বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রা ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশ ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা।
শুক্রবর দুপুর ২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হবে। পরে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে গিয়ে শেষ হবে।
শোভাযাত্রায় অংশ নিতে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। তাদের সবার হাতে বিএনপির দলীয় পতাকা ও গায়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের টি-শার্ট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে নয়াপল্টনে প্রবেশমুখের সড়কটিতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিপরীত সড়কটি খোলা।
এসব দেখভাল করছেন ট্রাফিকের সদস্যরা। পাশে ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে রাখা হয়েছে সাঁজোয়া যান ও জলকামান। তার বিপরীত সড়কে শ্রম আদালত ভবনের সামনে একটি পিকআপে পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছেন। ওয়াকিটকি হাতে পুলিশের সদস্যরা বিএনপির শোভাযাত্রায় আসা কর্মীদের নানাভাবে সহযোগিতা করছেন।
শুধু নয়াপল্টন নয়, বিএনপির এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাংলামোটর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, কারওয়ানবাজার এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলামোটরের ওভারব্রিজের পাশের ভবনের নিচে অর্ধশতাধিক পুলিশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে কাকরাইল, ফার্মগেট ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায়ও।
এদিকে শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে যাতে সড়কে নগরবাসীর যেন কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের শেষ প্রান্ত পশ্চিমের মোড়ে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। ফলে গাবতলী থেকে আসা গাড়িগুলো জাতীয় সংসদের সামনের সড়কে এসে ঘুরে সেদিকে যাচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি শাহরিয়ার হাসান বলেন, শোভাযাত্রাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শোভাযাত্রাটি মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যাওয়া পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন