আওয়ামী দুর্বৃত্তদের অতর্কিত গুপ্ত হামলার প্রতিবাদ এবং গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে পল্টন মোড়-বিজয়নগর পানির ট্যাংকি মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘শেখ হাসিনা কি এখনো প্রধানমন্ত্রী? রাষ্ট্রপতির কাছে শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র দেন বা না দেন, তাতে কী আসে যায়? যিনি গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে গেছেন, তার পদত্যাগের কিছু নাই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে যে অপরাধ করেছে, তাদের রাজনীতির কোনো অধিকার নেই।
সুতরাং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোটের রাজনীতির জন্য কোনো দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করলেও, জনগণ আওয়ামী লীগকে কোনো ক্ষমা করবে না। গণতন্ত্র রক্ষার নামে কেউ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আসার কথা বললেও জনগণ আওয়ামী লীগের মত গণহত্যাকারী দলকে নির্বাচন করতে দেবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘একাত্তরের পর শেখ মুজিবের নেতৃত্বে একবার গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, আর ২৪ এ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণহত্যা।
দুই দুইবার গণহত্যা করার পর, তারা কিভাবে রাজনীতি করতে চায়? আওয়ামী লীগের প্রতি যারা ভালোবাসা দেখাবেন, তাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করা হবে।’
রাশেদ খাঁন বলেন, এই সরকার আওয়ামী পাণ্ডাদের এখনো আটক করতে পারছে না; পুলিশের খুনিদের ধরছে না। নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া, মানুষের আহাজারি বেড়েছে। সরকার কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
কিভাবে পারবে? একজন ব্যক্তি ৩-৪ টি মিনিস্ট্রি চালান। হযবরল অবস্থা। কোন মিনিস্ট্রি ছেড়ে কোন মিনিস্ট্রি সামলাবে? সুতরাং উপদেষ্টা পরিষদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষকে নিয়ে এর পরিধি বাড়াতে হবে।’
এ সময় আরো বক্তব্য দেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সহ সভাপতি হোসাইন নুর, শাকিল আহমেদ তিয়াস, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরণ, উত্তরের সভাপতি মামুন শেখ প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন