আবাসিক হল খোলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রশাসন হোস্টেল খোলার জন্য রাজি হয়েছে। কিন্তু ছাত্রদল হোস্টেল না খোলার জন্য চাপ দেয় প্রশাসনকে। এ জন্য প্রশাসন তালিকা প্রকাশ করেনি। গতকাল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেটিকে কেন্দ্র করে ঝামেলা করছে ছাত্রদল। ছাত্রদলের ভয় ছাত্রাবাস চালু হলে শিবিরের কার্যক্রম চাঙা হবে। সেই ভয়ে হোস্টেল খুলতে দিচ্ছে না ছাত্রদল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেল ৩টার দিকে বহিরাগত ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা হোস্টেলের জানালা–দরজা ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জানতে চাইলে নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবাসিক হল খোলা নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বহিরাগত কেউ হোস্টেলে যাইনি। মারধরের ঘটনাও ঘটেনি।’
পুলিশের ডিসি নর্থ ফসসাল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে ছাত্রাবাসে ওঠা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষ চলছে। সেখানে আমাদের একটি দল আছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন