সোহেল রাত ৯টায় হোটেলে ফিরলো। ফিরে দরজায় কড়া নাড়লো। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে মিসড কল দিলো। কিন্তু তারপরও কোনো উত্তর না পেয়ে সোহেলের মেজাজ চরমে উঠলো। চিৎকার করে ডাক দিলো, সাইমুম, শালা দরজা খোল। ভিতরে কাকে নিয়ে বসে আছিস? দরজা এতক্ষণ ধরে লক্?
‘শালা’ শব্দটি বেশ কাজে এলো। সাইমুম শুনতে পেলো। সে তোয়ালে পরা অবস্থায় এসে দরজা খুললো। দরজা খুলতে খুলতে বললো, বাইরের থেকে এসে একটু ফ্রেশ হবো তার-ও উপায় নেই। এই-সব ফাউল বন্ধুত্বের যে কতো ঝামেলা তা এবার বুঝলাম।
সোহেলও সাইমুমকে তোয়ালে পরা অবস্থায় দেখে বেশ লজ্জিত হলো। মনে মনে যে-সব শাস্তি দেবে বলে ঠিক করেছিলো তার সবটাই জলে গেলো। মনের শাস্তি মনেই মরে গেলো। কিন্তু বেশ স্বাভাবিক কণ্ঠে বন্ধুত্বের দাবি নিয়ে সোহেল বললো, কিন্তু বাইরে এমনকি কা- ঘটালে যে এসেই অমনি ফরজ গোসল করতে হচ্ছে।
ওরে আমি যে গোসল করছি এটা ফরজ কি না জানি না। কিন্তু বাইরে গেলে এমন ধূলাবালি লেগে যায় যে তখন গোসল ফরজ হয়ে যায়। আর তোদের কথা কি বলবো তোদের তো গোসল লাগে না। তোরা তো সব টিস্যু দেশের লোক।
এসব কথা বলতে বলতে রুমের ভিতর গিয়ে সোহেল খাটের উপর বসতে বসতে বললো দোস্ত, আগে মানুষের উপর গোপনে ফরজ গোসল ফরজ হতো। আর এখন তার উল্টো।
সাইমুম কোনো উত্তর না দেওয়ায় সোহেল কথা বন্ধ করলো না। বর্তমান পৃথিবীকে দোষারোপ করে দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে সোহেল বলতে লাগলো, পৃথিবীটাই কেবল উল্টো ঘুরছে না। কিন্তু এর ভিতর যে কী হয়েছে? সব যেনো উল্টো উল্টো চলছে।
সোহেলের এসব কথায় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে সাইমুম বললো, আসলে দোস্ত দিনগুলি বদলে যাচ্ছে।
সোহেলের সামনে দাঁড়িয়ে সাইমুম গাইতে লাগলো, ‘দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না রইল না সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।’
গান শেষ না হতেই সোহেল বললো, তোর কণ্ঠ যে কী অসাধারণ কর্কশ দোস্ত। তোর দোহাই লাগে, তুই চুপ র্ক। তোর গান শুনে আমার মনে হচ্ছে আসলে পৃথিবীর সব কিছু উল্টো উল্টো চলছে। সুর-গীত সব উল্টে গেছে। তবে তোর কণ্ঠের করুণ অবস্থা শুনে আমারও একটা গান মনে আসছে।
মনে আসলে গেয়ে ফেল্ বন্ধু। কথা মনের ভিতর থাকলে তা শুধু পড়ে পড়ে পচতে থাকে। গান হলো মনের বিষয়। কণ্ঠের না। কণ্ঠ খারাপ হলে কি গান গাওয়া বন্ধ করতে হবে নাকি?
হ্যাঁ। মন আগে পচে। তারপর কথা। মন না পচলে মনের মাঝের কথা কখনো পচে না। বুঝলি। বিলাফ অব ফিলোসফি যদি বলিস তাহলে পড়ে শুনেই বলিস। বুঝছিস?
ঠিক আছে বাবা আমি আর তোর মতো অতো ফিলোসফি বুঝি না। তোর কণ্ঠটাও যেমন ভালো, ও-রকম তোর ফিলোসফির জ্ঞানও ভালো। তুই গানটা গা না।
গানটা অবশ্য অনেক পরে গাওয়া ভালো ছিলো। কিন্তু এখনই গেয়ে ফেলবো। তাছাড়া ভাবছি তোর মতো শ্রোতার সামনে গেয়ে গানটা নষ্ট করবো কিনা।
নষ্ট হবে না। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনবো।
ঠিক আছে শোন।
সোহেল সুমধুর কণ্ঠে শুরু করলো,
‘পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায়,
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়?
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা, প্রাণের মাঝে আয়,
মোরা সুখের দুখের কথা কব, প্রাণ জুড়াবে তায়।
মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি, দুলেছি দোলায়
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হলো ছাড়াছাড়ি, গেলেম কে কোথায়
আবার দেখা হলো, সখা, প্রাণের মাঝে আয়।।’
খুব সুন্দর লাগলো দোস্ত। যেমন লেখা তেমন কণ্ঠ। এই গানটি কার লেখা?
তাও জানো না?
না। সাহিত্য আমি বুঝি নাকি?
ঠিক আছে। তার আগে বল্ তুই যে গানটি গাইলি সেটা কার লেখা।
ও বিশ্বকবি কাজী নজরুলের লেখা।
আচ্ছা। ও-দিকে তো নলেজ দেখছি ভালোই আছে। প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। কিন্তু...
কিন্তু কি?
কাজী নজরুল তো বিদ্রোহী কবি। তিনি বিশ্বকবি নজরুল হবেন কেনো? বিশ্বকবি তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বেশ তর্কের কণ্ঠে সাইমুম বললো, আমি তো বলিনি যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি না।
তা নজরুল ক্যানো হতে যাবে?
আচ্ছা তাহলে সারা পৃথিবীতে কি একজনই আজীবন বিশ্বকবি? ওয়ার্ল্ড পোয়েট।
না না বন্ধু। তা হয় না। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথই।
শোন তোদের অবস্থা কি? এক কথা বারবার বলে সেই কথাকে বাস্তবায়ন করে ছাড়িস। কিন্তু কতগুলো যুক্তি দেখ
না বোঝার ভান করে সোহেল বললো, বল্ কিছু যুক্তি শিখি।
সাইমুম বললো, বিশ্বকবি এই শব্দের অর্থ বিশ্বের কবি।
হাসতে হাসতে সোহেল বললো, তাহলে বিশ্বের সবাই তো বিশ্বকবি।
তা হবে ক্যান্?
হবে না ক্যান? বললি যে, বিশ্বের কবি, বিশ্বকবি। কোনো কবিই তো বিশ্বের বাইরে না। কেউতো মঙ্গলগ্রহ থেকে আসেনি।
না না। এইভাবে ব্যাখ্যা করছিস তুই ইচ্ছে করে। তুই আমার চেয়ে সাহিত্য অনেক জানিস।
আমি কিছুই জানি না। তুই বল্। আমি শুনি।
পৃথিবীব্যাপী যাকে নিয়ে গবেষণা চলে বা চলার যোগ্য তিনি বিশ্বকবি হতেই পারেন। নাকি?
হ্যাঁ সেদিক দিয়ে তো সত্য। আর কি যুক্তি আছে বল্।
আমরা বাংলায় তাঁকে বিশ্বকবি বলি। তাহলে ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, ডাচ, আরবী, উর্দু, হিন্দি, জাপানি, নেপালি বা পৃথিবীর যে প্রায় আড়াই হাজারের উপর ভাষা আছে সব ভাষাতেই কি তাঁকে বিশ্বকবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে? নাকি শুধু বাংলা ভাষাতেই আমরা বলি বিশ্বকবি।
আমরা শুধু বাংলা ভাষাতেই তাঁকে বিশ্বকবি বলি।
তাহলে রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক সময় থেকে নিয়ে শুরু করে আগামী মহাপ্রলয়ের দিন মানে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে আর কেউ বিশ্বকবি হবে না।
তোর কথা আমি মানলাম। কিন্তু বাংলা সাহিত্যে তো আর কেউ কখনো নোবেল প্রাইজ পায়নি। তাহলে সে অনুযায়ী তো তিনিই বিশ্বকবি।
নোবেল প্রাইজই যদি বিশ্বকবি হওয়ার মানদ- হয় তাহলে একটা বিষয় বল্, বিশ্ববিজ্ঞানী হওয়াটাও কি নোবেল প্রাইজের সাথে সম্পৃক্ত?
অসুবিধে কোথায়? নোবেল প্রাইজ একটি মানদ- হতেই পারে। সেক্ষেত্রে নোবেল প্রাইজ পেলেই আমরা তাকে বিশ্ববিজ্ঞানী বলতে পারি।
দ্যাখ্ সোহেল, একই বছর একই সময়ে কমপক্ষে শতাধিক বিজ্ঞানী তাঁদের অনবদ্য আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠেন। এবং তাদের আবিষ্কারের ভিতরে পার্থক্য খুবই কম হয়ে থাকে। তাহলে যে এক-দুইজন হাতেগোনা নোবেল প্রাইজ পান এদের আবিষ্কার ছাড়া কি আর কারো কোনো আবিষ্কার কাজে লাগছে না। নাকি তাঁদের আবিষ্কার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড কোনো কাজে লাগবে না।
না। তা হবে ক্যানো? অবশ্য কাজে লাগবে।
সুতরাং দৃষ্টিটা একটু পরিষ্কার করে প্রসারিত করে দ্যাখ। নোবেল প্রাইজ না পেলেও তাঁরা কিন্তু বিশ্ববিজ্ঞানী। কারণ বিশ্বব্যাপী তাঁদেরকে নিয়ে শুধু ভাবনা চিন্তা হচ্ছে তা নয়, সাথে সাথে তাঁদের সৃষ্টিতে সারা বিশ্ব উপকৃত হচ্ছে।
তর্কে হেরে যেতে যেতে সোহেল বললো, কিন্তু তুই যে রবীন্দ্রনাথের গান নজরুল বলে চালিয়ে দিলি, এটা কি জেনে বুঝে দিলি নাকি। নজরুল অমন লেখার যোগ্য নয়, নাকি?
এবার যে তর্কে গেলি তা শুরু হলে শেষ হবার না। শুধু মনে রাখিস একেক দোকানের মিষ্টি একেক স্বাদের। কোনোটির গুরুত্ব থাকে কম? হয়তো কোনোটা ফেলনা না। ঠিক আছে এবার যা। তোয়ালে খুলে গামছা পর। ডিনার করবি কোথায়?
সোহেল, মাঝে মাঝে এমন পাগলামি করিস না। মনে হয় নেশাসক্ত। ‘তোয়ালে খুলে গামছা পরে আয়’ মানে কি? আমি গামছা পরে ডিনারে যাবো?
না তুই প্যান্ট পরে আয়। বলতে ভুল হলো। কোন্ হোটেলে যাবি?
চল্ হোটেল সি-বীচে যাই।
খারাপ না। যাওয়া যায়। ওদের বিহেবটাও ভালো।
১৬.
হোটেল সী-বিচ। বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা চলতেই থাকে। সেই সাথে থাকে বাংলাদেশি সুন্দরীদের রমরমা ব্যবসা। ডলার হিসাবে যখন টাকা পায় তখন নিজের জীবনকে ভুলে যায় তারা। বিউটি-পার্লারে গিয়ে মেক-আপ করে হোটেল সী-বিচে তারা সাড়ম্বরে আগমন করে। হোটেলের সামনে রিকশা থেকে নামতেই সাইমুম সোহেলকে কনুই দিয়ে গুঁতা মেরে বললো, দেখছিস, ওই মেয়েটাকে। দ্যাখ! যেন জ্যোস্না-মাখা রূপ!
আমি আগেই দেখেছি। এতোদিন পরে দেশে এলি। তুই বাংলাদেশের উর্বশীর সুশ্রী হৃদয়ে মেখে নে।
কতো অপরূপা সুন্দরী! একবার তাকালেই বুকের ভিতর কেমন যেন বিদ্যুৎ চমকে ওঠে।
সাইমুম, তুই ভার্সিটির টিচার। তাছাড়া বয়সটাও ছেলে ছোকড়ার না। তুই এভাবে পেছনে পেছনে কথা বলছিস ক্যান?
সাইমুম মুহূর্তে তরুণ হয়ে গেলো। সোহেলের পিঠে একটি চড় বসিয়ে দিয়ে বললো, বয়স কোনো ব্যাপার হলো?
বয়স-ই তো ব্যাপার। ক্যান্ তোর কাছে কি নবীন-প্রবীণ এক নাকি?
আরে না। ঐ যে জসীম উদ্দীন বলেছেন না?
সোহেল বললো, জীবনে তোর কাছ থেকে কতো কবির কথা ভুলভাবে শুনলাম। তা লিখলে এক মহাকাব্য হবে। তা বলতো? জসীম উদ্দীন কী বলেছেন?
সাইমুম সাহিত্যের শিক্ষকের মতো আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললো, ‘বার্ধক্য দেহে নয় মনে। বৃদ্ধ উহারাই যাহারা পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে।’
হোটেলের ভিতরে না ঢুকে সামনে একপাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলো তারা। সাইমুমের মুখ দিয়ে এই কথা শুনে সোহেল হো হো করে হেসে উঠলো। হোটেলের গার্ড হা করে এই হাসি দেখে মনে মনে ভাবলো, ‘হ্যান্ডসাম পাগলের আমদানি ঘটেছে। কোটিপতির পোলায় সব।’
কিন্তু স্ফুটস্বরে কিছুই বলার সাহস পেলো না।
সাইমুম বললো, তুই হাসছিস ক্যান?
কাজী নজরুলের লেখা তুই কীভাবে জসীম উদ্দীনের নামে চালিয়ে দিলি। একটু আগে রবিঠাকুরের লেখা নজরুলের নামে দিলি। তাঁরা বেঁচে থাকলে তোকে জেলখানায় থাকতে হতো।
এ কথা শুনে সাইমুমের মুখ ম্লান হয়ে গেলো। সে কিছু বলার আগেই সোহেল বললো, আমার কি মনে হয় জানিস?
কি বল্ না হলে বুঝবো কি করে। আমি কি আর অন্তর্যামী?
পরে বলবো।
তাহলে চল্ হোটেলে ঢুকি। না হলে সুন্দরীদের পাশে সীট পাওয়া যাবে না।
ঠিক আছে চল্।
সোহেল ও সাইমুম রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। গরিব দেশের ধনী রেস্টুরেন্টে ঢুকে বসার জায়গা খুঁজে পাওয়া খুব সহজ কাজ হলো না। আশপাশে সবাই টেবিলে বসে গেছে। সিঙ্গেল টেবিলগুলো আর ফাঁকা নেই। সবাই যার যার মতো পায়ের পরে পা তুলে দিয়ে নবাবের মতো দুলাচ্ছে। মাঝে মাঝে ওয়েটার এসে তাদের অর্ডার নিয়ে যাচ্ছে। প্রায় চার-পাঁচ মিনিট এভাবে দাঁড়ানোর পর সাইমুম বললো, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে বেশ আনস্মার্ট লাগছে। চল্ আমরা গিয়ে ঐ বড়ো টেবিলে বসি।
ঐটা তো পার্টি টেবিল। বিশ-পঁচিশজন মিলে এক সাথে বসে।
কি আর করা। চল বসি।
অনেক লম্বা টেবিলের একপাশে মুখোমুখি বসল ওরা। খাবারের অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো। হঠাৎ যেন বিদ্যুতের আলোয় তাদের চোখ চিক চিক করে উঠলো। সোহেল প্রথম তাকালো এবং মনের অজান্তে বললো, হাই কামনা।
এবার সাইমুম চোখ তুলে তাকালো এবং বিস্ময়ে উঠে দাঁড়ালো। দাঁড়িয়ে বললো, তুমি আসবে তা বলবে না? আমরা একসাথে আসতাম।
সোহেল বললো, তোমাকে নীল শাড়িতে দারুণ মানিয়েছে।
কারো কথার কোনো উত্তর না দিয়ে সাইমুমের পাশে গিয়ে বসলো কামনা। তারপর কোনো প্রকার বিরাম চিহ্ন ব্যবহার ব্যতিরেকে এক নিঃশ্বাসে বলতে লাগলো, আমার এখানে আসার কথা ছিলো না কিন্তু হঠাৎ ডাক পেলাম কি আর করা এসে পড়লাম, আর না এসে কি বা করার ছিলো বলো।
সাইমুম বললো তোমাকে এখানে কে ডাকলো?
ক্যানো তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।
একথা শুনেই সাইমুম সোহেলের দিকে তাকালো। আর সোহেল কামনার দিকে তাকালো। কামনা এক মুহূর্তে চোখ ইশারায় সোহেলকে কি যেন বললো। সোহেল চিরচুপ হলো। ততক্ষণে সাইমুম আবার কামনার দিকে তাকালো। কিন্তু সে শুধু তাকালই যা; কোনো কিছুর কোনো মর্মোদ্ধার করতে পারলো না। মানুষ যে কতকগুলো কারণে তাকায় তার প্রধানতম কারণ হচ্ছে কারণ খোঁজা। কিন্তু সাইমুম দর্শনার্থীর মতো তাকালো আর অন্ধের মতো গোমড়া থেকে গেলো।
সোহেল মনে মনে ভাবল কি কারণে কামনা এসেছে সেটা তো আমিও জানি না। আবার এতো গেট-আপ, মেক-আপ। কারণ কি?
পরক্ষণেই আবার ভাবলো, কারণ খুঁজতে গেলে পরমাসুন্দরী কামনাকে তো হারাতে হবে। সাইমুম পেয়ে যাবে এই অনিন্দ্যসুন্দরীকে। অতএব কারণ না খোঁজাই ভালো। সবকিছুর কারণ জানতে নেই।
গল্পকার: বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন