ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে আফিয়া আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ের খালি থাকা একটি শ্রেণিকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই শিক্ষার্থী ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর গ্রামের শিক্ষক আমির হোসেনের মেয়ে। মা ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে চাকরি করেন।
মৃত ছাত্রীর পরিবার জানায়, বিদ্যালয়ের কয়েকজন সহপাঠীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হয় আফিয়া আক্তারের। রুবিনা সারা নামে এক সহপাঠী আফিয়ার নামে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। সে বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাকে ও অভিযোগকারী সহপাঠীদের ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। এসব কারণে আফিয়ার মন-মানসিকতা ভালো ছিল না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুল আলম জানান, প্রভাতী শাখার ওই শিক্ষার্থী সকালে ক্লাসে আসে। কয়েকটি ক্লাসে অংশও নেয়। পরে বিদ্যালয়ের গণেশ ভবনের চতুর্থ তলায় খালি থাকা একটি শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। তাকে খুঁজতে আসা শিক্ষার্থীরা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার করলে শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হাসপাতালের কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীর বাবা শিক্ষক আমির হোসেন বলেন, ‘সকালে বাসা থেকে খুব স্বাভাবিকভাবে স্কুলে যায় সে। পরে আমাদের শিক্ষকরা ফোনে জানায় মেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমরা হাসপাতালে গিয়ে ওকে আর জীবিত পাইনি। শুনেছি আমার মেয়ের সঙ্গে কয়েক সহপাঠীর সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।
এ নিয়ে শিক্ষকরা উভয়পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দিলেও সমস্যা থেকেই যায়। এসব কারণে হয়তো সে আত্মহত্যা করতে পারে।’
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই শিক্ষার্থী কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন