শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানা যায় শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই, এ কথা কমবেশি সবার জানা থাকলেও তা মানেন না অনেকেই। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই শরীর সুস্থ রাখা যায়, আবার বিভিন্ন রোগ দ্রুত নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে আপনার হার্টের অসুখের ঝুঁকি আছে কি না সেটিও আগে থেকেই জানা সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, হার্টের রোগ যে কোনো বয়সেই হতে পারে।
তার উপর যদি বাবা-মায়ের পরিবারে কারও হার্টের রোগ সংক্রান্ত ইতিহাস থাকে, তাহলে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে থাকা প্রয়োজন। তবে ঠিক কোন বয়স থেকে হার্টের পরীক্ষা করাবেন?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্যমতে, হার্ট ভালো আছে কি না তার জন্য বছরে একবার হলেও বেশ কিছু পরীক্ষা করিয়ে রাখা দরকার।
তবে কোন ব্যক্তি ঠিক কোন বয়স থেকে হার্টের পরীক্ষা করানো শুরু করবেন এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। ব্যক্তির শারীরিক সমস্যা বা পরিস্থিতি বুঝে চিকিৎসকরাই এ সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে কারও যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা পরিবারে কারও হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে ৩০-৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে একবার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হতে হবে?
>> বয়স অনুযায়ী দেহের ওজন, বডিমাস ইনডেক্স বা ‘বিএমআই’ নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে গেলে অবশ্যই চিকিৎসেকর শরণাপন্ন হতে হবে।
>> বয়স ৩০ পার হতে না হতেই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেছে, তাহলে অবশ্যই প্রতিবছর হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন আছে।
>> দীর্ঘদিন ধরে যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাদেরও নিয়মিত চেকআপে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন