বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। পাশের দেশে বসে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফোন করে করে কুবুদ্ধি দিচ্ছেন। চক্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন।
শনিবার নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতিটি কাজে বাধা সৃষ্টির অপকৌশল করছেন। শেখ হাসিনার কোনো ষড়যন্ত্রই আর কখনো সফল হবে না। এ দেশের মানুষ পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে আর কখনো গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ গত ১৬ বছরের তাদের হত্যা, গুম, অপহরণ, বিরোধী মতাদর্শকে দমন-পীড়ন, বিচারের নামে প্রহসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো চাকরি না হওয়া, ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেওয়াসহ সব অপকর্ম দেখেছে।
দুলু বলেন, সব অত্যাচার দেশের মানুষ নীরবে দেখেছে, কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। প্রতিবাদ করলেই আওয়ামী লীগ সব শ্রেণি পেশার মানুষের উপর হামলা মামলা আটক করে নির্যাতন করেছে। আগামী একশ’ বছরেও তাই দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগকে গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যে কোনো বিষয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। দেশের মানুষ যাদেরকে একবার দেশছাড়া করেছে তাদেরকে আর বাংলাদেশে ঠাঁই দেবে না।
দুলু বলেন, শেখ হাসিনা পাশের দেশে বসে তার নেতাকর্মীদের ফোন করে কুবুদ্ধি দিয়ে নিজে নিরাপদে থাকলেও তার কথা শুনে যদি কোনো নেতাকর্মী ষড়যন্ত্র করতে মাঠে নামে দেশের মানুষ তাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না।
দুলু অবিলম্বে শেখ হাসিনার গণহত্যাসহ সব মামলার বিচার শুরু করতে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির মুখোমুখি করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান।
শনিবার বিকালে উত্তরা গণভবনের পাশে দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বাচ্চু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন, কাজী শাহ আলম, সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল প্রমুখ।
সভায় দুলু আরও বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকারকে তাদের সময়টুকু ভালোভাবে দেশ চালাতে হলে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার গত ১৫ বছরে নিয়োগ দেওয়া দলীয় আমলাদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে। এখনো তারা দেশের প্রশাসন, পুলিশ ও বাজারসহ সব নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন