গ্রাম ও শহরে জেঁকে বসেছে শীত। এই সময়ে শরীরের বেশ কিছু রোগভোগের আশঙ্কা বাড়ে। পারদ নেমে যাওয়ায় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার উৎপাত বাড়ে। অন্যদিকে লিভার, হার্টের নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ফ্যাটি লিভারে অনেকেই এই সময় ভোগেন বেশি।
কিন্তু শীতেই কেন? এই সমস্যা থেকে রেহাইয়ের উপায়ই বা কী?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ, বর্ষশেষের উদযাপন, পিকনিকের খাওয়াদাওয়া হইহুল্লোড়, গা গরম রাখার জন্য বা নিছক আনন্দের জন্য কারও কারও মদ্যপান। আবার এই শীতকালেই কমে যায় শরীরচর্চা, হাঁটাচলা তথা ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি। ফলে শরীরের উপর যাবতীয় অত্যাচারের বড় অংশ লিভারকে সহ্য করতে হয়।
ফাস্টফুড, তেলেভাজা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে লিভারে ফ্যাট জমতে থাকে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় যারা ইতোমধ্যে ভোগেন, তাদের সমস্যা আরও বাড়তে থাকে। এসব কিছু মিলিয়েই শীতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা তুঙ্গে ওঠে। যাদের এই সমস্যা নেই, তারাও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
লিভার সুস্থ রাখার উপায়
স্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, লিভার ভালো রাখার একমাত্র উপায় লাইফস্টাইল অর্থাৎ জীবনযাপনের কায়দায় কিছু নিয়ন্ত্রণ আনা। এই নিয়ন্ত্রণগুলো রাখা গেলে লিভারের সমস্যায় আর ভুগতে হবে না।
সীমিত পরিমাণে খাওয়াদাওয়া
শীতকালে শরীরের কম ক্যালোরির প্রয়োজন হয় এমনিতেও। তাই এই সময় সীমিত পরিমাণে খাবার খেতে হবে। বিয়েবাড়ি, নিমন্ত্রণের জেরে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে শরীরচর্চার দিকেও মন দিতে হবে। কয়েকদিন বেশি এক্সারসাইজ করে ঝরিয়ে ফেলতে হবে অতিরিক্ত ফ্যাট।
নিয়মিত শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। চিকিৎসকের কথায়, লিভারের ফ্যাট কমাতে এটিই সবচেয়ে বেশি উপকারী। শীতকাল হলেও তাই শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখতে পারলে আদতে স্বাস্থ্যের উপকার।
ফ্যাটজাতীয় খাবার খাওয়া কমানো
ধরা যাক, কোনো রান্নায় মাখন বা ঘি রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই রান্না সুস্বাদু হবে। কিন্তু এতে ফ্যাটও রয়েছে যা লিভারের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই বারবার যাতে এমন খাবার না খাওয়া হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন