বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও হামলার ঘটনায় মামলায় ছাত্রলীগ ও যুব মহিলা লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর কোতোয়ালির তাঁতীবাজার ও রূপনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন-কোতোয়ালির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তপু নন্দী ও রূপনগর থানা যুব মহিলা লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুলিয়া আক্তার।
আজ বুধবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, রাজধানীর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় কোতোয়ালির ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তপু নন্দীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালির তাঁতীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কোতোয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার তপু নন্দী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহার নামিয় আসামি। গত ৫ আগস্ট কোতোয়ালি থানার নবাব সিরাজদ্দৌলা জিন্দাবাহার পার্ক এলাকায় সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে অংশ নেয় মো. সুজন। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সুজনসহ আরও অনেকে হতাহত হন। সুজন বাদী হয়ে গত ৩ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, ওই মামলায় এজাহার নামীয় আসামি তপু নন্দী। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোতোয়ালির তাঁতীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রূপনগর থানাধীন আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর রোডে অভিযান চালিয়ে রূপনগর থানা যুব মহিলা লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক জুলিয়া আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির রূপনগর থানা-পুলিশ। তাকে মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. শামীম হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন