সামাজিক মাধ্যম এক্স এ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি এক পোস্টে ফোন কল রেকর্ডসহ এ তথ্য প্রকাশ করেন।
সামি পোস্টে উল্লেখ করেন
আগামী ১০ নভেম্বর বিশেষ কর্মসূচির পরামর্শ দিলেন শেখ হাসিনা, বিস্তারিত পড়ুন/শুনুন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের রঙ্গিন ছবি A4 সাইজের প্রিন্ট করে সাথে রাখবেন যারা সেদিন আসবেন সবাই। যাতে বুঝা যাবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় তাকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হচ্ছে।
* সবার কাছে ক্যামেরা আছে এমন মোবাইল সাথে রাখবেন। যাতে রাস্তায় কেউ হেনস্থা বা গ্রেফতার করতে আসলে ট্রাম্পের ছবি সহ ভিডিও করতে পারেন। যাতে প্রমাণ করা যায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাতে আসা লোকজনকে অবৈধ ইউনুস সরকার বাঁধা দিচ্ছে। সারাবিশ্বে এটি ছড়িয়ে যাবে।
* আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সব কিছু কাভার করবে,ভিডিও চিত্র তুলে ধরবে।
* ১০ নভেম্বরে প্রোগ্রামে কোন মঞ্চ থাকবে না, হবে গণজমায়েত ও পদযাত্রা।
* রিক্সায় মাইক থাকবে, হ্যান্ড মাইক থাকবে।
* দলীয় কোন প্রকার ব্যানার ফ্যাষ্টুন বহন করা যাবে না। একবারে সাধারণ মানুষের মতো আসতে হবে।
* দলের শীর্ষ নেতা সহ কোন নেতারই ছবি ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।
* মহিলাদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে ভালো।
* একটু আগেভাগে এসে বায়তুল মোকাররম সহ আসে পাশের মসজিদ গুলোতে অবস্থান নেয়া।
* ৫ আগস্টের পর যেহেতু এটাই আমাদের প্রথম প্রোগ্রাম সেহেতু সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসুন লাখো জনতা একত্রিত হই।
একবার ভয় কেটে গেলে ইনশাআল্লাহ আমরা ঘুরে দাঁড়াবই।
উল্লেখ্য ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশ ছাড়ার পর একের পর এক ফোনালাপ ফাস হতে শোনা যায়। আগের এক ফোনালাপে শেখ হাসিনার কণ্ঠ-সদৃশ ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
নেটিজেনরা দাবি করছেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা তার নেতকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সেসব ফোনালাপই ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই ফোনালাপে শেখ হাসিনা-সদৃশ কণ্ঠকে দাবি করতে শোনা যায়, তিনি পদত্যাগ করেননি।
ইউনূস অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন। এ সময় তিনি নিজেকে এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করেন।
ফোনকলের অন্য প্রান্তের কণ্ঠটি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারির বলে দাবি করা হয়। তিনি বর্তমানে বেলজিয়ামে অবস্থানরত।
ফোনালাপে শেখ হাসিনার সদৃশ কণ্ঠ বলেন, ‘সে তো জবরদখল করছে। তার কোনো লিগালিটি নাই। উপদেষ্টা বলে আমাদের কোনো পদ নাই। মানুষ খুন করে মেরে, একটা সিচ্যুয়েশন তৈরি করে তারপর সে ক্ষমতায় গেল।’
এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) বলেন, ‘জি আপা জি আপা এগুলো আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো পদত্যাগ করি নাই। আমাদের কনস্টিটিউশনের আর্টিক্যাল ৫৭ অনুযায়ী যেভাবে পদত্যাগ, আমার কিন্তু সেভাবে পদত্যাগ করা হয়নি। সে কিন্তু ৬ তারিখের জায়গায় ৫ তারিখে (লং মার্চ) নিয়ে আসলো। ৫ তারিখে নিয়ে আসার ফলে এমনভাবে চারদিকে লোক ঘেরাও...আমি দেখলাম যে এখন যদি ফায়ার ওপেন করে আমার এখানের সিকিউরিটি... তাহলে অনেক লাশ পড়বে। লাশ ফেলে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না।’
তখন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জি আপা, জি।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘যখন এমন সিচ্যুয়েশন হয়ে গেল যে আমার সিকিউরিটি যারা ছিল তারা বাধ্য হয়ে...তখন আমাকে সরে যেতে হলো গণভবন থেকে। যার ফলে বঙ্গভবনে গিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা আমি দিইনি। কাজেই আমার কিন্তু পদত্যাগ হয়নি। আমি এখনো বাংলাদেশের কনস্টিটিউশনাল ইলেকটেড প্রাইম মিনিস্টার।’
জবাবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আপা, আপনি চলে আসবেন তো। আর বেশি দিন নাই।’
এর আগে তানভীর নামের এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সঙ্গে শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস হয়। ওই ফোনালাপে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।’ এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন