সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সামিউল আজিম নামে ওই শিক্ষার্থীকে মালামালসহ বের করে দেয়া হয়।
সামিউল আজিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ড্রাসটিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিদিন নানা কর্মসূচি পালন করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান শিহাবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪২২নং কক্ষে যায়। এসময় তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় এবং কর্মসূচিতে রাজাকার বলে স্লোগান দেওয়ায় সামিউল আজিমকে মারপিট করে মালামালসহ হল থেকে বের করে দেন।
সামিউল আজিম বলেন, ‘আজ দুপুরে কর্মসূচি শেষে হলে ফিরে দেখি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের গেটে তালা মেরে স্লোগান দিচ্ছে। আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নেই। সন্ধ্যায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আমার রুমে ঢুকে যায়। এরপর দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। তারা জিজ্ঞেস করে এখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন কারা করছে। আমি উত্তর দিলে বলে রাজাকার স্লোগান কেন দিয়েছিস। এরপর তারা আমাকে খুব মারপিট করে। এমনকি ঝাটাপিটাও করে। ছাত্রলীগের হৃদয়, শিহাব ও রাকিব আমাকে মারপিট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে মেরে শিক্ষার্থী সমাজকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। আমরা আন্দোলন করছি, সেটা চালিয়ে যাব।’
সামিউল আজিম জানান, মারপিট ও হল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি তিনি হল প্রভোস্টকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, ‘আমি হলেই আছি। শিক্ষার্থী বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে সামিউল আজিম নিজেই হল থেকে চলে গেছে।’
....................................................................................
কোটাবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে মো. ওমর ফারুক আকন্দ নামে তার নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমি মো. ওমর ফারুক আকন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সানন্দবাড়ী সাংগঠনিক থানা শাখার ‘উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক’ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কোটা সংস্কার আন্দোলন) সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না।’
এবিষয়ে সানন্দবাড়ী সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক আকন্দ বলেন, ‘চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা আমার কাছে দুঃখজনক মনে হয়েছে। যে ছাত্রলীগের নীতি আর আদর্শ দেখে ছাত্রলীগে যুক্ত হয়েছিলাম, সেই ছাত্রলীগের সঙ্গে বর্তমান ছাত্রলীগের আদর্শের মিল না থাকায় আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। চলাচল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন