মাসুদ সুমন
ঢাকা থেকে আমার লাশ গ্রামের বাড়িতে আনার পরপরই আমাদের বাড়িটা মৃতের বাড়ি যে-রকম শোকের মাতম ছড়িয়ে এবং বিষণ্নতায় মুড়ে নিজেকে জাহির করে সে-রকমই হয়ে উঠল। গ্রামটাকে মাঝ বরাবর ভাগ করে অটোবাইক আর মাহিন্দ্রের গতি নিয়ে ছুটে চলা পিচ ঢালা রাস্তা থেকে আমাদের বাড়িতে ঢোকার মাটির সরু পথে পিল পিল করে মানুষ উঠোনে জড়ো হচ্ছে। একটা ফুলতোলা রঙিন বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে উঠানের মাঝখানে হোগলা পাতার উপরে আমাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ভেন্না পাতার ফাঁক গলে একঝাঁক রোদ এসে আমার কপালের উপরে আটকে আছে। যদিও আমার চোখ বোজা এবং রঙিন বিছানার চাদর মুখের উপরে তোলা, তবুও চড়চড়া রোদটা ভীষণ জ্বালাচ্ছিল। তবে একথা ঠিক যে, জীবিত থাকাকালীন যে শারীরিক কিংবা মানসিক অনুভূতি ক্রিয়াশীল ছিল এখন ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। মূলত জীবিতাবস্থার অভ্যাসের কারণেই এখনও চোখের উপরের রোদটাকে অসহ্য মনে হচ্ছে। কিন্তু সেটা কেউ খেয়াল করছিল না। কিংবা খেয়াল করলেও পাত্তা দিচ্ছিল না। আর আমি যে উঠানের চারপাশে অবিন্যস্তভাবে পাতানো প্লাস্টিক চেয়ারে বসা আমাকে দেখতে আসা বন্ধু-বান্ধব-আত্মীয়-স্বজন কিংবা প্রতিবেশীদের সে-কথা বলব সেটাও ঠিক বলতে পারছিলাম না। তাদের প্রত্যেকের মুখেই এমন একটা বিষণ্নতা লেপ্টে ছিল যে, সেটা বলা অশোভন হতো। অবশ্য এ-ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিতও ছিলাম না যে, তারা আমার কথা শুনতে পাবে কিংবা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য বলে আমল দেবে। কেননা জীবিত অবস্থা আর মৃতাবস্থার ভেতরে যে ফারাক রয়েছে সে ব্যাপারে তারা পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। তবে সেটা যে জীবিতাবস্থা সাপেক্ষে এবং মৃত্যু পরবর্তী অনুভূতি সর্ম্পকে যে তাদের ন্যূনতম ধারণা নেই সেটা তারা মোটেও কেয়ার করে না। কেননা তাদের নিজ নিজ ধর্ম এ ব্যাপারে তাদের অছিয়ত করে গেছে। অতএব মরে যাওয়া মানুষ তার মুখের উপরে লেপ্টে থাকা রোদ সরাতে বললে, সেটা দারুণ এক ন্যাক্কারজনক ব্যাপার বলে বোধ হবে। তারচেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে আমি নিজেই শত চেষ্টা করেও ধ্বনি সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছি না। উঠোনের বড় আম গাছটার তলায় অনেকক্ষণ থেকে হাঁটুমুড়ে বসে আছি। সেটা কেউ খেয়াল করছে না অথবা খেয়াল করলেও মনোযোগ দিচ্ছে না বরং আমার লাশের উপরেই তাদের মনোযোগ অথবা হতে পারে প্রত্যেকে মূলত নিজেকে নিয়েই ভেতরে ভেতরে ব্যস্ত। তবে হ্যাঁ যেখানে আমার মাকে কেন্দ্র করে মহিলাবেষ্টিত একটা বৃত্ত তৈরি হয়েছে এবং সেই বৃত্তের ভেতরে মা কেঁদে কেঁদে প্রায় আধপাগল হয়ে গেছেন, তাকে আমার অসুবিধার কথাটা জানালে তিনি হয়ত ব্যাপারটা আমলে নিতেন। সকাল থেকে বেশ কয়েকবার এই ভদ্রমহিলাদের পাশ কাটিয়ে মায়ের কাছে যেতে চেষ্টা করেছি; কিন্তু তাতে কিছুতেই সফল হতে পারছিলাম না। ভদ্রমহিলারা মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কোনো কথা খুঁজে না পেয়ে এমন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেছেন যে, তাদেরকেও আসলে দোষারোপ করা যাচ্ছিল না। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিয়ে বড় আমগাছটার নিচে এসে বসে আছি। তবে আমার লাশের উপরে আটকে থাকা রোদ তাড়াতে না পারার চেয়েও বেশি অস্বস্তিতে ভুগছিলাম মায়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারায়। এবং তার বুক ভাঙা কান্নায় সত্য কথা বলতে কী আমার বেজায় খারাপ লাগছিল।
প্রথম প্রথম বেশ অদ্ভূত এবং মজাদারই লাগছিল- আমি সবাইকে দেখতে এবং সবার কথা শুনতে পেলেও আমাকে কেউ দেখতে পাচ্ছে না। নিজেকে মি. ইন্ডিয়া সিনেমার নায়ক মনে হচ্ছিল। কিন্তু যখন আবিষ্কার করলাম, শত চেষ্টা করেও আমি কারও সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছি না, তখন হতাশ হয়ে বসে থাকা ছাড়া আমার আসলে বিকল্প কিছু ছিল না।
আমার সাড়ে তিন বছরের মেয়েটা বাড়িভর্তি লোকজন দেখে বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠেছে। আমাদের বাড়ির পাশেই বিস্তীর্ণ ধানী জমির ক্ষেত। এখন অবশ্য সেখানে থই থই পানি। সেই পানিতে শাদা শাদা ফুল-মাথা শাপলারা গাছগাছালির ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে আমাদের উঠোনে উঁকি মেরে আছে। কেউ হয়তো সেখান থেকে শাপলা ফুল তুলে আমার মেয়ের মাথায়-হাতে গহনা বানিয়ে পরিয়ে দিয়েছে। তাকে এখন ফুলপরীর মতোই সুন্দর দেখাচ্ছে। হাত-মাথা ভর্তি শাপলা ফুলের গহনা পরে সারা উঠোনময় ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ভাড়া বাসার চার তলা ফ্ল্যাটে সে প্রায় বন্দি দশায় সময় কাটায়। এর আগেও সে যখনই গ্রামের বাড়িতে আসত বেশ উৎফুল্ল হয়ে উঠত। গত শীতে যখন সে আরও ছোট ছিলো কেবল আধো আধো বোলে ভাঙা ভাঙা শব্দে মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখেছে- শেষবার আমার সাথে গ্রামের বাড়ি এসেছে। আমার কাঁধে চড়ে ধোঁয়া ওঠা শিশিরসিক্ত মেঠো পথে গ্রামের এ-বাড়ি ও-বাড়ি ঘুরে বেড়িয়েছে। এ-কাজটা আমি করতাম। গ্রামে আসলেই এ-বাড়ি ও-বাড়ি ঘুরে বেড়াতাম আর শৈশবের স্মৃতিতে অবগাহন করতাম। যদিও সেই বুনো ঝোঁপ-ঝাড়ের গন্ধ জড়ানো দুপুরগুলো যে দুপুরের কোলে আমরা মার্বেল খেলতাম কিংবা ছুটে বেড়াতাম রোদের পিছু পিছু সেসব খোয়া গেছে। তবু গ্রামের প্রায় সকলের সাথেই আমার ছিল মধুর সর্ম্পক। আমি জানতাম, এইসব পিচঢালা রাস্তা আর স্যাটেলাইটের ঝুলতে থাকা তারেদের গ্রামের ভেতরে প্রবেশের সাথে সাথে মানুষের মননে এবং আচরণেও বেশ একটা বুঝদারভাব চলে এসেছে। ফলে আমি তাদের সাথে কথা বলতাম ঠিক কৈশোরের সরলতা নিয়ে। তারা তাতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। খেজুর পাতার আড়াল ঘেরা উনুনের পাশে মোড়ায় বসে ধোঁয়া ওঠা রসের জাউ খেতে খেতে আমরা বেশ আন্তরিকতাপূর্ণ গল্পে মেতে উঠতাম। পুরনো দিনের গল্প করতেই আমি আনন্দ বোধ করতাম বেশি। এবং তারাও মানে গ্রাম সর্ম্পকের চাচি-চাচা কিংবা ফুপু অথবা ভাবি প্রত্যেকেই আরও সহজ ও প্রাণবান হয়ে উঠতেন। আমার ফুটফুটে মেয়েটাকে এমনভাবে আদর করতেন যেন রূপকথার ছোট্ট রাজকন্যা তাদের উঠোনে এসে পড়েছে কোনোক্রমে। আর আমার মেয়েটাও এমন সাবলীল আন্তরিকতায় তাদের কোল জুড়ে বসত এবং ভাঙা ভাঙা শব্দে এমন সব কথা বলতো যে তাকে আহ্লাদ করার জন্য যে-কারোরই বুকের ভেতর চিন চিন করে উঠত। ঠিক এই মুহূর্তে আমার বুকটাও চিন চিন করে উঠছে এবং এক ধরনের বিষণ্নতা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে।
আমার মেয়েটা বুঝতে পারছে না তার জীবন থেকে কত বড় ছায়া চিরতরে সরে গেল। আমার খুব ইচ্ছে করছে তাকে একবার বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু কিছুতেই আমি তা করতে পারছি না। এবং আমার একটা অন্তিম ইচ্ছা ছিল সেটাও কাউকে জানানো দরকার। জীবিতাবস্থায় আমার ধারণা ছিল মৃত্যু পরবর্তী অবস্থা হচ্ছে মহাজাগতিক শূন্যাবস্থা-যেখানে অনুভূতি নামক কোনো ব্যাপার সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। আর এর সবচাইতে কাছাকাছি উদহারণ হচ্ছে ঘুম। মানুষ যখন গভীর ঘুমে থাকে তখন যেমন তার কোনো কিছু সম্পর্কে কোনো উপলব্ধি থাকে না; মৃত্যুও তদ্রুপ-তফাৎ হচ্ছে জীবিত মানুষের ঘুম ভাঙে কিন্তু প্রাণ প্রদীপ নিভে গেলে ঘুম আর ভাঙে না। সে মোতাবেক আমার কোনো রকম অনুভূতি থাকার কথা না। তবু বিষণ্নতার মতোন অথবা হতে পারে এমন এক অনুভূতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি যা মূলত ভাষায় ব্যক্ত করতে আমি অপারগ। কিন্তু এ কথা আমি হলফ করেই বলতে পারি যে, আমার মেয়েটার জন্য বুকের কোথাও প্রকাণ্ড কিছু একটা হচ্ছে। আর তাই আমি তাকে জড়িয়ে ধরার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছি। আমগাছ তলা থেকে উঠে গিয়ে তাকে দুহাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করলাম। কিন্তু কোনো বস্তুর স্পর্শ সংবলিত কোনো উপলব্ধি আমার হলো না। এবং তাকেও আমি কোনোভাবেই আন্দোলিত করতে পারলাম না। আমার কণ্ঠে সমস্ত জোর এনে চেষ্টা করলাম ধ্বনি তরঙ্গ তৈরি করতে যাতে আমি বলতে পারি, ‘আমুনিতা বাবার বুকে আসেনতো! চলেন আমরা নৌকা নিয়া শাপলা তুলতে যাই।’ শব্দ তরঙ্গতো দূরের কথা আমি আমার গলায় নূন্যতম আওয়াজটুকুও করতে পারলাম না। শুধু আমার ঢাকার কয়েকজন বন্ধু যাদের আসতে দেরি হয়ে গেছ-এসে আমাকে শেষবারের মতো দেখার জন্য মুখের উপর থেকে চাদরটা সরানোর সময় গলায় হালকা বাতাসের ঝাপটা লাগল।
যোহর বাদ পারিবারিক গোরস্থানে আমাকে দাফন করা হবে। ইতোমধ্যে আমার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই এসে গেছেন। গোসল শেষে স্টিলের খাটিয়ায় আমাকে মসজিদের আঙ্গিনায় নিয়ে যাওয়া হলো।
আমিও শামিল হলাম শবযাত্রীদের সাথে। আমার অকাল মৃত্যুটা সত্যি অনেকের জন্যই বেদনার হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আমার সদ্য বিধবা যুবতী স্ত্রী, যার সামনে এখনও পড়ে রয়েছে জীবনের একটা দীর্ঘ অধ্যায় এবং ফুটফুটে মেয়েটার কথা ভেবে হৃদয়বান অনেকেই অশ্রুজল হয়ে উঠছেন। আমার সাথে কাটানো সময়ের স্মৃতির ভারে নুজ্ব্য হয়ে পড়ছেন। যেতে যেতে আড়ালে অনেকেই চোখের কোণ থেকে অশ্রু মুছছেন।
ইচ্ছা ছিল মৃত্যুর পরে শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (যা যা মেডিক্যালি কাজে লাগানো যায়) দান করে যাব। একজন অন্ধ মানুষের জন্য দুটি চোখ কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা অনুধাবন করতে বৃহৎ হৃদয়ের প্রয়োজন পড়ে না। এই সকল প্রত্যঙ্গসমূহ কবরের ভেতরে পচতে দেয়ার কোনো মানে হয় না। আমার এ সিদ্ধান্তের কথা যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জানাতে পারিনি। মৃত্যুটা এমন আচমকা আর দ্রুত ঘটে যাবে ভাবিনি। তবে ভরসার কথা হচ্ছে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে অফিস ক্যান্টিনে চা-সিগারেট খেতে খেতে কয়েকজন কলিগ কাম বন্ধুর সাথে এ ব্যাপারে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল। তারা আমার সাথে সহমত পোষণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে দুজন এখানে উপস্থিত রয়েছেন। তারা নিশ্চই আমার ইচ্ছার কথা জানাবেন এবং বাস্তবায়ন করবেন।
জানাযার নামাজে বেশ বড় জমায়েত হয়েছে। কলাপাতা বিছানো লম্বা লম্বা লাইনে মসজিদের পুরো মাঠ প্রায় ভরে গেছে। জানাযার নামাজ শুরুর আগে মসজিদের ইমাম সাহেব আমার বড় ভাইকে ডাকলেন, বললেন, ‘মাইয়াতের সর্ম্পকে হাজিরান মজলিশকে কিছু বলার থাকলে বলেন।’ বড় ভাই কথা বলতে গিয়ে কান্নার গমকে থেমে থেমে বললেন, ‘আমার ভাই যদি কারও মনে কখনো জান্তে বা অজান্তে কষ্ট দিয়ে থাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। তার সাথে কারও কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন থাকলে দয়া করে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। আমার ভাইর জন্য সকলে দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। আগামি সোমবার বাদ আছর তার জন্য দোয়া হবে সকলে দয়া করে দোয়ায় শরিক হবেন।’
সাধারণত জানাযার নামাযের পর কাফনের কাপড় আর নতুন করে খোলা হয় না। আমি আমার দুই বন্ধু কাম কলিগের পাশে জানাযার নামাজে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু তারা এখনও আমার অন্তিম ইচ্ছার ব্যাপারে কিছু বলছেন না। তারা কী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান বিষয়টি উত্থাপন করতে বিব্রত বোধ করছেন? হয়ত ভাবছেন এখানকার লোকজনেরা তাদের কথা বিশ্বাস করবেন না অথবা হতে পারে বিষয়টি আমার আত্মীয়-স্বজনেরা মেনে নিবেন না ফলে তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন! নাকি তারা আমার মতোন করে বিষয়টি মোটেও সিরিয়াসলি নেননি; ফলশ্রুতিতে এখন সেটা উত্থাপন করতে আগ্রহ বোধ করছেন না। নাকি তারা বেমালুম ভুলে গেলেন আমার সাথে তাদের এ-সর্ম্পকিত আলোচনার ঘটনাটি।
নামায শুরু হয়ে গেল। বন্ধু দুজনও মাথা নিচু করে নামাযে শরিক হলেন। দুইদিকে বিরবির করে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করলেন। এই ফাঁকে আমি আরও একবার চেষ্টা করলাম তাদের মুখোমুখি হতে এবং বিষয়টা তাদের গোচরে আনতে। কিন্তু এবারও আমি ব্যর্থ হলাম। আমি খুবই অসহায় বোধ করছি। তাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন না করতে পেরে এই প্রথমবারের মতো আমি পুরোপুরি হাল ছেড়ে দিলাম। কিছুক্ষণ আগেও আমার ভাবতে আরাম লাগছিল যে, এই দেখার বিষয়টা হয়ত আরও কিছুকাল টিকে থাকবে চোখ দুটি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে।
জানাযা শেষে খাটিয়ায় করে আমার লাশ ঝোপ-জঙ্গলে ভরা আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে-যেখানে আমার বাবা শায়িত রয়েছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন