দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন। এতে অংশ নিতে গিয়েও আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। একই কারণে ফেরত যেতে হয়েছে দলটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদকেও।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে সরকারের শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের আমন্ত্রণে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে যান অলি আহমদ ও রেদোয়ান আহমেদ। পরে অতিথি তালিকায় নাম না থাকার বিষয়টি জানানো হলে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেখান থেকে ফেরত যান তারা। এদিন বিকেল সোয়া ৪টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়।
শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে: ড. ইউনূস
সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক বলেন, প্রবেশপথে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে অতিথি তালিকায় তাদের নাম নেই। পরে তারা অনুষ্ঠানস্থলে না গিয়ে বাসায় চলে আসেন। এরপর উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যোগাযোগ করলেও তারা আর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাননি।
তিনি জানান, ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার রাতে এলডিপির সভাপতি ও মহাসচিবকে দাওয়াত দেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। দাওয়াত দিয়েও অতিথি তালিকায় কেন নাম রাখেনি সেটা সরকার ভালো বলতে পারবে।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, এবি পার্টি ও খেলাফত মসলিসের প্রতিনিধিরা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, দেশের চলমান নানা ইস্যুতে এ বৈঠক হবে। চলমান পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, ছাত্রনেতাসহ সবার কাছে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ড. ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ বসেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। আগামীকাল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন