বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জহিরুল ইসলাম নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই ছাত্র গত ৫ আগস্ট শহীদ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার দুই মাসের বেশি সময় পর আজ সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ শামসুল আরেফিন গত ২৯ সেপ্টেম্বর জহিরুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলেন।
জানা যায়, জহিরুল ইসলামের বাড়ি গাজিপুরের কাপাশিয়া থানার ঘাগটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব পাড়া গ্রামে। তার বাবা তাজুল ইসলাম ও মাতা শাহনাজ পারভীন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঘটনার দিন সেখানকার আন্দোলনের আগুন নেভাতে গিয়ে গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
নিহত ভাইকে নিয়ে গত ৬ আগস্ট জহিরুল ইসলামের বড় ভাই জাহিদ হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, আসসালামু আলাইকুম। শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরেই বেশকিছু (আনুমানিক ৩০০+) দুর্বৃত্ত আমাদের পাড়ায় ঢুকে যায়। প্রথমে আমাদের বাড়ির দক্ষিণের ৩টা বাড়ির পরের বাড়ি ভাঙচুর করে, তারপর ওই বাড়ির একটা বাড়ির পরের বাড়ি ভাঙচুর করে এবং বাড়িতে থাকা মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি আরও লেখেন, ওই জ্বলন্ত গাড়ির আগুন নিভাতে গিয়ে গাড়িতে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৫ আগস্ট বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে আদরের ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ওইদিন রাত রাত সাড়ে ১১টায় তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চলাফেরায় কারও মনে যদি কখনও কোনো কষ্ট দিয়ে থাকে দয়া করে তাকে ক্ষমা করে দিবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন