মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্ত আহমেদের (৩৫) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় শান্ত আহমেদকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে কয়েকজন। এসময় আরও ৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারা হলেন-শাহাদাত (৩৮), আশেক আলী (৫৫) ও মিন্টু (৪৫)।
শান্তর মাথায় গুরুতর জখম পাওয়া যায় বলে জানান জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে ঢাকার স্কয়ার হসপাতালে নিয়ে গেলে রাত আড়াইটার দিকে মৃত্যু হয় ওই যুবদল নেতার।
নিহত শান্ত আহমেদ চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা এলাকার বোরহান সরকারের ছেলে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আধারা ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় ঢাকা থেকে আসা স্পিডবোডের সঙ্গে ওই এলাকায় অবস্থান করা মাছ ধরার ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে নিহতের ছোট ভাই মামুন সরকার বলেন, আমার ভাই নদীতে যায়নি। স্পিডবোডের সঙ্গে ট্রলারের সংঘর্ষ হলে তার শরীর একটু হলেও ভেজা থাকতো। তাছাড়া তার বুকের পাজর ভেঙে গেছে, মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আবার তাকে নদীর পার থেকে সাদা হায়েস গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই গাড়ি কার? এত দ্রুত কিভাবে ওখানে গাড়ি গেল?
স্থানীয়রা জানান, গত ২২ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে নৌ ডাকাতির ঘটনায় আলোচিত উজ্জল খালাসি ওরফে বাবলা নিহতের পর নদীতে বৈধ-অবৈধ বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলাকাটিতে প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠে আরেক বাহিনীর প্রধান কিবরিয়া মিয়াজি। গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকাটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুই পক্ষের মধ্যে গুলির ঘটনাও ঘটেছে।
শান্ত আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় কিবরিয়া মিয়াজির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন