জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, আমরা যেকোনো শক্তিকে প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখি। অন্তবর্তী সরকার সামনের সংলাপগুলোতে জাতীয় পার্টিকে যেন বাদ না দেয়, কর্মীসভার মধ্য দিয়ে এই বার্তাটা আমরা দিতে চাই।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার আমাদের সাথে বৈষম্য করছে তার প্রতিবাদেই আজকের এই যৌথসভা। সরকার যদি আমাদের সাথে ভাল আচরণ না করে তাহলে রংপুর থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে মোস্তফা বলেন, আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কোনো নির্বাচন বাংলার মাটিতে হবে না।
‘যে পথে গেছে আপা, সে পথে যাবে জাপা’ সারজিসের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ইতিহাস ৪২ বছরের ইতিহাস। জাতীয় পার্টির ইতিহাস ৯ বছর সুশাসনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার ইতিহাস।’
সমন্বয়ক সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে মোস্তফা বলেন, ভুলে যাইয়েন না আবার গর্জে উঠবে রংপুর। আপনাদের মসনদ উল্টে দেয়ার জন্য এই রংপুরকে যথেষ্ট মনে করি। আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টি কোনো পিঁপড়া নয়। জাতীয় পার্টি হলো বাজপাখি। যাকে একবার ধরি, তাকে আর ছাড় দেই না।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এমএম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহবায়ক আজমল হোসেন লেবু, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ। সম্মেলনে জেলা, মহানগর জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার দিনভর নগরীতে ঘুরে দেখা গেছে, রংপুরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসময় উভয় দলের নেতাকর্মীদের হাতেই লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। তবে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে থাকায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন