ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে অসংলগ্ন আচরণ করা সেই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে নানারকম বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও শেয়ার করার পর দলটির বিভিন্ন পেজ-অ্যাকাউন্ট থেকে ওই যুবককে জঙ্গী বলে অপপ্রচার চালানো হয়। দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাচ্ছে বলে তাদের অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করতে থাকে। ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে আচমকা ঢুকে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করা যুবক জুবায়ের এলাহীকে সোমবার (২৮ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় এক নম্বর গ্যালারিতে একজন যুবক লাঠি হাতে প্রবেশ করেন। সে লাঠি হাতে গ্যালারিতে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এসময় গ্যালারিতে বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ছিল, তারা ভয়ে গ্যালারি থেকে বের হয়ে যান। যুবকটি বিভ্রান্তের মতো এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে মেডিকেল কলেজ ত্যাগ করেন।
‘এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করে। এরপর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে যুবককে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজটি নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছে ডিএমপি।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হঠাৎ ক্লাসে ওই যুবকের প্রবেশের পর কয়েকজন শিক্ষার্থী ভয়ে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান। তবে ওই যুবক সেখানে অস্পষ্টভাবে কী বলছিলেন তা বোঝা যায়নি।
ঘটনার পরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। তবে তারা কলেজে পৌঁছার আগেই ওই যুবক সেখান থেকে চলে যান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন