বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস 'নন্দিত নরকে' দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে পালাবদলের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। একের পর জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করে গেছেন। এই কথার জাদুকরের বিভিন্ন উপন্যাসে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া উক্তিগুলো পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো :
০১-জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও নাও কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।
০২-ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।
০৩-সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।
০৪-দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
০৫-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই পৃথিবীর আসল রূপ দেখতে পায়।
০৬-কান্নার সঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।
০৭-যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না.... মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।
০৮-কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।
০৯-পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোনও পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনও মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি।’
তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’
১০-মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিরাপদ মনে করে..
১১- পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু 'মা' এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।
১২যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।
১৩-যা পাওয়া যায়নি, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না। মেঘ আমরা স্পর্শ করতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি আমাদের মমতার সীমা নেই।
১৪-মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ।
১৫-কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মতো।
পাঠক মন্তব্য
হুমায়ুনের ঊক্তি গুলো আপনার পরিবারে শুরু করুন।তাহলে আপনার পরিবারের মেয়েদের বিবাহের সমস্যা হবে না।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন