সরকারি সফরে সুইজারল্যান্ড থেকে ফেরার সময় প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের হেনস্তার শিকার হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সুইজারল্যান্ডের স্থানীয় বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সময় দুপুর ২টায় সুইজারল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
আসিফ নজরুল এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করছেন। তাই এই ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভিডিওটি দেখা যায় একদল লোক আসিফ নজরুলের পথ রোধ করে কথা বলতে চান। এ সময় কেন তারা পথ আটকাচ্ছেন তা তিনি জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতারা মারমুখি হয়ে ওঠেন।
এ সময় আওয়ামী লীগ সুইজারল্যান্ড সভাপতি নজরুল জমাদার ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বদরুল খান তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন।
তাদের বাধা অতিক্রম করে এয়ারপোর্টে ঢুকতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতারা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকে। সে সময় তারা ‘পাকিস্তানের রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়’ স্লোগানও দেন।
ঘটনাটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনের কার্যক্রম নিয়েও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন তাকে কি কোনো প্রটোকল দেওয়া হয়নি। বা তার নিরাপত্তা কেন দেওয়া হলো না।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুইজারল্যান্ডে থাকা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খলিলুর রহমান মামুন বাংলা আউটলুককে জানান, দলের যে কার্যক্রম দু’তিনজন করেছেন তিনি তা সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, আমি গিয়ে আসিফ নজরুলের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন। আমি প্রশ্ন করেছিলাম অপরাধীদের ধরছেন, কিন্তু শাহরিয়ার কবীর বা শমী কায়সারদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি সে বিষয়ে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই দুই তিনজন পরিস্থিতিটাকে সংকটময় করে ফেলে।
খলিলুর রহমান বলেন, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা আনুমানিক ২০ জন গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করতে।
তাকে (আসিফ নজরুলকে) ডিম ছুঁড়ে মারার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষমেষ তা করতে দেননি বলে তিনি দাবি করেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন