ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে আছেন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু গেপ্তার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৭ (নভেম্বর) আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আমু রিমান্ডে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার সঙ্গে তরুণীর একটি ছবি। অনেকের মধ্যেই কৌতূহল দেখা গেছে কে এই তরুণী ? তার সঙ্গে নিঃসন্তান আমুর সম্পর্কই বা কী?
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই তরুণীর নাম সুমাইয়া হোসেন। তিনি আমুর মেয়ে হিসেবে পরিচিত। শ্যালিকা মেরী আক্তারের কাছ থেকে এই মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। অনেক বছর আগেই সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি।
সুমাইয়া দুবাইপ্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন। আমুর নামে অভিযোগ উঠেছে তার অবৈধপথে আয়ের বড় অংশই সুমাইয়ার কাছে। তার অবৈধ পন্থায় আয় করা শতকোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ওই মেয়ের কাছে পাঠিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, আমির হোসেন আমুর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন তার ভায়রা ও সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ফখরুল মজিদ কিরন। তিনি আবার সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূনের ভাই। তারও এপিএস ছিলেন কিরন। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তার ও কিরন দম্পতির কন্যা সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। এই সুমাইয়া ও কিরনের কাছেই আমুর অবৈধ আয়ের অধিকাংশ গচ্ছিত রাখা।
অভিযোগ রয়েছে, সর্বশেষ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই কিরন তার নিজের এলাকা বাদ দিয়ে পড়ে থাকতেন ঝালকাঠি। শুধু তাই নয় সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায়,নির্বাচনী এলাকায় আমুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতেন তিনি।
গত ৬ আগস্ট আমুর ঝালকাঠির বাসভবন থেকে ডলার-ইউরোসহ প্রায় ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন