যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শহীদ আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’, ‘বিপথগামী’, ‘নিজেদের কোন্দলে নিহত’ ইত্যাদি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তারও টাইমলাইন দেখুন মুজিবের পূজায় পূর্ণ, চেতনায় টইটম্বুর। ওর মধ্যেও হিংস্রতা, পাশবিকতা, রক্তের পিপাসা একইরকমভাবে বিদ্যমান। কারণ ওরা শেখ হাসিনার অনুসারী।
নিজের ফেসবুক আইডিতে সাময়িক বহিষ্কৃত লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মির ব্যাপারে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হোসাইন আহমাদ জুবায়ের।
জুবায়ের আরও বলেন, শেখ হাসিনা তিন সপ্তাহে ১৫০০+ মানুষ খুন করে বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নন বরং তার প্রতিশোধের নেশা আরও হিংস্র হয়েছে সেটিই বোঝা যায় তার ফোনকলে। এখনও তিনি তালিকা করে রাখতে বলেন ‘শিক্ষা’ দেবেন বলে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অনুসারীরাও এরকম সাইকো, জানোয়ার সদৃশ। এ কারণে ওদেরও কোনো অনুশোচনা বা লজ্জা নেই। ওদের শুধু আক্ষেপ, আরও বেশি মানুষ মারতে পারলে বোধহয় ক্ষমতাটা ছাড়তে হতো না।
জুবাইয় বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই আমাদের কাছে মর্যাদার, কিন্তু তাকে পুঁজি করে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা ভিন্নমতাবলম্বী, অথবা সাহসী প্রতিবাদী ছাত্র জনতাকে খতম করার যে ঘৃণ্য রাজনীতি, জনগণ তার ইতি টেনে দিয়েছে। সকল অপরাধী ও এই ম্যাজিস্ট্রেটের মতো সকল সহযোগীর বিচার নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
শনিবার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।
এরপর থেকেই সমালোচনায় মুখে পড়েন ঊর্মি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রোববার ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর আগে এক পোস্টে তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন