিয়া প্রেমিকের হাতেও খুন অধবা লালসার শিকার হচ্ছেন মেয়ে শিশু । মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন, মন্দিরের ঠাকুর , গীর্জার পুরোহীত কেউ বাদ নেই এই তালিকায় ।
যে ভাবে ধর্ষণের মহামারী চলতেছে চারপাশে তাতে এখন ই সময় নুসরাতের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এমন দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া যা ভয় ধরিয়ে দিবে সকল ধর্ষক এবং যৌন নিপীরকদের মনে ।
লেখক ঃ গণমাধ্যম কর্মী ও ব্লগার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন