দ্য ডিপ্লোম্যাটকে মির্জা ফখরুল
‘ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং একক বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে সামনে আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ধারণা করা হয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি আসনে জয় লাভ করবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তিনি ২০১৬ সালের পর থেকে দলটির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি সরকারের আমলে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন। কোনো দলের শীর্ষ পদে আসীন হওয়া নেতাদের মধ্যে তিনি এমন একজন যার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ঢাকার বাইরে।
২০১১ সালের পর থেকে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই সময়টিকে বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় বিবেচনা করা হয়। বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতা হিসেবে মির্জা ফখরুল দলটিকে নেতৃত্ব দেন।
দ্য ডিপ্লোম্যাটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে এমন বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি দলের অবস্থান তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি আজ শনিবার (২৩) প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিউ দিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিসার্চ স্কলার শাহাদাৎ হোসাইন। বাংলা আউটলুক পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটির ঈষৎ সংক্ষেপিত অংশ ভাষান্তর করে তুলে ধরা হলো।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : জুলাই বিপ্লবকে কি আপনি বিপ্লব নাকি গণঅভ্যুত্থান মনে করেন?
মির্জা ফখরুল: নিঃসন্দেহে এটা গণঅভ্যুত্থান ছিল। গত ১৫-১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন অবসানে বিএনপির নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই করে আসছিল। ছাত্রদের কোটা সংস্কারের বিক্ষোভ দিয়ে এই আন্দোলনটি শুরু হয়েছি। যেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছিল। দুঃখজনকভাবে এই সময়ে অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্রাণ হারান।
প্রথমদিকে এই আন্দোলন গণবিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের মতো ছিল না। তবে আবু সাঈদের (জুলাই বিপ্লবের প্রথম দিককার একজন শহীদ) মৃত্যুর পর আন্দোলনের বাঁক বদল হয়েছিল। তার মৃত্যু সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল এবং ঐক্য তৈরি করেছিল। যা দলগুলোকে একতাবদ্ধ করে সরকার পতনের দিকে নিয়ে যায়। ওই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি করেছিল।
আমরা এটিকে নৃশংস ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন এবং বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের নতুন সুযোগের উত্থান হিসেবে দেখি। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলি প্রাথমিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হিসেবে পদ্ধতিগত বৈষম্যের অবসান ঘিরে ছিল। আর এর সমাধানের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ও সংগঠিত রাজনৈতিক কাঠামো। তাই আমরা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছি এবং তা গড়ে তুলতে কাজ করেছি।
অন্তর্বর্তী সরকার এখন ক্ষমতায় আছে। তারা প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের প্রথম কাজ হিসেবে সংস্কার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : আপনি জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন। যদিও সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা দাবি করেছেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারী ছাত্র নেতৃত্ব জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। জাতীয় সরকারের ধারণা আপনার দল সমর্থন করেনি কেন?
মির্জা ফখরুল : জাতীয় সরকার গঠনে ছাত্র নেতৃত্বের এমন কোনো প্রস্তাব সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর, তাদের প্রতিনিধিরা একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য পরামর্শ চাইতে আমাদের কাছে এসেছিল। তারা বেশ কয়েকটি নাম উপস্থাপন করে আমাদের মতামত চেয়েছিল। আমরা সেই অনুযায়ী মতামত দিয়েছি।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : সংবিধান সংস্কারসহ ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আপনার দল কিভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে এবং কাজ করছে?
মির্জা ফখরুল : সংস্কার কমিটিতে বিএনপির কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এই কমিটিগুলো রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই গঠন করা হয়েছিল, যা অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণও। তবে তারা আমাদের মতামত চেয়েছিল। আমরা আমাদের মতামত তাদের কাছে পাঠাবো।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিএনপি এবং নির্বাচনের দাবিও জানাচ্ছে দলটি। তবে সমালোচকরা যুক্তি দেখান ক্ষমতায় গেলে বিএনপিও আরেকটি ‘আওয়ামী লীগ’ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে বিভিন্ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর বিএনপির তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী দখল ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ছিল।
মির্জা ফখরুল : এটা বিএনপি বিরোধী মিডিয়া ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতিবাচক প্রচারণা ছাড়া কিছু না। গণঅভ্যুত্থানের পর এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটা এসব ঘটনা আমরা অস্বীকার করছি না।
তবে বিএনপি এসব সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি। আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের আস্থা ধরে তবে বিএনপি এসব সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পর্যন্ত এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া প্রায় ৭০০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছি। আমরা দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও জনগণের আস্থা অটুটে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : আওয়ামী লীগ সবসময় দাবি করে অন্যান্য দলের অধীনে সংখ্যালঘু হিন্দুরা নিরাপদ নয়। ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এগুলিকে রাজনৈতিক আক্রমণ বলে আপনি উড়িয়ে দিতে পারেন না। এটা কি আওয়ামী লীগের দাবিকে জোড়ালো করে কিনা?
মির্জা ফখরুল : হ্যাঁ, কিছু ঘটনা অবশ্যই ঘটেছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের অসংখ্য সদস্য যারা অন্যায় করেছেন, অত্যাচার করেছেন, লুটপাট করেছেন তারা বিএনপি বা ছাত্রদের নয়— সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়েছেন। ১৮ বছরের অপমান, বঞ্চনা এবং ক্ষোভ থেকে এই আক্রমণগুলি হয়েছিল।
যদিও এই ঘটনাগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে সংখ্যালঘু নিপীড়নের মোড়ক দেওয়া হয়েছে। কিছু ব্যক্তি ‘বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা তীব্র হয়েছে’ দাবি করে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, যা জাতির স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা।
দেশে সাম্প্রদায়িকতা বাড়ছে এই বয়ান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে আওয়ামী লীগ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের আপাত লক্ষ্য হলো তারাই একমাত্র দল যারা কার্যকরভাবে এই সমস্যাটির সমাধান করতে সক্ষম এবং তার মাধ্যমে ভারত এবং অন্যান্য মিত্রদের সমর্থন নিশ্চিত করা।
পরিহাসের বিষয় হলো, আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছিল।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : ভারত বড় প্রতিবেশী দেশ। ভারতের সঙ্গে আপনার দলের সম্পর্ক সবসময় উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গেছে। গত এক দশক ধরে প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, আপনি এই সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন। সামনের দিনে ভারতের সঙ্গে বিএনপির এই সম্পর্ক কেমন যাবে বলে আপনি মনে করেন?
মির্জা ফখরুল : আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলায় বিশ্বাসী। এটি আমাদের ঘোষিত নীতির একটি মূল অংশ। জিয়াউর রহমানের সময় থেকে যখনই আমরা ক্ষমতায় ছিলাম, আমরা ভারতের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে কাজ করেছি। তবে আমাদের জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
পানি বণ্টনের মতো সমস্যার সমাধান করতে হবে। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। সম্পর্কে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের কাছ থেকে নেওয়া সুবিধাগুলির অবশ্যই প্রতিদান দিতে হবে।
তাছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের অযাচিত হস্তক্ষেপ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের আশা এই ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে। বাংলাদেশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এককভাবে বাংলাদেশের জনগণই নেবে।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : ভারত থেকে বর্তমান সরকার ও বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক ভুয়া তথ্য ও মিথ্যা বয়ান ছড়ানো হচ্ছে। এটা নতুন নয়— আপনার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও ভারতীয় মিডিয়ায় অপমান করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলগুলোর প্রতি ভারতের একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে বলে মনে হয়। বাংলাদেশ কীভাবে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারে?
মির্জা ফখরুল : জনগণের নির্ধারিত একটি শক্তিশালী সরকার প্রতিষ্ঠা করাই এই মিথ্যা বয়ান মোকাবিলার একমাত্র উপায়। প্রথম এবং সবার আগে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্ব প্রয়োজন। সব রাজনৈতিক দলের মনে রাখা উচিত, আমরা একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সত্তা, একটি স্বাধীন দেশ যেখানে আমরা আমাদের নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে সক্ষম।
এছাড়া, বাংলাদেশকেও একটি শক্তিশালী পাল্টা-বয়ান গড়ে তুলতে হবে। ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মাধ্যমে সঠিক ঘটনা এবং তথ্য সঠিকভাবে তুলে ধরা উচিত।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : তরুণরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিয়ে আলোচনা করছেন। আপনার দল তা নিয়ে খুব একটা উৎসাহী বলে মনে হয় না। এই ব্যাপারে আপনার ভাবনা কি?
মির্জা ফখরুল : নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাতে চায়? এই ধারণা দিয়ে তারা কি বোঝাতে চান তা স্পষ্ট করা দরকার। আমি জানতে চাই: তাদের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত আসলে ঠিক কী? এই নিয়ে লিখিত বা নথিভুক্ত কোনো কিছু আমি দেখিনি। তারা কি বোঝাতে চান তা আমি আসলে ঠিক বুঝি না।
আমরা যে ধরনের রাজনীতি কল্পনা করি তা ইতোমধ্যেই আমাদের সংবিধানে নথিভুক্ত রয়েছে। তাদের স্পষ্ট ধারণা থাকলে তা নিয়ে প্রস্তাব করা উচিত।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শুধু আপনার দলই নয়, আরও অনেকে লড়েছেন। সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু আগামী নির্বাচনে জনগণ কেন আপনার দলকেই ভোট দেবে বলে মনে করেন?
মির্জা ফখরুল : বিএনপি জনগণের দল। জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন রাজনীতিই দলটি করে। মানুষ স্বাধীনতা চায়; তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বাস করতে চায়। তারা ভোট দিতে চায়, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করতে এবং সমৃদ্ধির সুযোগ চায়। বিএনপি সেই সুযোগ তৈরি করে।
বিএনপি তিনবার শাসন করেছে। সব বারই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। বিএনপি তার শাসনামলে মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কার করেছে। জিয়াউর রহমান (বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা) পূর্বের একদলীয় ব্যবস্থার জায়গায় বহুদলীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযোজিত হয়- যা রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক।
অর্থনৈতিকভাবে বিএনপি ত্রুটিপূর্ণ সমাজতান্ত্রিক মডেল থেকে মিশ্র এবং বৈচিত্র্যময় অর্থনীতির দিকে গেছে, যাকে আমরা এখন মুক্ত-বাজার অর্থনীতি হিসেবে উল্লেখ করি। এর ফলে বেসরকারি-খাতে অর্থায়ন শুরু হয়, যা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে আসে। পোশাক খাত, যা এখন আমাদের অর্থনীতিকে চালায়, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে তা শুরু হয়েছিল। এমনকি তার উদ্যোগের ফলে দেশে রেমিট্যান্স আসা শুরু হয়েছিল।
পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার আমলে ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাত সংস্কার করা হয়। বিএনপি এমন একটি দল যেটি জনগণের সমস্যা নিয়ে কাজ করা এবং উন্নয়নকে তরান্বিত করার প্রমাণিত অতীত ইতিহাস রয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশের মূল স্তম্ভ বিচার বিভাগ এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিএনপি নিশ্চিত করেছে।
দ্য ডিপ্লোম্যাট : আপনি প্রায়ই জোর দিয়ে বলেন আপনার দল উদার ও গণতান্ত্রিক। আপনার দলের চেয়ারপারসন একজন নারী যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও আপনাদের দলে নারীদের প্রতিনিধিত্ব কম এবং ৩০ শতাংশ নারী প্রার্থী দেওয়ার ঘোষিত লক্ষ্যও আপনারা পূরণ করতে পারেননি। এই বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?
মির্জা ফখরুল : আমরা আমাদের পার্টিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করব। এটি একটি অগ্রাধিকার এবং আমরা এই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন