স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হল পর্যাপ্ত ঘুমোনো। যে কোনও শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ঘুম অত্যন্ত জরুরি। কিডনি, লিভার, মানসিক অবসাদ, ডিমেনশিয়া, আর্থরাইটিসের মতো হাজার সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে ঘুমেই। তবে শুধুই কি শারীরিক অসুস্থতা, শুধুই কি পেটে সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে নির্দিষ্ট সময় না ঘুমোলে মানুষের চেহারাই পাল্টে যায়। একটি ডিজিটাল মডেল বানিয়ে সেই উদাহরণই দেখালেন এক চিকিৎসক। দিনের পর দিন কম ঘুমানোর ফলে ২০৫০ সালে একজনকে ঠিক কেমন দেখতে হতে পারে তা দেখানো হয়েছে মডেল 'হান্না'-কে দিয়ে। ১৯টি রিসার্চ পেপারের জন্য ডিজিটাল মডেল 'হান্না'-কে তৈরি করেন ডক্টর সোফি বস্টক। একজন ৪৫ বছর বয়সী ডিজিটাল মডেল, তাকে সামনে রেখেই তিনি দেখিয়েছেন, সারাদিনে ঠিকমতো না ঘুমালে কীভাবে মানুষের শারীরিক আকারের পরিবর্তন হতে পারে । ছবিটি দেখলে বোঝা যাবে, একদিনে মাত্র ছয় ঘণ্টা ঘুমালে ২০৫০ সালে গিয়ে সকলকে ঠিক কেমন দেখতে হবে। চুল পড়তে শুরু করবে, একদম টাক পড়ে যাবে। ত্বক ঝুলে যাবে। চোখ ফুলে উঠবে। হাত-পায়ে ব্যথা শুরু হবে সঙ্গে টান ধরবে। ব্যাক পেইন শুরু হবে যার জন্য আস্তে আস্তে কুঁজো হতে শুরু করবেন এবং যেকোনও ফ্লু খুব তাড়াতাড়ি শরীরে বাসা বাঁধবে। যার ফলে ধীরে ধীরে কমে যাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসলে কম ঘুমালে পুরো চেহারাটাই যেকারও পাল্টে যেতে পারে এবং অদ্ভুত দেখতে লাগতে শুরু করবে ধীরে ধীরে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। ঘুম রাতে হলেই ভাল। কম ঘুম মানসিক অবসাদ বাড়িয়ে তোলে। ২০০৫ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, যাঁরা উদ্বেগ বা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই গড়ে রাতে ছ’ঘণ্টার কম ঘুমান। অনিদ্রা আর মানসিক অবসাদ পরস্পর এতটাই নিবিড় সম্পর্কযুক্ত যে, একটি আক্রান্তকে অন্যটির দিকে টেনে নিয়ে যায়। অবসাদের লক্ষণগুলি রোগীর ঘুমিয়ে পড়ার ক্ষমতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন