ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানো আওয়ামী লীগই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে নগর উত্তর ছাত্রশিবির আয়োজিত সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিবির সভাপতি বলেন, ‘আজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। অথচ এ দেশে ইসলাম নিয়ে যারা কথা বলেছিলেন- জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাশেম আলীসহ অনেককে বিচারিক কায়দায় অবৈধভাবে বিচারিক কিলিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করে তারা (আওয়ামী লীগ) প্রমাণ করেছে, এ দেশে তারাই প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যার যাত্রা শুরু করেছে।’
‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে এমন কোনো ঘটনা নেই, যে ঘটনার চিত্র এ জাতি দেখেনি। আমরা দেখেছি, এ দেশের ছাত্র-জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, বিশ্বের আর একটি দেশেও এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঢাকার রাজপথে লাশ দেখেছি। পুরো দেশে নেট বন্ধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের নিষিদ্ধ করতে এসেছিল, আজকে তাদের পরিণতি কী? তারা জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। বিগত দুঃশাসনকালে কেউ ইসলাম চর্চা হতে দেখিনি বরং আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি- যারা কোরআন-হাদিসের কথা বলেছেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বয়স্ক আলেমদের পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কারাগার থেকে নিয়মিত আদালতে উঠানো হয়েছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অপশাসনের অবসানের পর এক অনিশ্চিত যাত্রা থেকে এ জাতি মুক্তির যে আলোর দিশা পেয়ে আজ যে পথ চলছে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ইসলামি ছাত্রশিবির এবং এ দেশের ছাত্র-জনতা। হাসিনা ফ্যাসিস্ট তার জুলুমে পাহাড়সম নির্যাতনে এ দেশের তাওহীদি জনতার ত্যাগ এবং মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আমার হাসিনামুক্ত একটি দেশ পায়। তারা আমাদের জুলুম করেছে। তারা ছিল জালেম। জালিমদের জন্য আল্লাহ দুনিয়াকে সংকীর্ণ করে দেয়, যার প্রমাণ হাসিনা নিজেই।
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার শিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবিরী আল-মাদানী, প্রধান মুফাসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি আমির হামজা।
মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন