হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হার্টের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম কমেছে। জীবন রক্ষাকারী এসব রিংয়ের দাম ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দপ্তরটি।
অভিযোগ রয়েছে, দেশের কয়েকটি হাসপাতালে ১৮ হাজার টাকার হার্টের রিং দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে। কিছু অসাধু চিকিৎসকদের কমিশন বাণিজ্যের কারণেই রোগীদের কাছ থেকে এ বাড়তি মূল্য নেওয়া হচ্ছে। ফলে রিংয়ের মূল দামের চেয়ে ১০ গুণেরও বেশি দিতে হচ্ছে রোগীকে।
ঔষধ প্রশাসন জানিয়েছে, হাসপাতালের নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের তালিকাটি জনগণের জন্য প্রদর্শন করতে হবে। হার্টের রিংয়ের নাম, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এবং উৎপাদনকারীর নাম উল্লেখ করে পৃথক ক্যাশমেমো দিতে হবে। রোগীকে ব্যবহৃত হার্টের রিংয়ের প্যাকেটের গায়ে ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, উৎপাদনকারী দেশ এবং খুচরা মূল্য উল্লেখ করে হার্টের রিং যাতে বিশেষজ্ঞদের ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র উপ-পরিচালক ও আইন কর্মকর্তা মো. নূরুল আলম যুগান্তরকে বলেন, হার্টের রিংয়ের (স্টেন্ট) দাম কমিয়েছে সরকার। নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত কেউ নিতে পারবে না। ঔষধ ও কসমেটিকস আইন ২০২৩ অনুযায়ী, অধিক মূল্যে কেউ বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন